I
ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ ভারতে প্রতি ১৬ মিনিটে একটি মেয়ে ধর্ষিতা হয়। সম্প্রতি দ্য ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ড ব্যুরো একটি রিপোর্ট পেশ করেছে। সেই রিপোর্ট অনুযায়ী, এদেশে প্রতি ১৬ মিনিটে অন্তত একজন মেয়ে ধর্ষিতা হয়। প্রতি ঘন্টায় একটি মেয়েকে যৌতুকের জন্য তার শ্বশুরবাড়ির লোক খুন করে। খবর জিনিউজের।
এনসিবির ওই রিপোর্ট আরও প্রকাশ পেয়েছে, প্রতি চার মিনিটে ভারতে একটি মেয়ে তাঁর শ্বশুর বাড়ির লোক অথবা স্বামীর হাতে নির্যাতিতা, লাঞ্ছিতা হয়। দেশটিতে প্রতি দুদিনে একজন মেয়ের ওপর অ্যাসিড আক্রমণ হয়। রেকর্ড এমনও বলছে, প্রতি ৩০ ঘন্টায় ভারতে অন্তত একজন মেয়ে গণধর্ষণের শিকার হয়। আর প্রতি দু'ঘণ্টায় অন্তত একটি মেয়েকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, প্রতি ৬ মিনিটে ভারতে একটি মেয়েকে অন্তত যৌন হেনস্থা করার চেষ্টা করা হয়।
রিপোর্টে নারী পাচার নিয়েও চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। বলা হয়েছে, ভারতে প্রতি চার ঘন্টায় অন্তত একটি মেয়ে পাচার হয়ে যায়।
গত কয়েকদিন আগে ভারতের উত্তরপ্রদেশের হাথরস ১৯ বছর বয়সী দলিত মেয়ের মৃত্যুর পর গর্জে উঠেছে গোটা দেশ। যদিও যোগী আদিত্যনাথের রাজ্যের পুলিশ জানিয়েছে, হাথরসের দলিত মেয়েটির ধর্ষণ হয়নি। এমনকি ময়নাতদন্তের রিপোর্টে কোথাও ধর্ষণের উল্লেখ নেই। বলা হয়েছে মৃত্যুর কারণ কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট। তবে ঘাড়, শিরদাঁড়া, পা, কোমর সহ একাধিক অংশে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। কিন্তু পুলিশ বলছে, ধর্ষণের কোনও চিহ্ন নেই। যদিও এমন দাবি মানতে নারাজ নির্যাতিতার পরিবার।
এমনকি দেশটির সংবাদমাধ্যম প্রশ্ন তুলেছে, পুলিশ প্রশাসন কি কিছু লুকোনোর চেষ্টা করছে? না হলে রাতের অন্ধকারে চুপিসারে মেয়েটির মৃতদেহ সৎকার করল কেন পুলিশ? তাছাড়া হাতের জেলাশাসক কেন নির্যাতিতার পরিবারের সদস্যদের বয়ান বদলের জন্য চাপ দিচ্ছেন?
হাথরস কাণ্ডের মাঝেই সেই উত্তরপ্রদেশ থেকে একাধিক গণধর্ষণের খবর পাওয়া গিয়েছে। বলরামপুর, বুলন্দশহরের মতো জায়গায় মেয়েদের নৃশংসতার শিকার হতে হয়েছে। তবে রেকর্ড বলছে, এ দেশে মেয়েদের নির্যাতনের ইতিহাস অনেক পুরোনো।