DMCA.com Protection Status
title="শোকাহত

ধর্ষিতার পরিবারের সাথে দেখা করায় মারধোর ও গ্রেফতারের শিকার রাহুল গান্ধী ও প্রিয়াংকা গান্ধী।

ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ বৃহস্পতিবার উত্তর প্রদেশের হাতরাসে যাওয়ার সময় বৃহত্তর নইডাতে ভারতের প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসের নেতৃবৃন্দ রাহুল গান্ধী এবং প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে আটক করে পুলিশ।

ভারতের উত্তর প্রদেশে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার দলিত সম্প্রদায়ের তরুণীর মৃত্যুর ঘটনায় দেশজুড়ে বিক্ষোভ চলছে। এর মধ্যে বৃহস্পতিবার ধর্ষণের শিকার তরুণীর বাড়িতে তার পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার পথে উত্তর প্রদেশের হাইওয়ে থেকে পুলিশের হাতে আটক হন কংগ্রেসের সাবেক সভাপতি রাহুল গান্ধী এবং উত্তর প্রদেশ জেনারেল সেক্রেটারি প্রিয়াঙ্কা গান্ধী।

১৪৪ ধারা ভঙ্গের অভিযোগে তাদের আটক করা হয়েছে বলে জানায় পুলিশ কর্মকর্তারা।

তার আগে পথের মধ্যেই পুলিশের সঙ্গে রাহুলের তর্কাতর্কি শুরু হয়। যমুনা এক্সপ্রেসওয়ে হাইওয়েতে পায়ে এগুতে গেলে পুলিশের বাধার মুখে পড়েন রাহুল এবং তার গাড়িবহর। ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করার অভিযোগের বিপরিতে পাল্টা জবাবে রাহুল বলেন, ‘১৪৪ ধারার অপব্যবহার করছেন আপনারা।’ এক পর্যায়ে পুলিশের সঙ্গে প্রবল ধাক্কাধাক্কির মধ্যে পুলিশের গলাধাক্কায় পড়ে যেতে দেখা যায় তাকে।

পরে দুই গান্ধীকে আটক করে পুলিশ জিপে করে নিয়ে যাওয়া হয়। পাশাপাশি আরও বেশ কয়েকজন সিনিয়র নেতাকেও গ্রেপ্তার করা হয়।

ভারতীয় পুলিশ জানায়, পরিস্থিতি বেসামাল হওয়ায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছিল হাতরাসে এবং রাহুল-প্রিয়াঙ্কারা সেই নির্দেশ অমান্য করাতেই তাদের কে আটক করা হয়। পরে তাদেরকে পুলিশ ছেড়ে দেয় এবং দিল্লীর উদ্দেশ্যে পাঠিয়ে দেয় বলে কংগ্রেস নেতৃবৃন্দ জানান।

উল্লেখ্য যে ১৫ দিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে ২৯ সেপ্টেম্বর দিল্লির সফদর জং হাসপাতালে মারা যান ধর্ষণের শিকার ১৯ বছর বয়সী দলিত তরুণী। গত ১৪ সেপ্টেম্বর উত্তরপ্রদেশে হাতারাস এলাকায় ওই তরুনিকে ধর্ষণ করে তার উপর নির্যাতন চালায় উচ্চবর্ণ চার হিন্দু লোক। সংবাদ মাধ্যমে ঘটনা আসা সত্ত্বেও ময়না তদন্তের রিপোর্টে ধর্ষণের কথা উল্লেখ করেনি চিকিৎসকরা। বলা হয় গলার ফাঁস লাগিয়ে তাকে খুন করা হয়েছে। এ ঘটনায় গ্রেপ্তার চার ধর্ষককে করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

সূত্র – দি প্রিন্ট

Share this post

scroll to top
error: Content is protected !!