ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ বিগত ১২ বছর ধরে বাংলাদেশে একটি ফ্যাসিবাদি এবং দিল্লীর অনুগত সরকার পুলিশ এবং সেনাবাহিনীর সহায়তায় ক্ষমতা দখল করে রেখেছে। সেনাবাহিনীকে সন্তুষ্ট রাখার জন্যে হাসিনা সরকার তাদেরকে ব্যবসা-বাণিজ্য, সড়ক-সেতু তৈরিতে ব্যস্ত রেখেছে। ফলে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় নিয়োজিত সেনাবাহিনী বিদেশী আগ্রাসন মোকাবেলার নৈতিক শক্তি হারিয়ে ফেলেছে। সম্প্রতি বিএসএফ-বিজিবি যৌথ বৈঠকে বিজিবি প্রধান জেনারেল সাফিন যেভাবে বিএসএফ কতৃক নিরস্ত্র বাংলাদেশীদের হত্যার পক্ষে সাফাই গেয়েছেন, তার মধ্যেই আমাদের প্রতিরক্ষাবাহিনীর দুর্বলতাই প্রকাশ পেয়েছে।
সার্বভৌমত্ব রক্ষায় উদাসীন, ফ্যাসিবাদেও চুপ সেনাবাহিনীঃ
পুলিশ ও প্রশাসন ব্যবহার করে গত এক যুগ ধরে জনগণের কণ্ঠরোধ করে টিকে রয়েছে আওয়ামী লীগ সরকার। ফ্যাসিবাদী এই সরকারের আমলে এমন কোনো অপকর্ম নেই যা সংঘটিত হয়নি।
গুম-খুন এখন নিত্য-নৈমিত্তিক ব্যাপার। নারীর ইজ্জত নিয়েও ছিনিমিনি খেলছে ছাত্রলীগ নামক সন্ত্রাসী সংগঠন। একদিকে শেখ হাসিনা সরকারের জুলুম-নির্যাতন, অপরদিকে প্রতিবেশি ভারতের দখলদারী মনোভাব দেখেও আওয়ামী লীগকে সমর্থন জুগিয়ে চলেছে সেনা বাহিনী।
সম্প্রতি বাংলাদেশের দক্ষিন উপকূলীয় শহর টেকনাফে পুলিশ কতৃক একজন নিরস্ত্র সাবেক সেনা অফিসার মেজর সিনহা মোঃ রাশেদ খানকে গুলি করে হত্যার পরও সেনাবাহিনীর অসহায় আর বেহাল দশা ফুটে উঠেছে। ২মাস অতিক্রান্ত হওয়ার পরও এই হত্যাকান্ডের বিচারের ব্যাপারে জনগন সন্দিহান হয়ে পড়েছে।
বিগত কিছুদিন যাবৎ মিয়ারমার আমাদের সিমান্তে ব্যপক সেনা সমাবেশ ঘটালেও দুর্বল ও নতজানু পররাষ্ট্রনীতির ফলে এর কোন কার্যকর প্রতিবাদ করতে পারেনি বাংলাদেশ।
ভারতের প্রয়াত সাবেক রাষ্ট্রপতি প্রণব মূখার্জীর লেখা বই সত্য উম্মোচন করে স্পষ্ট করে দিয়েছে যে, শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারকে ভারত প্রতিষ্ঠা করেছে। তার প্রতিদান স্বরূপ শেখ হাসিনার সরকার বাংলাদেশের জনগণের স্বার্থের প্রতিকূলে ভারতকে জলে-স্থলে-অন্তরীক্ষে করিডোর দিয়ে ও নানা ধরণের দ্বিপাক্ষিক অর্থনৈতিক চুক্তির মাধ্যমে ভারতীয় সরকার ও তাদের পছন্দের কোম্পানীগুলোর স্বার্থ রক্ষা করে যাচ্ছে।
অথচ বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দুই ক্ষেত্রই নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করে চলেছে। একদিকে তারা সার্বভৌমত্ব রক্ষায় ধারাবাহিক ব্যর্থতার পরিচয় দিচ্ছে, অপরদিকে অন্ধভাবে আওয়ামী ফ্যাসিবাদকে টিকিয়ে রাখতে সমর্থন জুগিয়ে চলেছে।
সেনাবাহিনীর এমন ভূমিকার সুন্দর এক বিবরণ ফুটে উঠেছে কয়েক বছর আগে লন্ডন-ভিত্তিক ফাইনান্সিয়াল টাইমস পত্রিকার এক প্রতিবেদনে।
ফাইনান্সিয়াল টাইমস পত্রিকায় “Bangladesh army funded to forget its role as neutral referee” শিরোনামে এক অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছিলো।
প্রতিবেদনে বলা হয়, “ক্ষমতাসীন দলের জন্য যাতে সামরিক বাহিনী কোনোভাবে হুমকিতে পরিণত না হয় সেজন্য তাদেরকে অনেক আর্থিক সুযোগ-সুবিধা দেয়া হচ্ছে। কেননা অতীতে বাংলাদেশের রাজনীতিতে বিভিন্ন সময় হস্তক্ষেপ করেছে সেনাবাহিনী”।
প্রতিবেদনের এই ভাষ্যে স্পষ্টভাবেই ফুটে উঠেছে যে, বিভিন্ন ধরনের ব্যবসাপাতি দিয়ে সেনাবাহিনীকে একটি বড়সড়ো ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করেছে আওয়ামী লীগ। ফলে “সমরে আমরা, শান্তিতে আমরা, সর্বত্র আমরা দেশের তরে” স্লোগানটি এখন ফাঁকা বুলিতে পরিণত হয়েছে।
দেশ রক্ষায় নীরব,ব্যবসাপাতিতে সরবঃ
বছরের পর বছর বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা খাতে বাজেট বাড়ানো হলেও; দেশরক্ষা বাদে সবরকম কাজেই ব্যস্ত রয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।
“সমরে আমরা, শান্তিতে আমরা, সর্বত্র আমরা দেশের তরে” – শ্লোগান দিলেও বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় যতোটা না তারা যত্নশীল; তার চেয়ে ব্যবসাপাতিতেই ঢের মনোযোগ বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর।
দেশের ভেতর ব্যবসাপাতি করা, নিজেদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়া, রাস্তা-সেতু তৈরী ও মেরামতের কাজেও বছরের পর বছর এই বাহিনীকে বেশি মনোযোগী হতে দেখা গেছে।
উপরন্তু, জাতিসংঘের অধীনে শান্তিরক্ষার নামে বিশ্বের বিভিন্ন সংঘাতপূর্ণ দেশে ভাড়াটে বাহিনী হিসেবে কাজ করে পয়সা রোজগারেও তাদের বেশ আগ্রহ। সেনাবাহিনীতে যোগ দিয়ে এর সদস্যরা ভাড়াটে বাহিনী হিসেবে বাইরে যাওয়ার জন্য বেশি আগ্রহী থাকেন। কারণ এতে অতিরিক্ত পয়সা পান তারা।
আল-জাজিরায় প্রকাশিত এক প্রতিবেদন অনুযায়ী,শান্তিরক্ষার মিশনে দায়িত্ব পালন করলে প্রতিমাসে গড়ে এক হাজার মার্কিন ডলারের মতো আয় করেন একজন।
স্বাধীনতার পর থেকে বাংলাদেশের ওপর ভারতের কর্তৃত্বের পাশাপাশি, সাম্প্রতিক সময়ে মিয়ানমার সরকারও বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশকে চোখ রাঙিয়ে চলেছে। কিন্তু, আওয়ামী লীগ সরকার ‘শান্তি বজায় রাখা’র ছলে কার্যত দেশের সার্বভৌমত্ব বিকিয়ে দিয়ে এই বাহিনীকে নিষ্ক্রিয় করে রেখেছে।
গত কয়েক বছরে বাংলাদেশ সেনা বাহিনীর ব্যবসায়ে জড়িত থাকার খবর ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি, জার্মান গণমাধ্যম ডয়েচে ভেলে সহ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে অনেকবার জোরেশোরে আলোচিত হয়েছে।
২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেটে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের জন্য ৩৪ হাজার ৮৪২ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়। এই বরাদ্দ ২০১৯-২০ অর্থবছরের মূল বরাদ্দের চেয়ে দুই হাজার ৩২২ কোটি টাকা বেশি। চলতি বছরের ১১ জুন জাতীয় সংসদে ৫ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকার বাজেটের ভেতর প্রতিরক্ষা খাতে এই বরাদ্দ রাখা হয়।
এছাড়ও বাজেট বরাদ্দের বাইরে অপ্রকাশ্যেও বিভিন্নখাতে জনগণের টাকায় সেনাবাহিনীকে বরাদ্দ দেয়া হয়।
এতো খরচের পরও ভারতের খবরদারি বা মিয়ানমারের চোখ রাঙানি নীরবে সহ্য করে চলেছে এই বাহিনী। আরাকানে রোহিঙ্গা মুসলিমদের গণহত্যার পর বাংলাদেশের আকাশসীমা অনেকবার লঙ্ঘন করেছে মিয়ানমার। কিন্তু, বরাবরই বাংলাদেশ সেনাবাহিনী শান্তির অজুহাত টেনে নিজেদের দুর্বলতা প্রকাশ করেছে। দক্ষিণ এশিয়ায় নিজেদের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী জনগণের আস্থা অর্জন করতে কার্যত ব্যর্থ হয়েছে।
দুই বছর আগে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী নিয়ে দ্য ডিপ্লোম্যাট পত্রিকার প্রতিবেদক রায়ান স্মিথ খুবই চাঞ্চল্যকর এক মন্তব্য করেন। তিনি লেখেন: “সামরিক বাহিনী যে রাষ্ট্রটিকে রক্ষা করার কথা বলেছিল তার বেশিরভাগ অংশটি দখল করেছে।”
বর্তমানে বাংলাদেশ সেনা বাহিনী খাদ্য, টেক্সটাইল, পাট, পোশাক, ইলেকট্রনিক, রিয়েল এস্টেট, অটোমোবাইল, শিপ বিল্ডিং, উৎপাদন এবং ভ্রমণ ব্যবসায় জড়িত রয়েছে।
এছাড়াও, ট্রাস্ট ব্যাংক এবং আনসার ভিডিপি ব্যাংকও পরিচালনা করে সেনা বাহিনী।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী নিজেদের ব্যবসায়িক স্বার্থে বিদ্যুত কেন্দ্র, রাস্তাঘাট, অবকাঠামো এবং সেতু প্রকল্প তাদের কাজের অন্তর্ভুক্ত করেছে। এতে তাদের ব্যবসায়িক মুনাফা ফুলে উঠেছে।
জার্মান গণমাধ্যম ডয়েচে ভেলের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, এই ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো চলে ‘আর্মি ওয়েলফেয়ার ট্রাষ্ট’ আর ‘সেনা কল্যাণ সংস্থা’-র অধীনে।
নিজস্ব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চালাতেই বেশী ব্যস্ত সেনাবাহিনীঃ
বিভিন্ন ধরনের ব্যবসা ছাড়াও ইঞ্জিনিয়ারিং বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেলে কলেজ ও স্কুল চালাতেই বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এখন বেশি ব্যস্ত।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ওয়েবসাইটে দেয়া তথ্য মতে, মোট ১০টি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল কলেজ ও নার্সিং ইনস্টিটিউট রয়েছে তাদের।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী পরিচালিত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল কলেজ ও নার্সিং ইনস্টিটিউটের তালিকা:
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি (BAIUST (প্রস্তাবিত), বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ইউনিভার্সিটি অব ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টেকনোলোজি – (BAUET) (প্রস্তাবিত), বাংলাদেশ আর্মি ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি – (BAUST) (প্রস্তাবিত), মিলিটারি ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস, ঢাকা, আর্মড ফোর্সেস, ইনস্টিটিউট অব প্যাথলজি, আর্মড ফোর্সেস মেডিকেল কলেজ, আর্মড ফোর্সেস মেডিকেল ইনস্টিটিউট, আর্মি মেডিকেল কলেজ, কুমিল্লা, রংপুর আর্মি নার্সিং কলেজ।
এছাড়া, সারাদেশে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মোট ১২টি ক্যাডেট কলেজ রয়েছে।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী পরিচালিত ক্যাডেট কলেজের তালিকাঃ
বরিশাল ক্যাডেট কলেজ, কুমিল্লা ক্যাডেট কলেজ, ফৌজদারহাট ক্যাডেট কলেজ, ফেনী গার্লস ক্যাডেট কলেজ, ঝিনাইদহ ক্যাডেট কলেজ, জয়পুরহাট ক্যাডেট কলেজ, মির্জাপুর ক্যাডেট কলেজ, ময়মনসিংহ গার্লস ক্যাডেট কলেজ, পাবনা ক্যাডেট কলেজ, রাজশাহী ক্যাডেট কলেজ, রংপুর ক্যাডেট কলেজ, সিলেট ক্যাডেট কলেজ।
সারাদেশে ইংরেজি ও বাংলা মাধ্যমের মোট ৫২টি স্কুল ও কলেজ পরিচালনা করে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী পরিচালিত স্কুল ও কলেজের তালিকা
আদমজী ক্যান্টনমেন্ট কলেজ (বাংলা মাধ্যমিক), আদমজী ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল (বাংলা মাধ্যমিক), বান্দরবান ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ (বাংলা মাধ্যমিক), বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল স্কুল এন্ড কলেজ (ইংরেজি মাধ্যম), বারিধারা স্কলার্স ইনস্টিটিউশন (ইংরেজি মাধ্যম), বগুড়া ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ (বাংলা মাধ্যমিক), ক্যান্টনমেন্ট বিওএফ ইংলিশ স্কুল (ইংরেজি মাধ্যম), ক্যান্টনমেন্ট ইংলিশ স্কুল এন্ড কলেজ (ইংরেজি মাধ্যম), চকরিয়া ক্যান্টনমেন্ট ইংলিশ স্কুল (ইংরেজি মাধ্যম), চট্টগ্রাম ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক কলেজ (বাংলা মাধ্যমিক), দাউদ পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ (বাংলা মাধ্যমিক), ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট ইংলিশ স্কুল এন্ড কলেজ (ইংরেজি মাধ্যম), ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট গার্লস স্কুল এন্ড কলেজ (বাংলা মাধ্যম), গাজীপুর ক্যান্টনমেন্ট কলেজ (বাংলা মাধ্যম), ঘাটাইল ক্যান্টনমেন্ট ইংলিশ স্কুল (ইংরেজি মাধ্যম), ঘাটাইল ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ (বাংলা মাধ্যমিক), গ্রীন হিল ইংলিশ স্কুল (ইংরেজি মাধ্যম), গানার্স ইংলিশ স্কুল (ইংরেজি মাধ্যম), হালিশহর ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ (বাংলা মাধ্যম), ইস্পাহানি পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ (বাংলা মাধ্যম), জাহানাবাদ ক্যান্টনমেন্ট কলেজ (বাংলা মাধ্যমিক), জাহানাবাদ ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল (বাংলা মাধ্যমিক), জাহানাবাদ ইংলিশ স্কুল (ইংরেজি মাধ্যম), জালালাবাদ ক্যান্টনমেন্ট ইংলিশ স্কুল (ইংরেজি মাধ্যম), জালালাবাদ ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ (বাংলা মাধ্যমিক), যশোর ক্যান্টনমেন্ট কলেজ (বাংলা মাধ্যমিক), যশোর ইংলিশ স্কুল এন্ড কলেজ (ইংরেজি মাধ্যম), খাগড়াছড়ি ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ (বাংলা মাধ্যমিক), লেকার্স পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ (ইংরেজি মাধ্যম), লালমনিরহাট ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ (বাংলা মাধ্যমিক), মিলেনিয়াম স্কলাসটিক স্কুল এন্ড কলেজ (ইংরেজি মাধ্যম), মিরপুর ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ (বাংলা মাধ্যমিক), মোমেনশাহী ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ (বাংলা মাধ্যমিক), মর্নিং গ্লোরি স্কুল এন্ড কলেজ (ইংরেজি মাধ্যম), ময়মনসিংহ ইন্টারন্যাশনাল স্কুল (ইংরেজি মাধ্যম), ময়মনসিংহ ইন্টারন্যাশনাল কলেজ (ইংরেজি মাধ্যম), নির্ঝর ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ (বাংলা মাধ্যমিক), পার্বতীপুর ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ (বাংলা মাধ্যমিক), কাদিরাবাদ ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল (বাংলা মাধ্যমিক), কাদিরাবাদ ক্যান্টনমেন্ট স্যাপার কলেজ (বাংলা মাধ্যমিক), রেইনবো কিন্ডারগার্টেন (ইংরেজি মাধ্যম), রাজেন্দ্রপুর ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ (বাংলা মাধ্যমিক), রাজশাহী ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ (বাংলা মাধ্যমিক), রামু ক্যান্টনমেন্ট ইংলিশ স্কুল (ইংরেজি মাধ্যম), রংপুর ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ (বাংলা মাধ্যম), রংপুর ক্যান্টনমেন্ট, সৈয়দপুর ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ (বাংলা মাধ্যমিক), স্যাপার্স এনজেলিক মিলেনিয়াম স্কুল (ইংরেজি মাধ্যম), সাভার ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ (বাংলা মাধ্যমিক), শহীদ বীরউত্তম লে. আনোয়ার গার্লস কলেজ (বাংলা মাধ্যম), শহীদ রমিজউদ্দীন ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ (বাংলা মাধ্যম), দি মিলেনিয়াম স্টারস স্কুল এন্ড কলেজ (ইংরেজি মাধ্যম) এবং জিরাবো ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ (বাংলা মাধ্যম)।
সচরাচর দেখা যায়, স্বৈরতান্ত্রিক রাষ্ট্রেই সেনাবাহিনীকে এভাবে ব্যবহার করে একনায়ক শাসক ক্ষমতায় টিকে থাকে। এক সময় ল্যাটিন আমেরিকার রাষ্ট্রসমূহে সেনাবাহিনী এভাবেই সামোজা, বাতিস্তা, নোরিয়েগা এবং পিনোশেদের টিকিয়ে রাখত। এখন বাংলাদেশ এবং মিশরের মত স্বৈরতান্ত্রিক মুসলিম রাষ্ট্রে সেনাবাহিনী একই ভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে।
সূত্রঃ ফিনান্সিয়াল টাইমস এবং আমার দেশ।