ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনের দিন নোয়াখালীর সুবর্ণচরে বিএনপি সমর্থক একজন গৃহবধূকে গণধর্ষণের ঘটনার মূলহোতা কারারুদ্ধ উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক রুহুল আমিনকে এক বছরের জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট।
গত সোমবার বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চে এক বছরের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন পান রুহুল আমিন।
রুহুলকে জামিন দিয়ে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করেছেন বলে জানিয়েছেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিৎ রায়। আগামী ২৫ মার্চ চেম্বার আদালেত তার শুনানি হতে পারে।
কোন যুক্তিতে আসামিকে জামিন দেওয়া হয়েছে- জানতে চাইলে বিশ্বজিৎ বলেন, আবেদনকারীর আইনজীবী আদালতে বলেছেন যে, মামলার প্রাথমিক তথ্য বিবরণীতে (এফআইআর) রুহুল আমিনের নাম নাই। তাছাড়া মামলাটি এখনও তদন্তাধীন। এসব বিষয় তুলে ধরে জামিন চাওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, আসলে আসামির আইনজীবী রাষ্ট্রপক্ষকে বিভ্রান্ত করেছেন। জামিন আবেদনে উল্লেখ আছে এনএক্স-১৭ নম্বর কোর্টের কথা। অর্থাৎ বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মোস্তাফিজুর রহমানের আদালতে আবেদনটি শুনানির জন্য ফাইল হয়েছে। ফলে আবেদনটির অনুলিপি গেছে ওই কোর্টের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেলের দফতরে।
তিনি বলেন, যেদিন জামিন হয় সেদিন আসলে আমরা বুঝতেই পারিনি, কার জামিন হয়েছে।
আদালতে রুহুল আমিনের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন মো. আশেক-ই-রসুল।
উল্লেখ্য, গত ৩০ ডিসেম্বর ভোটের দিন রাতে নোয়াখালীর সুবর্ণচরের মধ্যবাগ্যা গ্রামে স্বামী-সন্তানকে বেঁধে রেখে চল্লিশোর্ধ এক নারীকে গণধর্ষণের অভিযোগ ওঠে।
ওই নারীর অভিযোগ, ভোটের সময় নৌকার সমর্থকদের সঙ্গে তার কথা কাটাকাটি হয়েছিল। এরপর রাতে সুবর্ণচর উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক রুহুল আমিনের ‘সাঙ্গপাঙ্গরা’ বাড়িতে গিয়ে তাকে ধর্ষণ করে।
চরজব্বর থানায় ওই নারীর স্বামীর করা মামলার এজাহারে বলা হয়, আসামিরা তার বসতঘরে ভাংচুর করে, ঘরে ঢুকে বাদীকে পিটিয়ে আহত করে এবং সন্তানসহ তাকে বেঁধে রেখে দলবেঁধে ধর্ষণ করে তার স্ত্রীকে।
পরে ধর্ষণের শিকার ওই নারীর অভিযোগের ভিত্তিতে চরজুবলী ইউনিয়ন পরিষদের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক সদস্য রুহুল আমিনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।