ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ মোবাইল ইন্টারনেটের গতিতে বৈশ্বিক অবস্থানে অনেক পিছিয়ে বাংলাদেশ। ওকলা’স স্পিডটেস্ট গ্লোবাল ইনডেক্স মতে, ১৩৮টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১৩৩।
দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে নেপাল, শ্রীলংকা ও পাকিস্তানের চেয়ে পিছিয়ে আছে বাংলাদেশ। শুধুমাত্র আফগানিস্তান আছে বাংলাদেশের পরে।
অন্যদিকে ব্রডব্র্যান্ডের গতির ক্ষেত্রে বৈশ্বিক তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ১৭৫টি দেশের মধ্যে ৯৮তম। এ ক্ষেত্রে অবশ্য নেপাল (১১৩), পাকিস্তান (১৫৯) বাংলাদেশের চেয়ে পিছিয়ে থাকলেও ভারত (৭০) এগিয়ে।
ওকলা’স স্পিডটেস্ট গ্লোবাল ইনডেক্স মতে, গত সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশে মোবাইল ডাটার ডাউনলোড গতি ছিল প্রতি সেকেন্ডে ১০ দশমিক ৭৬ মেগাবাইট (এমবিপিএস)। যেখানে বিশ্বে গড় গতি ছিল ৩৫ দশমিক ২৬ এমবিপিএস।
বাংলাদেশে গড় মোবাইল আপলোড গতি ছিল ৬ দশমিক ৯৬ এমবিপিএস এবং ল্যাটেনসি ছিল ৩৯ মিলি সেকেন্ড (এমএস)। যেখানে বৈশ্বিক গড় ছিল ১১ দশমিক ২২ এমবিপিএস এবং ৪২ এমএস।
মোবাইল ইন্টারনেট গতির হিসাবে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে মালদ্বীপ সবার ওপরে। তালিকায় ৫৭তম অবস্থানে থাকা মালদ্বীপে ডাউনলোডের গতি ৩৫ দশমিক ৭০ এমবিপিএস, যা বৈশ্বিক গড় গতির চেয়ে সামান্য বেশি।
এরপর রয়েছে শ্রীলঙ্কা (১০২), সেখানে মোবাইল ইন্টারনেটের গতি ১৯ দশমিক ৯৫ এমবিপিএস। পাকিস্তানে (১১৬) গতি ১৭ দশমিক ১৩ এমবিপিএস, নেপালে (১১৭) গতি ১৭ দশমিক ১২ এমবিপিএস, ভারতে (১৩১) গতি ১২ দশমিক ৭ এমবিপিএস এবং আফগানিস্তানে (১৩৮) মোবাইল ইন্টানেটের গতি ৭ দশমিক ২৬ এমবিপিএস।
অন্যদিকে ব্রডব্র্যান্ড ইন্টারনেট গতির ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অবস্থান কিছুটা ভালো। ১৭৫টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ৯৮।
ব্রডব্র্যান্ড ইন্টারনেট ক্ষেত্রে বাংলাদেশে ডাউনলোড গতি ২৯ দশমিক ৮৫ এমবিপিএস, আপলোড গতি ৪৫ দশমিক ৭৪ এমবিপিএস এবং ল্যাটেনসি ২১ এমএস। যেখানে বৈশ্বিক গড় ডাউনলোড গতি ৮৫ দশমিক ৭৩ এমবিপিএস।
এ ক্ষেত্রে ভারতে (৭০) গতি ৪৬ দশমিক ৪৭ এমবিপিএস, শ্রীলঙ্কার (৯৪) গতি ৩১ দশমিক ৪২ এমবিপিএস, নেপালে (১১৩) গতি ২২ দশমিক ৩৬ এমবিপিএস, মালদ্বীপে (১১৭) গতি ২১ দশমিক ৫৬ এমবিপিএস, ভুটানে (১২৬) গতি ১৯ দশমিক ০৯ এমবিপিএস, আফগান্তিানে (১৫৭) গতি ১০ দশমিক ৩১ এমবিপিএস এবং পাকিস্তানে (১৫৯) গতি ১০ দশমিক ১০ এমবিপিএস।