DMCA.com Protection Status
title="৭

আমাদের মুক্তিযুদ্ধে ইন্দিরা গান্ধীর অসামান্য অবদানের জন্য ইন্দিরা মঞ্চ তৈরী করবঃমোজাম্মেল হক।

ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ  বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে ইন্দিরা গান্ধীর অবদান অনস্বীকার্য। এ দেশের জন্য বহির্বিশ্বে তিনি জনমত গঠন করেছেন। তার একক প্রচেষ্টায় মাত্র ৯ মাসে আমাদের স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন অবৈধ হাসিনা সরকারের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।

 

তিনি বলেন, আমরা একটু অকৃতজ্ঞ কারণ, যেই মহীয়সী নারী আমাদের মহান স্বাধীনতায় এত অর্জন রাখল তাকে সেভাবে স্মরণ করতে পারিনি। তার নামে আমরা কিছু করতে পারিনি, কিছু বানাতে পারিনি। তবে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আমরা ইন্দিরা মঞ্চ তৈরি করব, বঙ্গবন্ধু মঞ্চের পাশেই এ মঞ্চটি তৈরি হবে।

জাতীয় প্রেস ক্লাবে শনিবার বাংলাদেশ সচেতন নাগরিক কমিটি আয়োজিত ইন্দিরা গান্ধীর স্মরণসভায় মন্ত্রী এ কথা বলেন। সভায় অংশ নেন যুগান্তর সম্পাদক ও জাতীয় প্রেস ক্লাব সভাপতি সাইফুল আলম, বিএসএমএমইউ’র সাবেক ভিসি ডা. কামরুল হাসান, সাবেক রাষ্ট্রদূত ও সংগঠনটির আহ্বায়ক নিম চন্দ ভৌমিক, মুক্তিযোদ্ধা ড. ফজলে এলাহী প্রমুখ।

স্মরণসভায় মুক্তিযুদ্ধবিষয়কমন্ত্রী আরও বলেন, ইন্দিরা গান্ধী যখন স্বাধীনতার পক্ষে অবস্থান নেন তখন ভারতের কিছু ব্যক্তি বাধা তৈরি করে। তবে তিনি তাদের বলেছিলেন, আমি ন্যায়ের পক্ষে, জনগণের পক্ষে অবস্থান নিয়েছি। একইভাবে আমেরিকায় একদল সাংবাদিক তাকে পাকিস্তান যুদ্ধের উস্কানিদাতা হিসেবে প্রশ্ন করেন। জবাবে ইন্দিরা বলেছিলেন, আমি জনগণের পক্ষে, তাদের মুক্তির জন্য আমার অবস্থান। 

মন্ত্রী বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারতের সব বর্ডার খুলে দিয়েছেন আমাদের জন্য, এক কোটি মানুষকে আশ্রয়, খাদ্য সহায়তা দিয়েছেন, ২ লাখ মানুষকে প্রশিক্ষণ দিয়ে আমাদের সহযোগিতা করেছেন। অথচ এত অবদানের পরও আমরা ইন্দিরা গান্ধীকে সেভাবে সম্মান দিতে পারিনি, তার সম্মানে কিছু করতে পারিনি।

যুগান্তর সম্পাদক ও জাতীয় প্রেস ক্লাব সভাপতি সাইফুল আলম বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় চীন, আমেরিকার মতো পরাশক্তিগুলো প্রকাশ্যে বিরোধিতা করলেও ইন্দিরা গান্ধী আমাদের স্বাধীনতার জন্য বিশ্বের নানা প্রান্তে জনমত তৈরি করেছেন। ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে যখন হত্যার চেষ্টা করা হয় সে সময় ইন্দিরা গান্ধী ‘র’-এর প্রধানকে পাঠিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধুকে সতর্ক করার জন্য।

সাইফুল আলম আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর ষড়যন্ত্রকারীরা এখনও ক্ষান্ত হয়নি। সে ষড়যন্ত্রকারীরা এখনও আছে। তাদের বিরুদ্ধে দৃঢ়তার সঙ্গে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। যাতে ওই শক্তি মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে না পারে। তখন একশ্রেণির মানুষ আমাদের বিরোধিতা করেছে, আজও সেই ষড়যন্ত্র থেমে নেই। এই ষড়যন্ত্রকারীদের বিচারে কমিশন গঠনের জোর দাবি জানাই, যার মাধ্যমে জীবিতদের পাশাপাশি মৃতদের মরণোত্তর বিচার করা হবে।

Share this post

scroll to top
error: Content is protected !!