ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন স্থানে সাবেক রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবর রহমানের মুর্তি স্থাপন করা নিয়ে দেশের সচেতন মুসলিম জনতা, আলেম সমাজ সহ সর্বস্তরের জনসাধারনের মাঝে ব্যপক অসন্তোষ এবং প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। এই বিষয়টি নিয়ে বহুল আলোচিত সমালোচিত বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক গোলাম রব্বানী সামাজিক গন মাধ্যমে একটি লেখা লেখেন।
গোলাম রব্বানীর সেই লেখাটি নীচে দেয়া হলোঃ
মূর্তি বানিয়ে তাকে সৃষ্টিকর্তা ভাবা, পুজা করা, কুর্নিশ করা (নাউজুবিল্লাহ, সরাসরি শিরক!) আর বিশ্বের বুকে একটা নতুন মানচিত্র ও জাতি রাষ্ট্রের জন্ম দেওয়া আদর্শিক পিতার অসামান্য অবদান ও মহান স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা-সম্মান জানিয়ে তাঁর শৈল্পিক ভাষ্কর্য নির্মাণ যে এক জিনিস না,
এটা যে কোনো বোধসম্পন্ন মুসলমানের মতো মামুনুল হক নিজেও বেশ জানেন ও বোঝেন। স্রেফ এদেশের ‘ধর্মপ্রাণ মুসলিমদের অনুভূতিকে হীন রাজনৈতিক স্বার্থে অপব্যবহার করতেই এই জামায়াত নেত্রীর স্বামী ও জামায়াত রুকনের জামাই অবান্তর প্রলাপ বকে চলেছেন!!
আমাদের প্রাণপ্রিয় নবী করিম (সাঃ) বিদায় হজ্বের ভাষণে ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি করতে স্পষ্ট বারণ করেছেন। সীমা লঙ্ঘনকারীকে কিন্তু স্বয়ং আল্লাহও পছন্দ করেন নাহ! তিনি যে গর্হিত ভাষায় ও টোনে বক্তব্য দেন, তা শিষ্টাচার বহির্ভূত ধৃষ্টতা, সরাসরি রাষ্ট্র দ্রোহিতার শামিল। এটা কোনভাবেই একজন সহীহ দ্বীনি আলেমের বক্তব্য হতে পারে না।
অনতিবিলম্ব এই লেবাসধারী ধর্ম ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হোক, আর ধর্মীয় উগ্রবাদিতা ছড়ানোর অপচেষ্টায় রত খেলাফত মজলিসকে মামুনুলের মতো সাম্প্রদায়িক উগ্রবাদী নেতাদের প্রভাবমুক্ত করা অত্যন্ত জরুরী।
ডিএমপির কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের প্রতি আহবান থাকবে, এই (অ)ভদ্রলোক ও তার অনুসারীদের জঙ্গি সংশ্লিষ্টতার বিষয়টি ভালোভাবে তদন্ত করা হোক। খেলাফত মজলিস জামায়াতের সমর্থনপুষ্ট এবং এ অংশটি থেকেই কওমী মাদ্রাসায় জঙ্গিবাদের সূচনা হয়। হরকাতুল জেহাদের নেতারা আগে খেলাফত মজলিসের সঙ্গে যুক্ত ছিল।
গ্রেনেড হামলায় যুক্ত জঙ্গি মুফতি শহিদুলের নেতৃত্বে এই মামুনুল হকরাই মোহাম্মদপুরের মাদ্রাসা দখল করেছিল, যা দ্রুত দখলমুক্ত করে প্রকৃত মালিকদের ফিরিয়ে দেয়ার ব্যবস্থা করা সরকারের দায়িত্ব বলে মনে করি।
খেলাফত-হেফাজতের বিরাট জমায়েতের মূল রহস্য হচ্ছে, নিয়ন্ত্রাধীন সকল মাদ্রাসার ছাত্রদের তাদের ঘোষিত সমাবেশে আসতে বাধ্য করা হয়। তাই, মাদ্রাসার ছাত্রদের কোনো সমাবেশে নেয়া যাবে না- এই মর্মে নির্দেশনা জারি করা আবশ্যক।
আর আল্লাহর ঘর, পবিত্রতম স্থান মসজিদ কেন্দ্রীক যেকোনো মিটিং-মিছিল বন্ধ করতে হবে। শুক্রবার আসলে নামাজ শেষ হওয়ার আগেই এরা ব্যানার ফেস্টুন হাতে মসজিদের দরজায় ও গেটে দাঁড়িয়ে যায়, আর সাধারণ মানুষ মসজিদ থেকে বের হওয়া প্রায় সকল মুসল্লীকে এসব উগ্রবাদী গোষ্ঠীর কর্মী সমর্থক ভেবে ভুল করে।