ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ রাজধানীতে সম্মিলিত ইসলামী দলগুলোর শুক্রবারের বিক্ষোভ সমাবেশ ও গণমিছিল স্থগিত করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর একটি মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলন সংগঠনটির নেতারা জানান, ভাস্কর্যের নামে মূর্তি স্থাপনের প্রতিবাদে শুক্রবার জুমার নামাজের পর রাজধানীতে বিক্ষোভ সমাবেশ ও গণমিছিলের অনুমতি চেয়ে ডিএমপি বরাবর লিখিত আবেদন করা হয়েছিলো। কিন্তু অনুমতি পাওয়া যায়নি।
তাছাড়া পুলিশের অনুমতি ছাড়া রাজধানীতে রাজনৈতিক সামাজিক ও ধর্মীয় সংগঠনের সভা-সমাবেশ কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে নতুন করে এক আদেশ জারি করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ। আমরা শান্তি শৃংখলা ও নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলনে বিশ্বাসী। তাই আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে বিক্ষোভ কর্মসূচী স্থগিত ঘোষণা করা হলো। পরবর্তীতে কর্মসূচী পালন করা হবে ইনশাআল্লাহ।
মাওলানা আবু তাহের জিহাদীর সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, সম্মিলিত ইসলামী দলগুলোর মহাসচিব ও হেফাজতে ইসলামীর নায়েবে আমির আল্লামা জাফরুল্লাহ খান, সহ-সভাপতি ড. মাওলানা খলিলুর রহমান আল মাদানী, মাওলানা আহমাদ আলী কাসেমী, বাংলাদেশ জনসেবা আন্দোলনের চেয়ারম্যান মুফতি ফখরুল ইসলাম, ইসলামি জনতা পার্টির সভাপতি মাওলানা আজিজুর রহমান আজিজ, মুফতি ফয়জুল্লাহ আশরাফী, মাওলানা মোহাম্মদ হোসাইন আকন্দ ও মাওলানা ইয়ামিন হোসাইন আজমী প্রমূখ।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, রাজধানীতে এবং দেশের বিভিন্ন স্থানে রাস্তার মোড়ে মোড়ে মূর্তি তথা ভাস্কর্যের নামে যেভাবে মূর্তি স্থাপন করা হচ্ছে, তা কোন ক্রমেই একজন ঈমানদার মেনে নিতে পারেনা। কতিপয় তথাকথিত বুদ্ধিজীবিসহ কিছু কুচক্রীমহল ভাস্কর্য স্থাপনকে কেন্দ্র করে দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির পায়তারা করছে। মূলত:তারা দেশ, জাতি, ইসলাম ও দেশের স্বধীনতা-সার্বভৌমত্বের দুশমন। এভাবে ভাস্কর্যের নামে মূর্তি স্থাপন করে দেশে আল্লাহর গজব টেনে আনা হচ্ছে। ৯৫% মুসলিম অধ্যুষ্যিত এ দেশের বিবেকবান জনগণ কোনক্রমেই এ বিজাতীয় সংষ্কৃতি মেনে নিতে পারে না।