ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে যেসব হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হচ্ছে তা ইনটেনশনালি নয় বলে জানিয়েছেন ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী। তিনি বলেছেন, সীমান্ত হত্যা যাতে জিরোতে নেমে আসে সে চেষ্টা অব্যাহত থাকবে।
গতকাল রোববার চট্টগ্রাম চেম্বারে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন। এছাড়া এদিন চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে রোহিঙ্গা সংকট নিয়েও কথা বলেন ভারতীয় হাইকমিশনার।
চট্টগ্রাম চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলমের সভাপতিত্বে সভায় ভারতীয় হাইকমিশনার আরও বলেন, বাংলাদেশে বন্দর অবকাঠামো, যোগাযোগ ও ম্যানুফ্যাকচারিং খাতে কাজ করার প্রচুর সুযোগ রয়েছে। চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহারের মাধ্যমে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যসমূহ এমনকি ভুটান, নেপাল উপকৃত হতে পারে। তিনি বলেন, চট্টগ্রামে পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনাল পরিচালনা, বে-টার্মিনালে অর্থায়নসহ অবকাঠামো উন্নয়নে ভারতের আগ্রহ রয়েছে।
মাহবুবুল আলম বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট তুলে ধরে স্বাধীনতা যুদ্ধে সহযোগিতার জন্য ভারতের জনগণ ও সরকারের প্রতি ধন্যবাদ জানান। তিনি উভয় দেশের সম্ভাবনা কাজে লাগাতে পারস্পরিক সহযোগিতার ভিত্তিতে ১০ বছরের উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রণয়নে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, রাষ্ট্রদূত ও ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দের সমন্বয়ে বিশেষ টাস্কফোর্স গঠনসহ বিভিন্ন প্রস্তাব তুলে ধরেন।
সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে ভারতীয় হাইকমিশনার বলেন, মিয়ানমার থেকে আসা লাখ লাখ রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশ আশ্রয় দিয়েছে। এটা প্রশংসার দাবি রাখে। রোহিঙ্গাদের এখানে রাখার জন্য যে সুযোগ-সুবিধা দেয়া হয়েছে তাও চমৎকার। তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের স্থায়ীভাবে মিয়ানমারে ফেরত পাঠানোর ইস্যুতে ভারত সবসময় বাংলাদেশের পাশে থাকবে।
চেম্বারের সভায় ব্যবসায়ী নেতাদের মধ্যে এসএম আবু তৈয়ব, অঞ্জন শেখর দাশ, নাজমুল করিম চৌধুরী শারুন, সৈয়দ মোহাম্মদ তানভীর, মাহফুজুল হক শাহ, আমীর আলী হুসেইন বক্তব্য রাখেন। এ সময় চট্টগ্রামে নিযুক্ত ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনার শ্রী অনিন্দ্য ব্যানার্জী, হাইকমিশনারের পত্নী সংগীতা দোরাইস্বামী, দূতাবাসের সেকেন্ড সেক্রেটারি দীপ্তি আলংঘট, অতিরিক্ত কাস্টমস কমিশনার আবু নুর রাশেদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।