ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) সাবেক মিডনাইট আওয়ামী মেয়র সাঈদ খোকন এবং বর্তমান মিডনাইট আওয়ামী মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস দুজনকেই লুটেরা ও চরম দুর্নীতিবাজ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
মঙ্গলবার রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
রিজভী বলেন, সাঈদ খোকন বলছেন– মেয়র তাপস শত শত কোটি টাকা লুট করছেন। অন্যদিকে মেয়র তাপস বলছেন– শত শত কোটি টাকা লুট করেছেন সাঈদ খোকন। দুজনই রাজপথে দাঁড়িয়ে প্রকাশ্যে একে অপরের দুর্নীতি ও লুটপাটের ফিরিস্তি দিচ্ছেন। তবে এটি স্পষ্ট দুজনই লুটেরা ও দুজনই দুর্নীতিবাজ।
‘এখন দুদক কী করবে– তামাশা দেখবে না পদক্ষেপ নেবে। দুদক পদক্ষেপ নিতে পারবে না। কারণ দুজনই ক্ষমতাশালী এবং শীর্ষ নেতৃত্বের আত্মীয় ও ঘনিষ্ঠজন।’
তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনার দুদক এই দুজনের বিরুদ্ধে এক পা-ও অগ্রসর হতে পারবে না। কারণ বিএনপি নিধনের জন্যই দুদককে সাজিয়েছেন শেখ হাসিনা।
বিএনপির এ নেতা আরও বলেন, কথিত ওয়ান ইলেভেনের অনিয়মতান্ত্রিক ও অসাংবিধানিক সরকারের কাণ্ডজ্ঞানহীনতার কারণে গত এক যুগ ধরে জনগণের ঘাড়ে জগদ্দল পাথরের এমন একটি সরকার চেপে বসেছে; যাদের নীতি গুম, খুন, অপহরণ, অবিচার, অনাচার, লুটপাট, টাকাপাচার আর দুর্নীতি।
তিনি বলেন, অবস্থা বর্তমানে এতটাই বিপর্যকর অবস্থায় দাঁড়িয়েছে, গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার হরণকারী নিশিরাতের এ সরকারের নেতা, মন্ত্রী, এমপি এবং মেয়ররা দুর্নীতির টাকার ভাগবাটোয়ারা নিয়ে এখন নিজেরাই একে অপরের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে শুরু করেছেন।
রিজভী বলেন, সরকারের মেগা মেগা মহাদুর্নীতির মহাসাগর থেকে ছিটেফোটা চিত্র দু-একজন নেতার মুখ দিয়ে বেরিয়ে আসছে। আপনারা অবগত আছেন, নির্বাচনের নামে প্রহসনের মাধ্যমে জনগণের ভোটাধিকার হরণ করে ঢাকা সিটি দক্ষিণের মেয়রের পদ দখল করেছিলেন সাঈদ খোকন।
‘তার মেয়াদ শেষ হওয়ার পর নিশিরাতের এমপি পদ ছেড়ে কোন মধুর লোভে মধুমতি ব্যাংকের চেয়ারম্যান ফজলে নূর তাপস মেয়র পদ দখল করেছেন, সেই মধুভাণ্ডের কাহিনী এখন আরব্য রজনীর গল্পের মতো মনে হলেও সেটিই বাস্তবে ঘটেছে।’