ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনে ‘নজিরবিহীন ভোটডাকাতি ও সন্ত্রাস’ হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি।
দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, চট্টগ্রামে ভোটের নামে চূড়ান্ত পর্যায়ের তামাশা, প্রহসন করা হয়েছে। এটা আজ প্রমানিত যে হাসিনা সরকারের সময়ে সুষ্ঠু নির্বাচন অচেনা হয়ে যাবে।
গতকাল বুধবার চট্টগ্রামে ভোট চলার মধ্যেই দুপুরে ঢাকার নির্বাচন ভবনে গিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের বরাবরে এক গুচ্ছ লিখিত অভিযোগ করে বিএনপি।
সেখানে রিজভী সাংবাদিকদের বলেন, আমরা ভোটের ৩ ঘণ্টার সংক্ষিপ্ত চিত্র দিয়েছি। এটি নজিরবিহীন নির্বাচন। দিনের ভোট রাতে হয়।
এ সময় প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে ‘সুষ্ঠু নির্বাচন ও গণতন্ত্র হত্যাকারী ঘাতক’ বলেও আখ্যায়িত করেন তিনি। সিইসিকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ‘এদেশে সুষ্ঠু নির্বাচন ও গণতন্ত্রকে হত্যাকারী ঘাতক হচ্ছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার। হুকুমের আসামি সরকার প্রধান।’
অন্তত ২০টি বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে জানিয়ে বিএনপির অন্যতম এই জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, এ ভোটে এজেন্টদের বের করে দেওয়া হয়েছে; আজকে দুজন মারা গেছেন। এটা সহিংসতার নির্বাচন। আওয়ামী লীগ শান্তিপূর্ণ ভোটের কথা বলে, তার দৃষ্টান্ত দুই তিন ঘণ্টার মধ্যে ঘটেছে। সিটি নির্বাচন এলাকায় চরম সহিংস অবস্থা বিরাজ করছে।
রিজভী দাবি করেন, চট্টগ্রামে নির্বাচনী সহিংসতায় তাদের দলের অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। ভোটাররা যাতে কেন্দ্রে যেতে না পারেন সে জন্য ‘বাধা দেওয়া হচ্ছে’। পুলিশ ‘কিছু করতে পারছে না’।
তিনি বলেন, চট্টগ্রামের ভোটে পুলিশি তাণ্ডব চলছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তায় আরেকটি জালিয়াতির নির্বাচন চলছে।
প্রসঙ্গত চট্টগ্রামের ৭৩৫টি কেন্দ্রে বুধবার সকাল ৮টায় ইভিএমে ভোটগ্রহণ শুরুর পর থেকেই বিএনপির মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা তাদের এজেন্টদের বের করে দেওয়ার অভিযোগ করতে থাকেন। মেয়র প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেনের দাবি তার এজেন্টদের মারধর করে বের করে দেওয়া হয়েছে।