ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ সারাদেশ ব্যাপী টিকাদান কর্মসূচির প্রথম দিনে করোনা ভাইরাসের টিকা নিয়েছেন অবৈধ হাসিনা সরকারের স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। রবিবার (৭ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টা ২০ মিনিটে রাজধানীর শেখ রাসেল জাতীয় গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে টিকা নেন তিনি।
এর আগে রবিবার (৭ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টায় মহাখালী স্বাস্থ্য ভবনে ভার্চুয়ালি দেশব্যাপী টিকা কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। সারাদেশে ১ হাজার ৫ টি কেন্দ্রে শুরু হয় এ টিকাদান কর্মসূচি।
দেশব্যাপী কোভিড-১৯ টিকাদান কার্যক্রম উদ্বোধন অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, ‘করোনা ভাইরাসের টিকা নিয়ে আমরা কোনো গুজব কিংবা সমালোচনা চাই না। এ দিনটি আমাদের জন্য শুভদিন।’
মন্ত্রী বলেন, ‘করোনার টিকাদানের মাধ্যমে দেশে একটি মহৎ কাজের শুরু হলো আজ।’ এর আগে যারা টিকা নিয়েছেন তারা সবাই সুস্থ আছেন বলে জানান তিনি।
টিকাদান কর্মসূচির প্রথম দিনে দেশের বিভিন্ন জেলার ৯৫৫টি হাসপাতালে টিকা দেওয়া হবে। এই কর্মসূচি বাস্তবায়নে মোট দুই হাজার ১৯৬টি দল কাজ করছে। গতকাল বিকেল ৪টা পর্যন্ত মোট তিন লাখ ২৮ হাজার ১৩ জন ভ্যাকসিন নিতে অনলাইনে নিবন্ধন করেছেন।
ঢাকায় ৫০টি হাসপাতালে ৫০টি কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। মোট ২০৪টি দল ঢাকার টিকাদান পরিচালনা করবে। করোনার টিকাদান কার্যক্রম পরিচালনায় ১৪ হাজার ৬৮৮ জন ভ্যাকসিনেটর এবং ২৯ হাজার ৩৭৬ জন ভলান্টিয়ারকে প্রশিক্ষণ দিয়েছে সরকার।
বাংলাদেশে মোট জনসংখ্যার ৮০ শতাংশ, অর্থাৎ ১৩ কোটি ৮২ লাখ ৪৭ হাজার ৫০৮ জন মানুষকে করোনা ভাইরাসের টিকা দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে সরকার। প্রত্যেককে দুই ডোজ টিকা দেওয়া হবে।
প্রাথমিকভাবে প্রথম ডোজের আট সপ্তাহ পরে দ্বিতীয় ডোজ টিকা দেওয়ার পরিকল্পনা হলেও সেখানে পরিবর্তন এসেছে। আরও আগেই দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হবে বলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক জানিয়েছেন।
গত ২৭ জানুয়ারি দেশে প্রথম করোনার টিকা প্রদান শুরু হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। এর একদিন পর ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল, বাংলাদেশ কুয়েত মৈত্রী হাসপাতাল, মুগদা জেনারেল হাসপাতাল এবং বিএসএমএমইউয়ে প্রাথমিকভাবে ৫৪১ জনকে টিকা প্রদান করা হয়।