DMCA.com Protection Status
title="শোকাহত

শহীদ জিয়ার খেতাব বাতিলের প্রতিবাদে বুধবার দেশব্যাপী বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশ।

ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ  মহান স্বাধীনতার ঘোষক এবং বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের বীর-উত্তম খেতাব বাতিল উদ্যোগের প্রতিবাদে আবারও বিক্ষোভ কর্মসূচি দিয়েছে বিএনপি। বরিশাল বিভাগ ছাড়া দেশের সব মহানগর ও জেলায় আগামী বুধবার এ কর্মসূচি পালিত হবে। 

দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন রোববার বিকালে সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন। গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে স্থায়ী কমিটির শনিবারের বৈঠকের সিদ্ধান্ত জানাতে এ সংবাদ সম্মেলন ডাকা হয়। এতে স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান ও চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম উপস্থিত ছিলেন।

খন্দকার মোশাররফ বলেন, জাতীয় স্থায়ী কমিটির সভায় স্বৈর ও মাফিয়াতন্ত্র পতনের দাবিতে এবং শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের বীর-উত্তম খেতাব বাতিলের সরকারি অপচেষ্টার প্রতিবাদে বুধবার বরিশাল বিভাগ ছাড়া সারা দেশে মহানগর ও জেলায় প্রতিবাদ সমাবেশ এবং বিক্ষোভের কর্মসূচি পালনের সিদ্ধান্ত হয়। একই সঙ্গে পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী ১৮ ফেব্রুয়ারি বরিশাল সদরে আয়োজিত সমাবেশে দল ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের অংশ নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি। 

পরে আরও কর্মসূচি আসবে কি না জানতে চাইলে খন্দকার মোশাররফ বলেন, ধাপে ধাপে অবশ্যই কর্মসূচি থাকবে। এছাড়া গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও সরকার পতনের আন্দোলন আমাদের চলমান আছে। বিভাগীয় সমাবেশ শুরু করতে যাচ্ছি। ১৮ তারিখ বরিশালে যে সমাবেশ, এটাও তো আমাদের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, মানুষের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার দাবিতে অনুষ্ঠিত হবে। এভাবে আন্দোলনকে আমরা আমাদের লক্ষ্যে নিয়ে যেতে চাই। 

তিনি বলেন, জিয়াউর রহমানের খেতাব বাতিলের উদ্যোগ গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলন থেকে জনগণের দৃষ্টিকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার সরকারি পরিকল্পনার অংশ।

স্থায়ী কমিটির এ সদস্য বলেন, একটি সোর্সের ওপরে, একটি সাপ্লাইয়ের ওপরে আমাদের নির্ভর করা সমীচীন হচ্ছে না। কোনো দেশই একটি সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান থেকে এই টিকা আনার ব্যবস্থা নেয়নি, তারা একাধিক সূত্র থেকে কেনার ব্যবস্থা নিয়েছে। তাই আমরা এখনো বলছি, আমাদের বিকল্প সোর্স যদি খোঁজা না হয়, তাহলে কিছুদিন পরে যে পরিমাণ টিকার প্রয়োজন, সেই পরিমাণ দেওয়া সম্ভব হবে না। 

বিএনপি পায়ে পাড়া দিয়ে ঝগড়া করছে-আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এ মন্তব্যের জবাবে নজরুল ইসলাম খান বলেন, আপনারা (সাংবাদিক) নিজেরাই তো সাক্ষী। শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে যে ঘটনা ঘটেছে-এই ঝগড়াটা কে লাগিয়েছে? বিএনপি না সরকারের পুলিশ। এটার জন্য আমাদেরকে প্রশ্ন না করে বরং তাকে বলা উচিত, আপনি এই কথা বলতেছেন; কিন্তু আপনাদের লোকরাই তো ঝগড়া লাগাচ্ছে।

Share this post

scroll to top
error: Content is protected !!