ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ নোয়াখালীতে অবৈধ হাসিনা সরকারের সেতুমন্ত্রীর ছোট ভাই ও বসুরহাট পৌর মেয়র আবদুল কাদের মির্জা ও সদর আসনের মিডনাইট সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরীর রাজনৈতিক বিরোধে, সর্বত্র উত্তেজনা বিরাজ করছে। উদ্বেগ-উৎকন্ঠার মধ্যে রয়েছেন সাধারণ মানুষ। ইতিমধ্যেই এই দুই জনের সমর্থকদের মাঝে সংঘর্ষের ঘটনায় গুলিতে আহত সাংবাদিক বোরহান উদ্দিন মুজাক্কের গতরাতে মারা গেছেন। এতে ক্ষোভ বিরাজ করছে, স্থানীয় সাংবাদিকসহ সর্বস্তরের জনগণের মাঝে।
নোয়াখালীর অপরাজনীতি বন্ধ,এমপি একরাম চৌধুরী ও এমপি নিজাম হাজারীকে দল থেকে বহিষ্কার,জেলা প্রশাসক,পুলিশ সুপার,কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি প্রত্যাহার ও অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারের দাবীতে আন্দোলন করে আসছেন, বসুরহাট পৌর মেয়র আবদুল কাদের মির্জা। দলের ভেতর-বাইরের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বক্তব্য দিয়ে, নানা আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দেন তিনি।
আন্দোলন শান্তিপূর্ণ ভাবেই চলছিলো। কোম্পানীগঞ্জের সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদল মাঠে নামার পরই, তা সংঘাতে রূপ নেয়। উভয় গ্রুপের সংঘর্ষে সাংবাদিক মুজাক্কেরসহ আহত হয় অর্ধশত। গুলিবিদ্ধ সাংবাদিক মুজাক্কের গতরাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
উভয় পক্ষ মুজাক্কেরকে নিজেদের কর্মী দাবী করে বক্তব্য বিবৃতি দিচ্ছে। এদিকে, সকল কর্মসূচী স্থাগিত করেন, আবদুল কাদের মির্জা।
অপরদিকে,দলের শৃংখলা ভঙ্গের অভিযোগে, মির্জা কাদের মির্জাকে দল থেকে বহিস্কারের দাবী জানিয়েছে, স্থানীয় আওয়ামীলীগের একাংশ। শনিবার বিকেলে তাকে দল থেকে বহিষ্কারের সুপারিশ করা হলেও, মাত্র ২ ঘন্টার মাথায় তা প্রত্যাহার করা হয়। তবে, বহিষ্কারের দাবীতে অনড়, জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক একরাম চৌধুরী।।
দলীয় নেতাকর্মীদের মাঝে উত্তেজনা বিরাজ করছে। উদ্বেগ উৎকন্ঠায় রয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। সাধারণ মানুষের জান মাল রক্ষায় রাজনৈতিক অস্থিরতা দুর করে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে, প্রধানমন্ত্রীর দ্রুত হস্তক্ষেপ চেয়েছেন নোয়াখালী জেলাবাসী।