ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ এবার ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ পালন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি। তাদের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
তবে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কতৃক বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের বিরত্ব সূচক খেতাব বাতিল এবং জিয়াকে স্বাধীনতার ঘোষক হিসাবে স্বিকার না করার পরিস্থিতিতে বিএনপি এই অযাচিত ভাবে ৭ই মার্চ পালনের সিদ্ধান্ত দলটির কোটি কোটি কর্মী সমর্থকদের ক্ষুব্ধ এবং ব্যথিত করবে বলে আমরা আশংকা করছি।
জানা যায়,দলীয় চেয়ারপারসন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় ৩ বছরেরও অধিক সময় কারাগারে আটক রাখা এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দেশনায়ক তারেক রহমানকে মিথ্যা মামলায় সাজা প্রদান ইত্যাদির জোরালো প্রতিবাদ না করে মিডনাইট হাসিনা সরকারের সঙ্গে সখ্যতা রেখে বিএনপির এই রাজনীতি দলের অধিকাংশ নেতা-কর্মীদেরই পছন্দ নয়।
বুধবার বিএনপি নেতা খন্দকার মোশাররফ হোসেন স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তিতে মাসব্যাপী আয়োজন ঘোষণা করেন। যেখানে ৭ই ও ২৫শে মার্চেও কর্মসূচিও রাখা হয়েছে।
১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ভাষণ ও ২৫শে মার্চ কালরাতের জাতীয় গণহত্যা দিবস এতদিন কখনও পালন করেনি বিএনপি। এবার প্রথমবারের মতো এই দুটি দিবস পালন করবে দলটি।
বিএনপি নেতারা বলছেন, ‘স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তিতে রাজনৈতিক গণ্ডি থেকে বের হয়ে সর্বজনীন করার জন্যই মাসব্যাপী নানা আয়োজন রাখা হয়েছে, যাতে দেশের সর্বস্তরের জনগণ অংশগ্রহণ করতে পারে।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ক্ষমতাশীল দলতো জিয়াউর রহমানকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকারই করে না। তারা তার খেতাব বাতিলের জন্য অপচেষ্টা করে যাচ্ছে। সুতরাং আওয়ামী লীগ কি বললো আমাদের কিছু যায় আসে না। বিএনপি মুক্তিযোদ্ধাদের দল, আমরা আমাদের মত করেই স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালন করবো।
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনে বিএনপির কর্মসূচিতে ৭ই মার্চ ও ২৫শে মার্চ আলোচনা সভা করার কথা জানানো হয়েছে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, আমরাতো অনেক আগে থেকেই ২৫শে মার্চ কালোরাত্রি হিসেবে আলোচনা করি। স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তিতে যেসব গুরুত্বপুর্ন দিন আছে সেই হিসেবে ৭ই মার্চও আমরা পালন করবো। এ বিষয়ে আওয়ামী লীগ যদি ইতিবাচক হয় তাহলে ভালো।
ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ পালনে বিএনপির এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
বিএনপির শাসনামলে রেডিও-টেলিভিশনে শেখ মুজিবের ৭ই মার্চের ভাষণ কার্যত নিষিদ্ধ ছিল। ২০১৭ সালে ইউনেসকো ৭ই মার্চের ভাষণকে বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ প্রামাণ্য ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।