DMCA.com Protection Status
title="৭

ভিপি নুর ‘গুলিবিদ্ধ’ হবার মিথ্যা স্ট্যাটাস নিয়ে ধূম্রজালঃনেপথ্যে কারা???

ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ ভারতের প্রধানমন্ত্রী  নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশে সফরের বিরোধিতা করে বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে মতিঝিলের শাপলা চত্বরে যুব অধিকার পরিষদের ব্যানারে ডাকা হয় বিক্ষোভ মিছিল।  অনুমতি না নিয়ে বিক্ষোভ করায় পুলিশ বাধা দেয়।  এতে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষ হয় পুলিশের। পরবর্তীতে নুরুল হক নুরের ফেসবুক পেজ থেকে দাবি করা হয় তিনি গুলিবিদ্ধ। পরবর্তীতে নুর লাইভে আসেন। এরপরই পোস্ট আর দেখা যায়নি। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখা দেয় ধূম্রজাল। 

পুলিশ জানায়, সংঘর্ষ চলাকালীন ‘শিশুবক্তা’ মাওলানা রফিকুল ইসলামসহ ৩৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়। পরে অবশ্য বিকাল ৫ টার দিকে পল্টন মডেল থানা থেকে পরিবারের জিম্মায় মাওলানা রফিকুলকে ছেড়ে দেয় পুলিশ। 

এদিকে বিক্ষোভ মিছিল ও সংঘর্ষের ঘটনার পর দুপুর ১২টা ৫৪ মিনিটে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ‘Nurul Haque Nur’ নামের একটি পেজ থেকে ‘ভিপি নুর গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত’ উল্লেখ করে একটি স্ট্যাটাস দেওয়া হয়। এর ঠিক দুই ঘণ্টা ২৬ মিনিট পর অর্থাৎ বিকাল ৩টা ২০ মিনিটে একই ফেসবুক পেজ থেকে নুরুল হক নুর লাইভে আসেন।

এ সময় নুর দাবি করেন, আমি আল্লাহুর রহমতে এখনো পর্যন্ত ভালো আছি। সুস্থ আছি। ধন্যবাদ সবাইকে। যদিও লাইভ শেষ হওয়ার পর ‘ভিপি নুর গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত’ সংক্রান্ত স্ট্যাটাসটি আর সেখানে খুঁজে পাওয়া যায়নি।

তবে এ বিষয়ে ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরের বক্তব্য জানতে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি। 

৩৪ মিনিটের ফেসবুক লাইভে নুরুল হক নুর বলেন, আমার ধারণা, পুলিশ এই মিছিলে গুলি করেনি। গুলি করেছে ছাত্রলীগ-যুবলীগের ক্যাডাররা। আওয়ামী লীগ, যুবলীগের মধ্যে থাকা মোদির দালাল এবং র-এর এজেন্টরা। আজকে শান্তিপূর্ণভাবে আমরা মিছিল করছিলাম। সেখানে কেন পুলিশ-যুবলীগ-ছাত্রলীগ কোনো ধরনের উসকানি ছাড়াই লাঠিচার্জ করল? এবং মতিঝিলে আমরা যখন এসেছি, তারা অতর্কিতভাবে হামলা করল।

এ সময় ৩৮ জনকে আটক করা হয়েছে বলেও নুর দাবি করেন। পাশাপাশি তাদের মুক্তিও দাবি করেন তিনি। 

লাইভে নুর আগামীকাল শুক্রবার (২৬ মার্চ) দলের নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবিতে শাহবাগে সমবেত হওয়ার আহ্বান জানান।

এদিকে মতিঝিলের সংঘর্ষ, আটক বিষয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মতিঝিল বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) সৈয়দ নুরুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, ‘অবৈধ সমাবেশ ও পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় আমরা মোট ৩৩ জনকে আটক করেছিলাম। তাদের মধ্যে ‘শিশুবক্তা’ রফিকুল ইসলামকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বাকি ৩২ জন আমাদের হেফাজতে রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে।

পুলিশ কর্মকর্তা সৈয়দ নুরুল ইসলাম বলেন, ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরের লোকজন বিক্ষোভ বা সমাবেশ করার আগে ডিএমপি থেকে অনুমতি নেয়নি। ফলে আমরা বাধা দিলাম। বাধা দিলে পুলিশকে লক্ষ্য করে হামলা করে তারা। এতে পুলিশের সাত সদস্য আহত হয়েছেন। চারজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আমরা ভিপি নুরকে খুঁজছি।

Share this post

scroll to top
error: Content is protected !!