ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ আজ বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতার সুবর্ন জয়ন্তী ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে,
বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দেশনায়ক তারেক রহমান এক বাণী দিয়েছেন—
বাণীতে তারেক রহমান বলেন, “মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস আমাদের জাতীয় জীবনে এক গৌরবোজ্জল সোনালী দিন।লাখো শহীদের জীবন আর মুক্তিযোদ্ধাদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীতে আমাদের শপথ হোক গণতন্ত্র ওবাক স্বাধীনতা পুণরুদ্ধারের। এ দিনে বিশ্ব মানচিত্রে দেশমাতৃকার স্বাধীন সত্ত্বা প্রকাশিত হয়েছে। এ বছর আমাদের মহানস্বাধীনতার ৫০ বছর তথা সূবর্ণ জয়ন্তী। আজকের এই দিনে আমি দেশবাসী ও প্রবাসী বাংলাদেশীসহ সবাইকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।
তিনি বলেন, এ মহান দিনে আমি শ্রদ্ধা জানাই স্বাধীনতা–যুদ্ধের বীর শহীদদের স্মৃতির প্রতি। যাদের আত্মত্যাগে আমরা অর্জন করেছি স্বজাতির মুক্তি। মহান স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানসহ সকল জাতীয় নেতার স্মৃতির প্রতি
আমি জানাই গভীর শ্রদ্ধা। স্মরণ করি সেইসব বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অবদানের কথা, যাদের নয়মাস জীবন মরণ লড়াইয়ে আমরা বিজয়লাভ করেছি। আমি শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি সে সব মা বোনদের কথা, যারা মাতৃভূমির স্বাধীনতার জন্য সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারকরেছেন।
তারেক রহমান বলেন, ২৬ মার্চ আমাদের এমন এক মহিমান্বিত দিন, আমাদের হাজার বছরের ইতিহাসে শ্রেষ্ঠ অর্জণ, স্বাধীনতা যাসংগ্রাম আর যুদ্ধের রক্তস্নাত পথে বিশ্ব মানচিত্রে উদ্ভাসিত হয় আমাদের মাতৃভূমি। এ দিনে দেশমাতৃকার শ্রেষ্ঠ সন্তান শহীদপ্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেছিলেন। তাঁর ঐতিহাসিক ঘোষণায় দিশেহারা জাতি পেয়েছিলমুক্তিযদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার অভয়মন্ত্র। ফলে দীর্ঘ নয়মাস ইতিহাসের এক ভয়ংকর রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর জাতি মুক্তিলাভ করে।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, একটি শোষণ, বঞ্চনাহীন গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় নিয়ে এদেশের মানুষএকাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছে। নানা কারণে আমরা সে লক্ষ্য অর্জনে সক্ষম হইনি। বার বার ফ্যাসিবাদী, স্বৈরাচারীশক্তি আমাদের সে লক্ষ্য পূরণ করতে দেয়নি। দেশি–বিদেশী চক্রান্তের ফলে আমদের গণতান্ত্রিক পথচলা বারবার হোঁচটখেয়েছে। বেগম খালেদা জিয়াই বারবার অবিচল আপোষহীন আন্দোলনে গণতন্ত্রকে স্বৈরশাহীর লোহার খাঁচা থেকে অর্গল মুক্ত করেছিলেন। জনগণের সম্মিলিত উদ্যোগে আমাদের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জনের প্রচেষ্টা বেগবান করতে হবে,
শক্তিশালী করতে হবে আমাদের রাষ্ট্রীয় সার্বভৌমত্বকে।
তিনি বলেন, আজও বাংলাদেশকে তাঁবেদার রাষ্ট্রে পরিণত করার এক গভীর চক্রান্ত চলছে। লাখো শহীদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত আমাদের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে বিপন্ন করার অপতৎপরতা এখনও বিদ্যমান। সকল ষড়যন্ত্র চক্রান্ত প্রতিহত করে মাতৃভূমির স্বাধীনতা সুরক্ষা এবং গণতন্ত্রের নুয়ে পড়া পতাকাকে
সমুন্নত রাখতে সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। এজন্য গড়ে তুলতে হবে সুদৃঢ় জাতীয় ঐক্য। মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে আজ দেশবাসীর প্রতি আমি এ আহবান জানাই।
তারেক রহমান বলেন, আজ অত্যন্ত জরুরী আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে বৈশ্বিক মহামারী করোনাভাইরাস মোকাবেলা করতেহবে। এই ভাইরাস সংক্রমণকে বাধা দিতে আমাদের সচেতনতা বাড়াতে হবে। পাশাপাশি আমি দলের নেতাকর্মীসহ দেশবাসীকেস্ব স্ব অবস্থানে থেকে এই রোগের যাতে আর বিস্তার না ঘটে সেজন্য আল্লাহ রাব্বুল আল আমিনের নিকট মোনাজাত করতেঅনুরোধ করছি।
এছাড়াও তারেক রহমান দেশবাসী সকলের সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধির জন্য মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের দরবারে প্রার্থনা জানান।