ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ মিডনাইট হাসিনা সরকারের কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক এমপি বলেছেন, বিশ্বের যেসব দেশ মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশকে সহযোগিতা করেনি, স্বাধীনতার পক্ষে সমর্থন দেয় নি বরং বিরোধিতা করেছে; সেসব দেশও এই উদযাপনে সামিল হয়েছে, বাংলাদেশকে ‘বিশ্বে উন্নয়নের উদাহরণ’ হিসেবে উল্লেখ করেছে। অথচ স্বাধীনতাবিরোধী, পাকিস্তানের এ দেশীয় দোসর- সহযোগী ও ধর্মান্ধরা বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর উদযাপনকে ভণ্ডুল ও কালিমালিপ্ত করার জন্য অপকর্মে লিপ্ত রয়েছে।
রবিবার ঢাকায় কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ (কেআইবি) মিলনায়তনে মুজিববর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে কৃষি মন্ত্রণালয় এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও স্বানি, স্বাধীনতাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী শুধু বাংলাদেশে নয়, সারা পৃথিবীতেই আলোড়ন তুলেছে, সারা পৃথিবী উদযাপনে সামিল হয়েছে। বিশ্বের যেসব দেশ মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশকে সহযোগিতা করের পক্ষে সমর্থন দেয় নি বরং বিরোধিতা করেছে; সেসব দেশও এই উদযাপনে সামিল হয়েছে, বাংলাদেশকে ‘বিশ্বে উন্নয়নের উদাহরণ’ হিসেবে উল্লেখ করেছে। অথচ স্বাধীনতাবিরোধী, পাকিস্তানের এ দেশিয় দোসর- সহযোগী ও ধর্মান্ধরা বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর উদযাপনকে ভণ্ডুল ও কালিমালিপ্ত করার জন্য অপকর্মে লিপ্ত রয়েছে। এই ধর্মান্ধদের ব্যাপারে সবাইকে সচেতন হতে হবে। এ দেশ থেকে ধর্মান্ধদের মূলোৎপাটন করতে হবে।
সম্প্রতি ২০ নাগরিকের দেওয়া বিবৃতি প্রসঙ্গে ড. রাজ্জাক বলেন, বিএনপি, জামাত ও ধর্মান্ধরা যখন প্রতিবাদের নামে জ্বালাও পোড়াও, জনগণ ও সরকারি সম্পদ নষ্টসহ সাধারণ নাগরিকের জীবনকে দুর্বিষহ করে তোলে, তখন এই তথাকথিত বুদ্ধিজীবীরা নীরব থাকেন। ভারতের মতো একটি গণতান্ত্রিক দেশের গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রীকে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে নিয়ে আসা হয়েছে। কোনো স্বৈরাচারকে নিয়ে আসা হয় নি। এটা নিয়ে ধর্মান্ধরা দেশে তাণ্ডব চালাচ্ছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া, চট্টগ্রাম, ঢাকাসহ সারা দেশে প্রতিবাদের নামে জ্বালাও পোড়াও, জনগণ ও সরকারি সম্পদ নষ্টসহ সাধারণ নাগরিকের জীবনকে দুর্বিষহ করে তুলছে। এ ধরণের আন্দোলন ও প্রতিবাদের অধিকার দেশের কোনো নাগরিকের নেই। শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিবাদ করার অধিকার সকল নাগরিকের রয়েছে।