ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ দেশে-বিদেশে সকল মহলের প্রবল সমালোচনার মুখে মিয়ানমারের সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রতিরক্ষা অ্যাটাশ কেন অংশগ্রহণ করেছিল তার ব্যাখ্যা দিয়েছেন মিডনাইট হাসিনা সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।
বুধবার ডি-৮ শীর্ষ সম্মেলন নিয়ে আয়োজিত ভার্চ্যুয়াল সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মিয়ানমারের সেনা অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রতিরক্ষা অ্যাটাশে একা অংশ নেননি। বাংলাদেশসহ আটটি দেশের প্রতিনিধিরাও অংশ নিয়েছেন। আর সেটি একটি রুটিন অনুষ্ঠান।
আব্দুল মোমেন আরও বলেন, মিয়ানমারকে আমরা পর্যবেক্ষণে রেখেছি। তবে এটা (সশস্ত্র বাহিনীর অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ) নিয়ে যারা হইচই করছেন, তারা কিন্তু মিয়ানমারের সঙ্গে ব্যবসা বন্ধ করেননি। সেখানে ২৫ হাজার রোহিঙ্গা মারা গেল, নির্যাতন হলো, তখন তো তারা মিয়ানমারকে বর্জন করেননি।
পশ্চিমা দেশগুলোর সমালোচনা করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যুক্তরাষ্ট্র মাত্র গতকাল (মঙ্গলবার) সেনাবাহিনীর একটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবসা বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
‘ইউরোপীয় ইউনিয়ন তো সেখানে এখনও ব্যবসা অব্যাহত রেখেছে। তাদের ব্যবসা সেখানে সাড়ে তিন গুণ থেকে ১৫ গুণ পর্যন্ত বেড়েছে।’
প্রসঙ্গত মিয়ানমারে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে গত মঙ্গলবার চীন, রাশিয়া, ভারত, পাকিস্তান, থাইল্যান্ড, লাওস ও ভিয়েতনামের পাশাপাশি বাংলাদেশের প্রতিনিধিরা উপস্থিত হন।
ওই দিন সামরিক সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে অন্তত ১১৪ জন নিহত হন। ওই কুচকাওয়াজে অংশগ্রহণকারী দেশগুলির বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সমালোচনা হচ্ছে।