ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পুলিশ এবং ছাত্রলীগ-যুবলীগ-আওয়ামী লীগের সাথে হেফাজত কর্মীদের সংঘর্ষে ঘটনায় হেফাজতে ইসলামের জেলা শাখার সভাপতি মাওলানা সাজিদুর রহমান এবং সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মোবারক উল্লাহসহ ১৪ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরো দেড়শ জনকে আসামি করে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
উল্লেখ্য ঐসময় ব্রাম্মনবাড়িয়ায় পুলিশের গুলিতে অন্তত ১৬জন হেফাজত কর্মী নিহত হন।
আজ শনিবার সন্ধ্যায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর-৩ আসনের মিডনাইট সংসদ সদস্য উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী বাদী হয়ে মামলাটি জমা দেন।
উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর পক্ষে তার আইনজীবি ও শহর আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মো. মামুন মামলাটি সদর থানায় দাখিল করেন।
মামলায় উল্লেখিত প্রধান দুই আসামি ছাড়াও ১২ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। তারা হলেন-মাওলানা আশরাফুল হোসেন তপু, বোরহান উদ্দিন কাসেমী, মাওলানা আলী আজম, মাওলানা এরশাদ উল্লাহ, মাওলানা জুনায়েদ কাসেমী, মাওলানা নোমান আল হাবিব, মমিনুল হাসান তাজ, সুলেমান মোল্লা, মাওলানা এনামুল হক মাওলানা আব্দুল হাকিম, মাওলানা মনজুরুল হক ও খালেদ মোশাররফ।
এছাড়া আরো অজ্ঞাত দেড়শ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার বিবরণীতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর-৩ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশে আগমনকে কেন্দ্র করে গত ২৬ মার্চ থেকে ২৮ মার্চ পর্যন্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নারকিয় তাণ্ডব চালায় হেফাজতে ইসলামের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার নেতাকর্মীরা।
তারা তাণ্ডব চালিয়ে আগ্নেয়াস্ত্র ও গান পাউডারসহ বিভিন্ন দাহ্য পদার্থ ব্যবহার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ভয়াবহ ক্ষতিসাধন করেন।
এর আগে হেফাজতে ইসলামের জেলা শাখার সভাপতি মাওলানা সাজিদুর রহমান এবং সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মোবারক উল্লাহসহ অন্যান্য আসামিদের নির্দেশে বিভিন্ন ফেসবুক পেইজ, আইডিতে সাইবার সন্ত্রাস সংগঠিত করে রাষ্ট্রদ্রোহিতা, বিদ্বেষ ও ঘৃণামূলক স্ট্যাটাস প্রদান করে জনসাধারণের মাঝে উত্তেজনা সৃষ্টি করে। এর মাধ্যমে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আইন শৃঙ্খলার ব্যাপক অবনতি ঘটে।
শুধু তাই নয়,মামলার এজাহারভুক্ত আসামিরা উপস্থিত থেকে সংবাদ সম্মেলন করে তাদের বক্তব্য জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুছিয়ার নিজস্ব ফেসবুক পেইজে প্রচার করে।
এরই এক পর্যায়ে গত ৩১মার্চ আসামিরা তাদের ফেসবুক পেজ জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুছিয়ার মাধ্যমে লিখিত বক্তব্য প্রদান করে বাদী উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করে ঘটনাকে ভিন্ন দিকে প্রভাবিত করার এবং তাণ্ডবের দায়ভার তার উপর চাপিয়ে দেয়ার চেষ্টা করেন।
সমগ্র দেশে ও বহির্বিশ্বের আমার (উবায়দুল মোকতাদি) সুনাম ক্ষুণ্ন করার উদ্দেশ্যে অপপ্রচার ও প্রপাগান্ডা চালায় হেফাজতের নেতাকর্মীরা। এটি ২০১৮ সালের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ধারায় অপরাধ।
এদিকে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ শাহজাহান বলেন, মামলাটি জমা নেওয়া হয়েছে। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।