DMCA.com Protection Status
title="৭

মিথ্যা মামলায় আল্লামা মামুনুল হকের আরও ১৫ দিনের রিমান্ডঃএপর্যন্ত ৩৯ দিনের রিমান্ড!

ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও থানায় দায়ের করা কথিত দ্বিতীয় স্ত্রীর ধর্ষণ ও সহিংসতার চারটি সহ মোট পাঁচটি মিথ্যা মামলায় হেফাজতে ইসলামের বিলুপ্ত কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগরীর সাধারণ সম্পাদক মামুনুল হকের তিনদিন করে আবার মোট ১৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

বুধবার সকালে ভার্চুয়াল কোর্টে উভয় পক্ষের শুনানি শেষে নারায়ণগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আহমেদ হুমায়ুন কবিরের আদালত রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।

রিমান্ড শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন নারায়ণগঞ্জ কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক আসাদুজ্জামান এবং মামুনুল হকের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট ওমর ফারুক নয়ন।

এর আগে ২ মে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আহমেদ হুমায়ুন কবিরের আদালতে পুলিশ ও ডিবির পক্ষ থেকে সোনারগাঁ থানায় মামুনুল হকের কথিত দ্বিতীয় স্ত্রী জান্নাত আরা ঝর্ণার মামলায় ১০ দিন, রয়েল রিসোর্ট কাণ্ডের মামলায় ৭ দিন এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের অফিস ভাঙচুরের মামলায় ৭ দিনসহ মোট ২৪দিন রিমান্ড আবেদন করা হয়। পরে আদালত আগামী ৯ মে রিমান্ড শুনানির দিন ধার্য করেন। সেদিনও মামুনুল হকের অন্য মামলার কার্যক্রম থাকায় রিমান্ড শুনানি ১২ মে নির্ধারণ করা হয়।

নারায়ণগঞ্জ কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক আসাদুজ্জামান জানান, সোনারগাঁও থানায় দায়ের করা ধর্ষণসহ তিন মামলার রিমান্ড আবেদন করার পর মামুনুল হকের বিরুদ্ধে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় দায়ের করা আরও দুটি সহিংসতার মামলায় রিমান্ড আবেদন করেছে পুলিশ। এতে মোট ৫টি মামলায় ভার্চুয়াল কোর্টে শুনানি হয়েছে।

তিনি বলেন, শুনানিতে মামুনুল হকের আইনজীবী ওমর ফারুক নয়ন রিমান্ডের বিরোধিতা করে মামুনুল হকের পক্ষে বক্তব্য রাখেন। আর রাষ্ট্রপক্ষে রিমান্ড প্রার্থনা করে আদালতে যুক্তি তুলে ধরেন। আদালত শুনানি শেষে ৫ মামলায় ৩ দিন করে ১৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।

নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) জায়েদুল আলম জানান, প্রত্যেক মামলার তদন্তকারী অফিসার যেহেতু ভিন্ন সেহেতু একজন করে তদন্তকারী অফিসার মামুনুল হককে ৩ দিন করে জিজ্ঞাসাবাদের সময় পাবেন।

উল্লেখ্য, গত ৩০ এপ্রিল প্রলোভন, প্রতারণা, নির্যাতনের অভিযোগ এনে হেফাজতে ইসলামের সদ্য বিলুপ্ত কমিটির যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগরের সাধারণ সম্পাদক মামুনুল হকের বিরুদ্ধে মামলা করেন তার দাবি করা দ্বিতীয় স্ত্রী জান্নাত আরা ঝর্ণা।

মোদিবিরোধী আন্দোলনের নামে ঢাকা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও হাটহাজারীতে বেপরোয়া তাণ্ডবের পর নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে রিসোর্টকাণ্ডে মামুনুল হককে নিয়ে দেশজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী তাণ্ডবের অভিযোগে একে একে হেফাজতের কেন্দ্রীয় নেতাদের গ্রেফতার করতে থাকে।

এরই ধারাবাহিকতায় মাওলানা মামুনুল হককে গত ১৮ এপ্রিল মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদ্রাসা থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

২০২০ সালে দায়ের হওয়া মোহাম্মদপুর থানার একটি মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে সাত দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে পল্টন ও মতিঝিল থানার পৃথক দুটি মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয় তাকে।

Share this post

scroll to top
error: Content is protected !!