ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ চলমান করোনা ভাইরাস সংক্রমন ঠেকাতে ১১টি দেশ থেকে বাংলাদেশে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। কোভিড-১৯ সংক্রমণের কারণে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে এমন কয়েকটি দেশ বাদ দিয়ে নতুন কয়েকটি দেশ যুক্ত করে মোট ১১ দেশের ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার নতুন তালিকা প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ সরকারের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)। মঙ্গলবার এ বিষয়ে বেবিচকের পক্ষ থেকে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
সংক্রমণ রোধে যে ১১ দেশ থেকে বাংলাদেশে যাত্রী প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে, সেসব দেশ হচ্ছে—আর্জেন্টিনা, বাহরাইন, বলিভিয়া, ব্রাজিল, ভারত, মালয়েশিয়া, মালদ্বীপ, নেপাল, প্যারাগুয়ে, ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোবাগো ও উরুগুয়ে।
বেবিচকের ফ্লাইট স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্ড রেগুলেশন্স বিভাগের সদস্য গ্রুপ ক্যাপ্টেন চৌধুরী এম জিয়াউল কবির স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে নিষেধাজ্ঞাভুক্ত ১১ দেশ ‘গ্রুপ-এ’ ক্যাটাগরির অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে— এসব দেশ থেকে কোনো যাত্রী বাংলাদেশে প্রবেশ করতে পারবে না। এমনকি বাংলাদেশ থেকে এসব দেশে কেউ যেতেও পারবে না। তবে দেশগুলোতে অবস্থানরত প্রবাসী বাংলাদেশি বা সফরকারীরা সংশ্লিষ্ট দেশের যথাযথ কর্তৃপক্ষের বিশেষ অনুমতি নিয়ে আসতে পারবে। সে ক্ষেত্রে তাদের বাংলাদেশে এসে ১৪ দিনের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনের জন্য নিজ খরচে সরকার নির্ধারিত হোটেল বুকিং করতে হবে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে— নিষেধাজ্ঞার অন্তর্ভুক্ত দেশগুলোর সঙ্গে সকল আন্তর্জাতিক ফ্লাইট বন্ধ থাকবে, যা কার্যকর হবে আগামী ৪ জুন থেকে। এমনকি কোনো ট্রানজিট যাত্রীও আসা-যাওয়া করতে পারবে না। তবে এসব দেশে কোনো বাংলাদেশি প্রবাসী নাগরিক বা ভ্রমণকারী ১৫ দিনের মধ্যে গিয়ে থাকলে, বিশেষ অনুমতি সাপেক্ষে দেশে ফিরতে পারবেন।
এ ছাড়া ইরান ওমানসহ আগের তালিকায় নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হয়েছে কয়েকটি দেশের ওপর থেকে।
এ ছাড়া প্রজ্ঞাপনে আরও আটটি দেশকে ‘গ্রুপ-বি’ ক্যাটাগরিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এই ক্যাটাগরির দেশগুলো থেকে বাংলাদেশে আসা যাত্রীদের জন্য কিছু বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। দেশগুলো হচ্ছে—বেলজিয়াম, চিলি, কলম্বিয়া, কোস্টারিকা, ডেনমার্ক, গ্রিস, কুয়েত ও ওমান।
এ ছাড়া বেবিচক জানিয়েছে, কুয়েত ও ওমান থেকে আসা প্রবাসীদের দেশে ফিরে সরকারি প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিন সেন্টারে তিন দিন থাকতে হবে। তিন দিন পর তাদের করোনা পরীক্ষা করানো হবে। পরীক্ষার ফল নেগেটিভ এলেও তাদের ১১ দিনের হোম কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে।
আর, ‘গ্রুপ-বি’ ক্যাটাগরির বাকি ছয় দেশ থেকে এলে যাত্রীদের ১৪ দিনের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনের জন্য নিজ খরচে সরকার নির্ধারিত হোটেল বুকিং করতে হবে। তবে বাংলাদেশ থেকে যারা এই আটটি দেশে যাবে, তাদের জন্য কোনো বিধিনিষেধ দেয়নি বেবিচক।
এর আগে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে বাঁচতে দেশে চলমান বিধিনিষেধের সঙ্গে সমন্বয় করে আন্তর্জাতিক রুটের নিয়মিত ফ্লাইট ৫ মে পর্যন্ত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বেবিচক। এরই মধ্যে গত ১ মে থেকে ৩৮ দেশের সঙ্গে ফ্লাইট চলাচল সীমিত রেখে অন্যান্য দেশের সঙ্গে ফ্লাইট চলাচল স্বাভাবিক রাখা হয়।