ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ আওয়ামী লীগ যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ বলেছেন, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর প্রতিদিন একটি করে সংবাদ সম্মেলন করে ইনিয়ে-বিনিয়ে মিথ্যে কথা বলেন। সংবাদ সম্মেলন করে তিনি সবাইকে বিভ্রান্ত করতে চান। আমি মির্জা ফখরুল সাহেবকে ধন্যবাদ না দিয়ে পারব না। মিথ্যা কথা যে আপনি এত চমৎকারভাবে বলতে পারেন। উনার কথা শুনে মাঝে মাঝে বিভ্রান্ত হয়ে যাই। মিথ্যা বলার পারদর্শিতার জন্য নিঃসন্দেহে তাকে পুরস্কার দেওয়া যেতে পারে।
শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে আওয়ামী লীগ নেতা মোহাম্মদ নাসিমের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে এক স্মরণসভায় তিনি এ কথা বলেন।
স্মরণসভায় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, সংসদ সদস্য প্রকৌশলী তানভীর শাকিল জয়, আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি নির্মল রঞ্জন গুহ, সাধারণ সম্পাদক একেএম আফজালুর রহমান বাবু, ৯৫ ফাউন্ডেশন কাজিপুরের সভাপতি প্রকৌশলী মো. আবু রায়হান প্রমুখ।
মির্জা ফখরুলকে উদ্দেশ করে হানিফ বলেন, মির্জা ফখরুল সাহেব আপনি অন্যদের নির্যাতনের কথা বলেন। কিন্তু আপনি কি ভুলে গেছেন ২০০১ সালে ক্ষমতায় আসার পরে আপনারা কীভাবে দলীয় সন্ত্রাসী দিয়ে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের নির্যাতন করেছেন। হাজার হাজার নেতাকর্মীকে শুধু হত্যা নয়, নাসিম ভাই- যিনি মন্ত্রী ছিলেন, তাকেও আপনারা রাজপথে বারবার নির্যাতন করেছেন, রক্তাক্ত করেছেন। তোফায়েল আহমেদ, মতিয়া চৌধুরী, সাহারা খাতুন, আসাদুজ্জামান নূর ও সাবের হোসেন চৌধুরীর মতো মানুষকে আপনারা রাজপথে পিটিয়ে রক্তাক্ত করেছেন। এসব কি ভুলে গেছেন?
তিনি বলেন, আপনারা বলেন আপনাদের কর্মীদের ওপর আমরা অত্যাচার করি। আপনারা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করে গাড়িতে আগুন দেন। মিথ্যাচার করে মানুষকে বিভ্রান্ত করছেন। আবার বলছেন, কথা বলার অধিকার নেই। তাহলে এতক্ষণ রাজপথে দাঁড়িয়ে আপনারা কী করলেন। আপনাদের তো বাধাও দেওয়া হয় না। যখন আপনার দলের সন্ত্রাসীরা মানুষের ওপর আক্রমণ করে, ভাংচুর, জ্বালাও-পোড়াও করে, তখন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মানুষের জানমালের নিরাপত্তা দিতে কখনো কখনো আইনি পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হয়। এর বাইরে তো আপনারা নির্বিঘ্নে আন্দোলন করে যাচ্ছেন।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিদেশ যাওয়া নিয়ে হানিফ বলেন, বিএনপির রাজনীতি এখন খালেদা জিয়ার অসুস্থতার মধ্যে ঘুরপাক খাচ্ছে। মির্জা ফখরুল ইসলামের কথা শুনে মনে হয় উনি বোধ হয় খালেদা জিয়ার মেডিকেল বোর্ডের চেয়ারম্যান, বড় চিকিৎসক। ম্যাডাম খালেদা জিয়ার চিকিৎসকরা কিন্তু একবারও বলছেন না উনার পার্টিকুলার কোন রোগের জন্য অন্য দেশে চিকিৎসা নিতে হবে। তারা বলছেন না, অথচ বলছেন মির্জা ফখরুল সাহেব। দেশে চিকিৎসা সম্ভব না হলে ভারতে যান, ব্যাংকক যান, সিঙ্গাপুর যান। উনি কোন দেশে যেতে চান সেটা কি বলেছেন? বলেননি। খালেদা জিয়ার চিকিৎসা তাদের কাছে মুখ্য নয়, চিকিৎসা নিয়ে তাদের নাটক, স্ট্যান্টবাজি, রাজনীতি করা মুখ্য উদ্দেশ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমরা বহুবার বলেছি, খালেদা জিয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী, তার সুচিকিৎসা হোক। সুস্থ হয়ে আমাদের মাঝে ফিরে আসুক। এটা আমরা চাই।