DMCA.com Protection Status
title="৭

কাশ্মীর সমস্যা সমাধান হলে পরমাণু অস্ত্রের প্রয়োজনীয়তা শেষ হবে: ইমরান খান

ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ  কাশ্মীর সমস্যা সমাধান হয়ে গেলেই এই অঞ্চলে পরমাণু অস্ত্রের প্রয়োজনীয়তা শেষ হয়ে যাবে বলে মন্তব্য করেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। 

তিনি বলেছেন, কাশ্মীর নিয়ে সমাধান সূত্র বেরিয়ে এলেই পরমাণু অস্ত্রের আর প্রয়োজনীয়তা থাকবে না। বাইডেনের সঙ্গে কথা হলে আমি কাশ্মীর প্রসঙ্গ উত্থাপন করব। আমেরিকানদের যদি সমাধানের ইচ্ছে থাকে, তাহলে কাশ্মীর সমস্যা মিটতে পারে।

মার্কিন টিভি চ্যানেল এইচবিও’র প্রামাণ্যচিত্রধর্মী সংবাদ কার্যক্রম অ্যাক্সিওসে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী।

ইমরান খান জানান, তিনি নিজেও পরমাণু অস্ত্র ব্যবহারের বিপক্ষে। 

পাশাপাশি কাশ্মীর সমস্যার সমাধান চেয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি। এর আগে ডোনাল্ড ট্রাম্প মার্কিন প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন কাশ্মীর ইস্যুতে মধ্যস্থতার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। তবে জো বাইডেন হোয়াইট হাউজে আসার পর এই নিয়ে কিছু বলেননি। 

মোদি সরকার অধিকৃত কাশ্মীর ভূখণ্ডে ৮ লাখ পুলিশ নিযুক্ত করে অঞ্চলটিকে উন্মুক্ত জেলখানায় পরিণত করেছে বলে মন্তব্য করেন ইমরান খান। 

ইমরান খান বলেন, মোদি সরকারের শাসনামলে ভারতে মুসলমানসহ সব ধর্মের সংখ্যালঘুরা নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন। অধিকৃত কাশ্মীরে সেনা নিয়োগ দিয়ে উপত্যকাটিকে উন্মুক্ত কারাগারে পরিণত করেছে মোদি সরকার; কিন্তু পশ্চিমা বিশ্ব বিষয়টিকে বরাবরই উপক্ষো করে চলেছে।

পাকিস্তানের বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়ক ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বলেন, আফগানিস্তানে ২০ বছরেও যুক্তরাষ্ট্র জিততে পারেনি। তাহলে তারা কেন পাকিস্তানে ঘাঁটি গড়বে? 

আফগানিস্তানের শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য পাকিস্তান কাজ করতে প্রস্তুত জানান ইমরান খান।

এদিকে সাক্ষাৎকারে ইমরানকে পাকিস্তানের বাড়তে থাকা পরমাণু অস্ত্রের ভাণ্ডার নিয়ে প্রশ্ন করা হলে ইমরান খান বলেন, ‘এই তথ্য (পাকিস্তান পরমাণু অস্ত্র ভাণ্ডার বাড়াচ্ছে) কোথা থেকে কে পেয়েছে, আমি জানি না। পাকিস্তান শুধুমাত্র নিজেদেরের সুরক্ষিত রাখতে পরমাণু অস্ত্র রাখে। যত দূর আমি জানি, এতে আপত্তির কিছু নেই। প্রতিবেশী দেশ আমাদের থেকে সাত গুণ বড়। এই সাবধানতা তো স্বাভাবিক।’

হিন্দুস্তান টাইমসের খবরে বলা হয়, সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের বৈঠকে যোগ দেবেন ভারতীয় জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল। সেই বৈঠকে যোগ দেবেন পাকিস্তানের নিরাপত্তা উপদেষ্টাও। আর এই বৈঠকের আগে কাশ্মীর ইস্যু সামনে আনলেন ইমরান। 

প্রসঙ্গত, এর আগের বছর সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের বৈঠকেই কাশ্মীরের মানচিত্র প্রশ্নে বৈঠক ছেড়ে বের হয়ে গিয়েছিলেন ডোভাল।

Share this post

scroll to top
error: Content is protected !!