ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ সাবেক প্রধানমন্ত্রী এবং বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে আসামী করে দায়ের করা আরেকটি মিথ্যা আর উদ্দেশ্যপ্রনোদিত মামলার রায় প্রকাশিত হয়েছে।
তথাকথিত গ্যাটকো দুর্নীতি মামলা বাতিলে জারি করা রুল খারিজ করে হাইকোর্টের দেওয়া পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়েছে।
আদালত রায়ে বলেছেন, খালেদা জিয়াসহ আসামিদের অপরাধের প্রাথমিক প্রমাণ মিলেছে।
বুধবার সন্ধ্যায় বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কেএম হাফিজুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় প্রকাশ করেছেন। বিচারপতিদের স্বাক্ষরের পর সুপ্রিমকোর্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হয়েছে ৯৮ পৃষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ এ রায়।
গ্যাটকো মামলা বাতিলে দুই আসামি সৈয়দ গালিব ও সৈয়দ তানভীরের আবেদন খারিজ করে হাইকোর্ট বলেছেন, অনভিজ্ঞ ও অদক্ষ কোম্পানিকে কাজ পাইয়ে দিয়েছিলেন খালেদা জিয়া। আর এতে সুবিধা নিয়েছিলেন আরাফাত রহমান কোকো।
আদালত তার পর্যবেক্ষণে আরও বলেন, এ মামলায় খালেদা জিয়াসহ বাকিদের বিরুদ্ধে অপরাধের প্রাথমিক সত্যতা মিলেছে। গ্যাটকো দুর্নীতি মামলা নিয়ে জারি করা একটি রুলের শুনানি শেষে ২০১৮ সালের ২৫ নভেম্বর দেওয়া রায়ে হাইকোর্ট আসামিদের দুই সপ্তাহের মধ্যে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছিলেন।
একইসঙ্গে নিম্ন আদালতকে ছয় মাসের মধ্যে মামলা নিষ্পত্তির নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। এটিরই পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হলো বুধবার।
দুর্নীতি দমন কমিশনের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেন, রায়ের কপি পেয়েছি। সাবেক মন্ত্রী কর্নেল (অব.) আকবর হোসেনের ছেলে সায়মন হোসেন কাজটি পাইয়ে দেওয়ার জন্য আরাফাত রহমান কোকোর দ্বারস্থ হন। কোকো অনভিজ্ঞ ও অদক্ষ কোম্পানিকে কাজ পাইয়ে দিয়েছিলেন তার মা খালেদা জিয়ার মাধ্যমে। রায়ে তা উঠে এসেছে।
আইনজীবী সূত্র জানায়, ঢাকার কমলাপুর আইসিডি ও চট্টগ্রাম বন্দরের কনটেইনার ওঠানো-নামানোর কাজ গ্যাটকোকে দেওয়ায় আর্থিক ক্ষতির অভিযোগে ২০০৭ সালের ২ সেপ্টেম্বর দুদক খালেদা জিয়া, তার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে তেজগাঁও থানায় ওই মামলা করে।
২০০৮ সালের ১৩ মে খালেদা জিয়াসহ ২৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয় দুদক। বিগত চারদলীয় জোট সরকারের মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন, এম শামসুল ইসলাম, এমকে আনোয়ার, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, মতিউর রহমান নিজামী এ মামলার আসামি। মামলাটি ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩-এ অভিযোগ গঠন পর্যায়ে রয়েছে।