ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ পর্যাপ্ত টিকা হাতে না থাকায় ১১ই আগস্ট থেকে ঘোষিত গণটিকা কর্মসূচি এক সপ্তাহ পিছিয়েছে অবৈধ হাসিনা সরকার।।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জনিয়েছে ৭ আগস্টের পরিবর্তে এই কার্যক্রম ১৪ আগস্ট শুরু হবে। চলবে ১৯ আগস্ট পর্যন্ত। টিকার স্বল্পতার জন্যই এই তারিখ পরিবর্তন বলে জানা গেছে।
নতুন তারিখ অনুযায়ী গণটিকা দেয়া হবে দিনে দুই ধাপে
অবশ্য ৭ আগস্ট এক দিনের জন্য পরীক্ষামূলকভাবে এই গণটিকা দেয়া হবে। ওই দিন দেশের ইউনিয়ন, পৌরসভা ও সিটি করপোরেশনের ১৫ হাজার ২৮৭টি ওয়ার্ডে মাত্র ৩২ লাখ টিকা দেয়া হবে।
এর আগে ৭ আগস্ট থেকে ১২ আগস্ট পর্যন্ত ৬ দিনে দেশের এক কোটি মানুষকে টিকা দেয়ার পরিকল্পনা করেছিলো সরকার। ইউনিয়ন পর্যায় পর্যন্ত টিকা দেয়ার কথা ছিলো। এক্ষেত্রে যে কেউ জাতীয় পরিচয়পত্র দেখিয়ে টিকা নিতে পারবে, অনলাইন রেজিষ্ট্রেশন লাগবে না।
করোনা সংক্রমণের ভয়াবহ ঊর্ধ্বগতির মুখে হাসিনা সরকার লকডাউন তেমন সফল করতে না পারায় এই গণটিকা দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
১০ আগস্ট লকডাউন শেষ হবে। জানানো হয়েছিলো ১১ আগস্ট থেকে ভ্যাকসিন না দিয়ে বাইরে গেলে শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে। অবশ্য একদিন পর এই সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করা হয়।
দুঃখজনক হলেও সত্য যে বাংলাদেশের প্রায় ৯৫ ভাগ মানুষ এখনও টিকার আওতায় আসেনি। দেশের সকলকে টিকা দিতে হলে সর্বমোট ৩০কোটি টিকা প্রয়োজন যা এই মুহুর্তে সংগ্রহ করা অসম্ভব বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞগন। তাই জনগনকে সচেতন করে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহন না করলে অবস্থা আরও ভয়াবহ রুপ ধারন করবে বলে আশংকা করছেন সংশ্লিষ্টরা। এই বিষয়টি এখনই দল-মত নির্বিশেষে সকলকে নিয়ে জাতীয় ঐক্যমত সৃষ্টি করে এই অতিমারী অতিক্রম করতে হবে বলে জনসাধারন মনে করে।