ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ এবার বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার অন্যতম পরিকল্পনাকারী খন্দকার মোশতাক আহমদের স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার দাবি উঠেছে।
চলতি সপ্তাহে কুমিল্লার দাউদকান্দিতে এক কর্মসূচি থেকে এই দাবি জানানো হয়। পাশাপাশি মোশতাকের বাড়ির নিচতলা ও দোতলার জানালা-দরজা ভাঙচুর এবং তাঁর প্রতিকৃতিতে ইটপাটকেল ও জুতা নিক্ষেপ করা হয়।
দাউদকান্দি উপজেলার দশপাড়ায় খন্দকার মোশতাক আহমদের বাড়ি। সেখানে আজ সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত উপজেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে বিভিন্ন কর্মসূচি পালিত হয়।
এসব কর্মসূচিতে আওয়ামী লীগের পাশাপাশি যুবলীগ, ছাত্রলীগ, কৃষক লীগ ও শ্রমিকলীগের নেতা-কর্মীরা অংশ নেন। সকাল থেকেই জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে শত শত নেতা-কর্মী এসে জড়ো হতে থাকেন মোশতাকের বাড়ির সামনে। তাঁদের স্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে এলাকা।
কর্মসূচি চলাকালে বক্তব্য দেন দাউদকান্দি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মেজর (অব.) মোহাম্মদ আলী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আহসান হাবীব চৌধুরী, উপজেলা কৃষক লীগের সভাপতি শাহ আলম, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি তারিকুল ইসলাম, উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী জেবুন নেসা, সাধারণ সম্পাদক লায়লা হাসান, উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক আনোয়ার হোসেন, যুগ্ম আহ্বায়ক হেলাল মাহমুদ, মেঘনা উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী হালিমা রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল ওহাব, দাউদকান্দি উত্তর ইউপির চেয়ারম্যান প্রকৌশলী আবদুস সালাম, পদুয়া ইউপির চেয়ারম্যান এস এম মনির হোসেন, সুন্দলপুর মডেল ইউপির চেয়ারম্যান মাসুদ আলম প্রমুখ।
উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বলেন, অবিলম্বে কমিশন গঠন করে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের নির্মম হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী সবাইকে খুঁজে বের করে বিচারের আওতায় আনতে হবে। খুনি মোশতাক আহমদের অপকর্মের দায় দাউদকান্দি তথা কুমিল্লাবাসী বহন করতে চায় না। জাতীয় বেইমান মোশতাকের স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার দাবি জানান তিনি।
কর্মসূচি থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে খন্দকার মেশতাকের একটি ঘৃণাস্তম্ভ নির্মাণের দাবি জানানো হয়। বক্তারা বলেন, এমন স্তম্ভ নির্মিত হলে তরুণ প্রজন্ম এই জাতীয় বেইমানকে চিনতে পারবে এবং প্রতিবছর শোকের মাস আগস্টে সেখানে ঘৃণা প্রদর্শন করতে পারবে।