ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সামরিক বাহিনীর প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তের পক্ষে আবারও সাফাই গাইলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। বলেছেন, গণতান্ত্রিক-বিরোধী ব্যবস্থার বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জের দিকে মনোনিবেশ করতে মার্কিন নীতির অগ্রগতির জন্য এটি একটি প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ ছিল।
আজ মঙ্গলবার (২১ সেপ্টেম্বর) জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে প্রথমবারের মতো ভাষণ দিয়েছেন জো বাইডেন। সেখানেই তিনি এসব কথা বলেন। খবর প্রকাশ করেছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
জো বাইডেন বলেন, আফগানিস্তানে দীর্ঘ ২০ বছরের সংঘাতের অবসান ঘটিয়েছি। এখন আমরা নিরলস কূটনীতির একটি নতুন যুগের সূচনা করছি। আমি বিশ্বাস করি আমাদের একসঙ্গে কাজ করতে হবে, যেমনটা আগে কখনো হয়নি। আমাদের নিজেদের সাফল্য অন্যদের সাফল্যেও আবদ্ধ।
এ সময় আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহারের সমালোচনার মুখোমুখি হয়ে বাইডেন যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় স্বার্থ রক্ষার অঙ্গীকার পূণর্ব্যক্ত করেন। বলেন, মিশন অবশ্যই স্পষ্ট এবং অর্জনযুক্ত হতে হবে। একই সঙ্গে মার্কিন সামরিক বাহিনীকে বিশ্বজুড়ে দেখা প্রতিটি সমস্যার সমাধান হিসেবে ব্যবহার করা উচিত নয়।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, বিশ্ব একটি নির্ণায়ক দশকের মুখোমুখি এবং বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করছে। আর এগুলো মোকাবিলা আমাদের সাধারণ মানবতাকে চিনতে পারার ক্ষমতার ওপর নির্ভর করবে।
অতীতের যুদ্ধগুলো চালিয়ে যাওয়ার পরিবর্তে আমরা বৈশ্বিক মহামারি, জলবায়ু পরিবর্তন এবং সাইবার নিরাপত্তা হুমকির মতো চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলায় নজর দেবো। যোগ করেন তিনি।
ইসরায়েল-ফিলিস্তিনের জন্য দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধানের পক্ষে যুক্তরাষ্ট্র তাদের সমর্থন অব্যাহত রাখবে বলে জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। একই সঙ্গে তিনি এটাও বলেছেন যে, একটি স্বাধীন ইহুদি রাষ্ট্রের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন দ্ব্যর্থহীন। খবর প্রকাশ করেছে আল-জাজিরা।
জো বাইডেন বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ইরান পরমাণু চুক্তির পূর্ণ সম্মতি দিতে রাজি। তবে এক্ষেত্রে তেহরানকে অবশ্যই আমাদের মতো একই কাজ করতে হবে।
এ সময় তিনি জোর দিয়ে বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ‘নতুন শীতল যুদ্’ চায় না। এর আগে জাতিসংঘের মহাসচিব গুতেরেস যুক্তরাষ্ট্র ও চীনকে সতর্ক করে একটি স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন। সেই প্রেক্ষিতে বাইডেন এ মন্তব্য করেন।