ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ বাংলাদেশের অবৈধ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একমাত্র পূত্র এবং তার তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় বলেছেন, জঙ্গিবাদ-উগ্রবাদ ও রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করেও প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দুর্বার গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে দেশ। স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে উন্নয়নশীল রাষ্ট্রে উন্নীত হয়েছে বাংলাদেশ। এজন্য বিশ্ব নেতারা উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেছেন জননেত্রী শেখ হাসিনার।
সোমবার রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে তিনি এসব কথা বলেন।
সজীব ওয়াজেদ জয় লিখেছেন- শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে গত এক দশকে ডিজিটাল রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে বাংলাদেশ। গ্রাম পর্যন্ত পৌঁছে গেছে ইন্টারনেট ও তথ্যপ্রযুক্তির সুবিধা। করোনার প্রাদুর্ভাবে ২০২০ সালের শুরুতে বিশ্ব যখন থমকে গিয়েছিল, সেই সেই সময়টাতেও বিচক্ষণতার সঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবিলা করেছে বাংলাদেশ সরকার।
ডিজিটাল প্লাটফর্ম ব্যবহার করে নিয়মিত কার্যক্রম পরিচালনা করেছে সরকার, ডিজিটাইজড সিস্টেমের মাধ্যমেই সচল রাখা হয়েছে দেশের অর্থনীতি, স্বাস্থ্যসেবা ও আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থা। করোনা প্রতিরোধে মানুষকে স্বাস্থ্যবিধি সম্পর্কে সচেতন করতে নিয়মিত অনলাইন প্লাটফর্মগুলোতে প্রচারণা চালিয়েছেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী।
উগ্রপন্থীদের প্রাণনাশী গুজব মোকাবিলা করে গণমানুষকে ভ্যাকসিন নিতে উৎসাহিত করেছে সরকার। ভ্যাকসিন নিয়ে আন্তর্জাতিক রাজনীতির প্রতিবন্ধকতা এড়িয়ে, এখন পর্যন্ত চার কোটির বেশি ডোজ টিকা দেওয়া সম্ভব হয়েছে শুধু শেখ হাসিনার বিচক্ষণতার কারণে।
তিনি আরও লিখেছেন- তার (প্রধানমন্ত্রী) নেতৃত্বের কারণেই মহামারিকালেও থেমে নেই মানবিক উন্নয়ন কর্মযজ্ঞ। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে নিয়মিতভাবে সরকারি সহায়তা পৌঁছে দেওয়া হয়েছে সারা দেশে করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত এক কোটিরও বেশি মানুষের ঘরে। ডিজিটাল সুবিধা ব্যবহার করে নগদ অর্থ প্রদান করা হয়েছে প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং মহামারিতে ক্ষতিগ্রস্ত প্রায় ৫০ লক্ষ কৃষক-শ্রমিক-মজুরের হাতে।
প্রধানমন্ত্রীর নানাবিধ উদ্যোগের কারণেই একসময়ে 'তলাবিহীন ঝুড়ি'র বাংলাদেশকে, বিশ্ব আজ সমীহ করছে মন্তব্য করে জয় লিখেছেন- একারণে ২০১৯ সালে জাতিসংঘের অধিবেশনে তৎকালীন মহাসচিব বান কি মুন বাংলাদেশকে ‘উন্নয়নের মডেল’হিসেবে অভিহিত করেন। ২০২১ সালে, বাংলাদেশের সুবর্ণজয়ন্তী পালনকালে, এই নতুন বাংলাদেশের পেছনে শেখ হাসিনার কৃতিত্বের কথা উল্লেখ করেছেন বিশ্ব নেতারা। বাংলাদেশের সামাজিক পরিস্থিতি উন্নয়নে অভূতপূর্ব ভূমিকা রাখায় বিশ্বের শীর্ষ দশ মহান নেতার একজন হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন তিনি।