ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ বিনা কারনে গ্রেফতারের একদিন পর প্রতারণা ও সম্পদ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে দেশ বরেন্য ইসলামী চিন্তাবীদ ও আলেম মুফতি কাজী ইব্রাহীমের বিরুদ্ধে ডিএমপির মোহাম্মদপুর থানায় একটি মামলা হয়েছে।
জেড এম রানা নামে এক ব্যক্তি বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেছেন।
মঙ্গলবার রাতে মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল লতিফ গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ওসি আব্দুল লতিফ জানিয়েছেন, মুফতি কাজী ইব্রাহীমের বিরুদ্ধে আজ (মঙ্গলবার) একটি মামলা দায়ের হয়েছে। জেড এম রানা নামে এক ব্যক্তি বাদী হয়ে ৪২০, ৪০৬ ও ৩৮৫ ধারায় মামলাটি করেন।
এর আগে গতকাল (২৭ সেপ্টেম্বর)সোমবার দিবাগত রাত ২টার দিকে রাজধানীর লালমাটিয়ার জাকির হোসেন রোডের বাসা থেকে মুফতি ইব্রাহীমকে আটক করে ডিবির একটি দল।
আটকের বিষয়ে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ঢাকা মেট্রোপলিটন গোয়েন্দা পুলিশের কমিশনার একেএম হাফিজ আক্তার একটি গণমাধ্যমকে বলেন, ডিবি কার্যালয়ে হেফাজতে নিয়ে মুফতি ইব্রাহীমকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। বিভিন্ন সময় তিনি করোনা নিয়ে মিথ্যাচার, ধর্মীয় উসকানিমূলক বক্তব্য, বিভিন্ন মাধ্যমে মানুষকে হিন্দুস্থানের দালাল ও ‘র’ এর এজেন্ট বলে আখ্যায়িত করেন। এসব বিষয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তবে তিনি এসব ব্যাপারে সন্তোষজনক কোনো উত্তর দিতে পারেননি। মূলত তিনি বিতর্কিত ও বিভ্রান্তিকর সব তথ্য ছড়িয়েছেন। যা আইনত অপরাধ। এজন্য তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
এর আগে মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (উত্তর) যুগ্ম কমিশনার হারুন অর রশীদ সাংবাদিকদের তার নিজ কার্যালয়ে ব্রিফিং করেন। তিনি বলেন, বিভিন্ন মাধ্যমে বাংলাদেশের মানুষকে হিন্দুস্থানের দালাল ও ‘র’ এর (ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা) এজেন্ট বলছেন মুফতি ইব্রাহীম। কারা এই দালাল বা ‘র’ এর এজেন্ট- তাদের পরিচয়সহ বিভিন্ন বিষয় জানতেই তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য গোয়েন্দা পুলিশের হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
সম্প্রতি জুমার খুতবাহ, ওয়াজ মাহফিল, ইউটিউব চ্যানেল, ফেসবুক আইডি ও পেজে তিনি নানা ধরনের বক্তব্য, তত্ত্ব ও সূত্র দিয়ে আলোচিত-সমালোচিত হন। তার বক্তব্যের অনেক ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কয়েক দফা ভাইরাল হয়েছে। এই আলোচনা সমালোচনার মধ্যেই সোমবার দিবাগত রাত ২টার দিকে রাজধানীর লালমাটিয়ার জাকির হোসেন রোডের বাসা থেকে তাকে আটক করে ডিবির একটি দল।