ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির অন্যতম সদস্য এবং সাবেক মন্ত্রী মির্জা আব্বাস বলেছেন, এই অবৈধ হাসিনা সরকারের অধীনে নির্বাচন হতে পারে না। আমরা ইতিপূর্বে কয়েকটা নির্বাচন দেখেছি। যে সরকার নির্বাচনের আগের দিন ভোট চুরি করে ক্ষমতায় বসে, বাক্স ভর্তি করে ফেলে-এরকম সরকারের অধীনে কিভাবে নির্বাচনে যাই?
বৃহস্পতিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জাতীয়তাবাদী উলামা দলের ৪২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে শেরে বাংলা নগরে দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর আব্বাস এ কথা বলেন। সংগঠনের আহবায়ক মাওলানা শাহ নেছারুল হক ও সদস্য সচিব মাওলানা নজরুল ইসলাম তালুকদারের নেতৃত্বে ১৮/১৯ জন নেতা-কর্মীসহ মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সভাপতি আবদুস সালামকে নিয়ে আব্বাস শেরে বাংলা নগরে যান। পরে কবরে ফাতেহা পাঠ ও বিশেষ মোনাজাতে অংশ নেন।
মির্জা আব্বাস বলেন, ‘আমরা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন চাই। এখন উনারা (সরকার) বলেছেন সুযোগ নাই। আওয়ামী লীগ এখনই পদত্যাগ করুক। তারপরে যেভাবে দেশ চলে সেভাবে চলুক। কিন্তু আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় রেখে কোনভাবেই নির্বাচনে যাওয়া যাবে না।’
১৯৯৬ সালে জামায়াতে ইসলামী ও আওয়ামী লীগের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবির প্রসঙ্গ টেনে আব্বাস বলেন, ‘এই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি প্রথম উত্থাপন করেছিলো জামায়াতে ইসলাম। তারপর আওয়ামী লীগ এটাকে টেকওভার করে। তারাই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি আমাদেরকে আনতে বলে, আমরা নিয়ে এসেছিলাম। গণতন্ত্রকে শ্রদ্ধা করি বলেই আমরা সংবিধানে সংযোজন করেছিলাম। এখন উনারা বলেছেন সুযোগ নাই।’
আব্বাস বলেন, এই সরকারের অধীনে কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন কমিশন গঠন হতে পারে না, হবেও না। আমাদের কথা স্পষ্ট এই সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন হবে না, হতে দেওয়া হবে না।
ক্ষমতাসীন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষন করা হলে সাংবাদিকদের আব্বাস বলেন, ‘এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের না ভাবলেও চলবে। তাদের নিজের চরকায় তেল দিতে বলেন, কিভাবে ক্ষমতায় টিকে থাকবে সেই চিন্ত্মা করতে বলেন। ওদের সরকারে থাকার সুযোগ আর নাই। দেশের মানুষের মুখে মুখে কথা উঠে গেছে, আওয়ামী লীগ নাই, বিএনপি আসছে।’