ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ দেশে সুষ্টু নির্বাচন হলে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া আবার দেশের প্রধানমন্ত্রী হবেন বলে আশা দেখছে বিএনপি।বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য,সাবেক মন্ত্রী ইকবাল মাহমুদ টুকু বলেছেন, এদেশে খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে আবার আন্দোলন হবে।আমরা সেই আন্দোলনের প্রস্তুতি নিচ্ছি। আন্দোলনের পরে নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে,তখন খালেদা জিয়া আবারও প্রধানমন্ত্রী হবেন।
মঙ্গলবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের আবদুস সালাম হলে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে দলটির একাংশের উদ্যোগে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু এসব কথা বলেন।
বিএনপি আন্দোলন করে বলেই তো নেতাকর্মীদের নামে ৩৫ লাখ মামলা হয় বলে মন্তব্য করেন তিনি।
টুকু বলেন, পরীমনির ঘটনা আর মন্দিরে কুরআন রাখার ঘটনা একই। সরকার কখন কোন রং ধারণ করে তার ঠিক নেই। মন্দিরে কোনো হিন্দু কুরআন রাখবে, এটা আমরা বিশ্বাস করি না। আবার কোনো মুসলমান রাখবে- সেটাও বিশ্বাস করি না। আসলে যারা জোর করে ক্ষমতায় টিকে থাকতে চায়, তারাই এ কাজ করেছে।
তিনি অভিযোগ করেন, বিএনপির সম্প্রীতি মিছিলেও আজ এই ফ্যাসিস্ত সরকার বাধা দেয়। আজ আমরা সম্প্রীতির মিছিলও করতে পারি না। সেখান থেকেও গ্রেফতার করা হয়।
সাবেক এই প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, বর্তমানে আন্দোলন করা খুব কঠিন হয়ে গেছে। একটা সময় আমরা আন্দোলনের ডাক দিয়েছি। তখন রিকশাওয়ালা রিকশা রেখে, দোকানদার দোকান বন্ধ করে মাঠে নেমে আসতেন। এখন আর সেই অবস্থা নেই। এখন আন্দোলনে নামার আগেই ভয় চাপে, যদি আমি গুলিবিদ্ধ হই, কিংবা গ্রেফতার হই, তাহলে আমার পরিবারের কী হবে। অথচ আইয়ুব খানের সময়েও আমরা তার বিরুদ্ধে মিছিল করেছি। তখনও পুলিশের কাছ থেকে আমাদের অনুমতি নেওয়া লাগেনি।
নেতাকর্মীদের আন্দোলনে নামার ডাক দিয়ে বিএনপির এই নেতা বলেন, আমাদের শক্ত আন্দোলনে নামতে হবে। যদি আমরা এ রাস্তা থেকে ফিরে আসি, তাহলে আমাদেরকে দাস হয়ে থাকতে হবে। এজন্য আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান অনেক চিন্তা করেই আন্দোলনে নামার সিদ্ধান্ত নেবেন। কোনো বিদেশি সরকার আমাদের ক্ষমতায় বসিয়ে দেবে না। আমাদেরকে আন্দোলন করতে হবে, রাজপথ গরম করতে হবে।আন্দোলন ছাড়া কোনো বিকল্প নেই।
এলডিপির একাংশের সভাপতি আবদুল করিম আব্বাসির সভাপতিত্বে ও মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিমের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় জাগপার সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা খন্দকার লুৎফর রহমান, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, জাতীয় দলের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সৈয়দ এহসানুল হুদা, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মোহাম্মাদ রহমাতুল্লাহ প্রমুখ বক্তব্য দেন