DMCA.com Protection Status
title=""

কুমিল্লার ঘটনায় গ্রেফতার ইকবাল একজন প্রশিক্ষিত পেশাদার অপরাধীঃপুলিশ

ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ কুমিল্লা সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার খান মোহাম্মদ রেজওয়ান বলেন, ‘আমরা গ্রেফতারকৃত ইকবালের কাছ থেকে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেয়েছি। সেগুলোকে ভালোভাবে যাচাই-বাছাই করে দেখা হচ্ছে।’

সিআইডির একটি সূত্র বলছে, ইকবালকে আটকের পর থেকেই তাঁকে ‘মানসিক ভারসাম্যহীন’ বলা হচ্ছে। কিন্তু সংস্থার কর্মকর্তাদের মনে হয়েছে, তিনি পেশাদার অপরাধীদের মতো ‘প্রশিক্ষিত’।

দুর্গাপূজা চলাকালে গত ১৩ অক্টোবর ভোরে কুমিল্লা নগরীর নানুয়ার দীঘির পাড়ের অস্থায়ী পূজামণ্ডপে পবিত্র কোরআন শরিফ পাওয়ার ঘটনায় হামলা-ভাঙচুর হয়।

এদিকে কুমিল্লায় পূজামণ্ডপ ও মন্দিরে হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে উসকানি দেওয়ার অভিযোগে খুলনায় এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ছাড়া সহিংসতার ঘটনায় নোয়াখালী ও কুমিল্লায় গ্রেপ্তার হয়েছে আরো ১৫ জন। গতকাল বৃহস্পতিবার র‌্যাব ও পুলিশ সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে।

এ ছাড়া নোয়াখালী ও রংপুরের পীরগঞ্জে হামলা, ভাঙচুর ও আগুন দেওয়ার ঘটনায় করা মামলায় আরো ১৩ জনকে রিমান্ডে দেওয়া হয়েছে।

খুলনায় গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তি হলেন উত্তম মজুমদার (৩১)। তিনি বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার অমল মজুমদারের ছেলে। বরিশাল বিএম কলেজ থেকে এমএ সম্পন্ন করে উত্তম খুলনায় একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত।

গতকাল দুপুরে র‌্যাব-৬ সদর দপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বুধবার রাতে লবণচরা এলাকার বোখারীয়া জামে মসজিদের সামনের পাকা রাস্তা থেকে উত্তমকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর কাছ থেকে একটি মোবাইল ফোনসেট জব্দ করা হয়েছে। কুমিল্লার ঘটনার পর থেকে তিনি তাঁর ফেসবুক পেইজ থেকে অপপ্রচার চালিয়ে আসছিলেন। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি অভিযোগ স্বীকার করেছেন। উত্তমের বিরুদ্ধে লবণচরা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়েছে।

কুমিল্লা নগরীর নানুয়ার দীঘির পাড়ের পূজামণ্ডপে কোরআন রাখার ঘটনার জের ধরে হামলা-ভাঙচুরের মামলায় আরো ৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ নিয়ে কুমিল্লায় ১১ মামলায় মোট ৮১ জনকে গ্রেপ্তার করা হলো।

গতকাল সন্ধ্যায় জেলার পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ  গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি আরো বলেন, রিমান্ডে থাকা ইকবালসহ চারজনকে শুক্রবার আদালতে তোলা হবে।

গত ২৩ অক্টোবর চারজনকে রিমান্ডে নেওয়া হয়। পুলিশ তাঁদের দুই দিন জিজ্ঞাসাবাদের পর মামলা পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগে (সিআইডি) হস্তান্তর করা হয়। সোমবার থেকে তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করছেন সংস্থাটির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

ইকবাল ছাড়া বাকিরা হলেন মো. ইকরাম হোসেন, মো. হুমায়ুন কবির ও মো. ফয়সাল আহমেদ। চারজনকে আবারও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিন রিমান্ডে চাইবেন বলে জানিয়েছেন কুমিল্লা সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার খান মোহাম্মদ রেজওয়ান।

Share this post

scroll to top
error: Content is protected !!