ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া অত্যন্ত অসুস্থ, অনেক বেশি অসুস্থ। আমি ঠিক আপনাদের বলে বোঝাতে পারব না। গত রাতে তিনি প্রথম সিসিইউ বেড থেকে হুইলচেয়ারে বসেছেন। তিনি অত্যন্ত দুর্বল অবস্থায় আছেন। আমরা জানি, দেশনেত্রীকে রাজনীতি থেকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য দীর্ঘদিন ধরে ভয়াবহ চক্রান্ত চলছে। এখন তাকে তাঁর জীবন থেকেও সরিয়ে দেওয়ার চক্রান্ত শুরু হয়েছে।’
মঙ্গলবার (১৬ নভেম্বর) সকালে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক দোয়া মাহফিলের এসব কথা বলেন তিনি।
মির্জা ফখরুল, ‘আমরা আল্লাহর কাছে দোয়া করি, আল্লাহ তাআলা তাকে যেন সুস্থতা দান করেন। এটা শুধু বিএনপির জন্য নয়, তার পরিবারের জন্য নয়, বাংলাদেশের ১৬ কোটি স্বাধীনতাকামী মানুষের জন্য তাকে আমাদের বড় প্রয়োজন। তিনি হচ্ছেন সেই নেত্রী, যিনি গণতন্ত্রের জন্য হেমিলনের বংশীবাদকের মতো সারাজীবন সংগ্রাম করেছেন।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘এ সরকার আমাদের সব অধিকারগুলো হরণ করেছে। আজ আমরা একটা বড় জায়গায়, খোলা জায়গায় তার জন্য দোয়া করার অনুমতি পাই না। আজ সভা-সমাবেশ করার অনুমতি পাই না। কারণ এ ফ্যাসিস্ট সরকার জানে, যদি আমরা জনগণকে সঙ্গে নিয়ে বের হই, দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার মুক্তির প্রশ্নে সব দেশ উজ্জীবিত হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘চিকিৎসকরা ইতোমধ্যে বলেছেন খালেদা জিয়ার অনেক ধরনের অসুখ। সত্যিকার অর্থে তাকে যদি সুস্থ করতে হয় তাহলে এ দেশে সে ধরনের কোনো অ্যাডভান্স মেডিকেল সেন্টার নেই। এজন্য বারবার সরকারকে বলা হয়েছে, পরিবার থেকে আবেদন করা হয়েছে, অন্তত মানবতার স্বার্থে তাকে বাইরে যাওয়ার সুযোগ দেওয়া হোক। আমরা বারবার বলছি, কিন্তু তাকে সে সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা পত্রিকায় দেখেছি তার পরিবারের পক্ষ থেকে আবারও আবেদন করা হয়েছে। আমরা আবারও আহ্বান জানাচ্ছি সরকারকে, অবিলম্বে তাকে বাইরে চিকিৎসা করার সুযোগ দেওয়া হোক। কারণ তিনি গণতন্ত্রের নেত্রী। তার যদি কিছু হয়ে যায়, তার সব দায়দায়িত্ব সরকারকেই বহন করতে হবে। আমরা আশা করব আপনাদের শুভ বুদ্ধির উদয় হবে। আপনারা দয়া করে মানবতার স্বার্থে খালেদা জিয়াকে বিদেশে চিকিৎসার সুযোগ করে দেন।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আজ সারাদেশে খালেদা জিয়ার জন্য দোয়া চাওয়া হচ্ছে। আমরা জানি প্রতিটি গ্রামে, বাড়িতে তার জন্য দোয়া হচ্ছে, সদগা দিচ্ছে। আমরা দোয়া করি তিনি যেন আবার আমাদের মধ্যে ফিরে আসতে পারেন।’
এসময় বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আব্দুস সালাম ও আমানউল্লাহ আমান, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানীসহ দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।