ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ মিডনাইট হাসিনা সরকারের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের এবং স্বাধীনতার ইতিহাস জানাতে হবে। তাদেরকে যথাযথভাবে তৈরি করতে হবে। আমাদের সন্তানদের জানাতে হবে কেন স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল।
আজ মঙ্গলবার ঢাকায় এটিএন বাংলার অডিটোরিয়ামে ‘মুক্তিযোদ্ধা ফাউন্ডেশন’ এর আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির ভাষণে তিনি একথা বলেন।
বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পরে বিভিন্ন সময়ে ইতিহাস বিকৃতিতে গভীর দুঃখ প্রকাশ করে তিনি বলেন, আমাদের অভিভাবকদের সচেতন হতে হবে। সন্তানদেরকে আমাদের বিজয়েরর বীরত্বগাঁথা বলতে হবে।
তিনি বলেন, বর্তমানে অন্য কোনো সংগঠনের লোক পাই না সব আওয়ামী লীগ। আমাদের অনেক লোক এখন ঘোরের মধ্যে আছে, আমাদের সতর্ক থাকতে হবে।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের ঘটনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন পৃথিবীতে অনেক হত্যাকাণ্ড হয়েছে কিন্তু বঙ্গবন্ধুকে হত্যাকাণ্ড ছিল একটু ভিন্ন রকম। বঙ্গবন্ধু এবং তার পরিবারকে শুধু হত্যা করা হয়নি, গোটা জাতিকে নিঃশেষ করে দেওয়ার ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল। বাঙালির উন্নয়নকে পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে।
বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চে ঐতিহাসিক ভাষণকে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ ভাষণ উল্লেখ করে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর ভাষণ ছিল পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ ভাষণ। তিনি ছিলেন শ্রেষ্ঠ শাসক এবং শ্রেষ্ঠ দেশপ্রেমিক।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে চলছে। দেশকে আরো শক্তিশালী করতে হবে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত কাজকে সম্পন্ন করতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে আসতে হবে।
আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় প্রধানমন্ত্রীর সাবেক তথ্য উপদেষ্টা সাংবাদিক নেতা ইকবাল সোবহান চৌধুরী বলেন, দেশ ও দেশের মুক্তিযুদ্ধ এবং স্বাধীনতার আগে এখনো ষড়যন্ত্র চলছে। পরাজিত শত্রুরা এখনো সক্রিয়। তিনি মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তির সবাইকে ঐক্যবদ্ধ এবং সতর্ক থাকার আহ্বান জানান।
মুক্তিযোদ্ধা ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও মুক্তিযুদ্ধের সাব সেক্টর কমান্ডার অধ্যক্ষ মো. দেলোয়ার হোসেন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। অন্যানের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সিনিয়র সহ-সভাপতি অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল কামরুল ইসলাম, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কলাবাগান থানা কমান্ডার কামাল মহিউদ্দিন, প্রচার সম্পাদক মো. সহিদুল ইসলাম রানা এবং কেন্দ্রীয় সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মান্নান।