ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আহুত বিশ্ব গণতন্ত্র সম্মেলনে বাংলাদেশ আমন্ত্রণ না পেলেও এ নিয়ে মোটেও চিন্তিত নয় মিডনাইট হাসিনা সরকার। ভবিষ্যতে এ ধরনের সম্মেলনে বাংলাদেশ ডাক পেতে পারে বলে সরকার ধারণা করছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন গতকাল বুধবার বিবিসিকে বলেন, ‘এই সম্মেলনে আমন্ত্রণ না পাওয়ার বিষয়টি নিয়ে মোটেও চিন্তিত নই আমরা। তা ছাড়া এবারই প্রথম এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এর প্রথম ধাপে বাংলাদেশকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। সম্মেলনের পরবর্তী ধাপে বাংলাদেশ আমন্ত্রিত হতে পারে।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, গত এপ্রিল মাসে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের আহ্বানে আয়োজিত জলবায়ু সম্মেলনে মাত্র ৪০টির মতো দেশ আমন্ত্রিত ছিল। সেগুলোর মধ্যে বাংলাদেশও ছিল। সেখানে তো অনেক দেশকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর গতকাল ভোরে গণতন্ত্র সম্মেলনে আমন্ত্রিতদের তালিকা প্রকাশ করেছে। আমন্ত্রণ পাওয়া ১১০টি দেশ বা ভূখণ্ডের তালিকায় নেই বাংলাদেশ। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে ভারত, পাকিস্তান, নেপাল ও মালদ্বীপ আমন্ত্রণ পেয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের উদ্যোগে আগামী ৯ ও ১০ ডিসেম্বর ভার্চুয়ালি ওই সম্মেলন হওয়ার কথা রয়েছে।
জো বাইডেন গত বছর নির্বাচনী প্রচারণার সময়ই ঘোষণা দিয়েছিলেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে তিনি সমমনা গণতান্ত্রিক দেশগুলোকে নিয়ে সম্মেলন আয়োজন করবেন।
উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে গণতন্ত্র ও মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে বেশ কয়েক বছর ধরেই ব্যপক সমালোচনা করে আসছে। গত মার্চ মাসে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, বাংলাদেশে নির্বাচনগুলোতে ব্যাপক অনিয়ম, গুম, নির্যাতন, বিচারবহির্ভূত হত্যাসহ মানবাধিকার লঙ্ঘনের অনেক অভিযোগ ছিল।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ফ্রিডম হাউসের প্রতিবেদনেও বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক পরিস্থিতি অত্যন্ত খারাপ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।