ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ যেখানে করোনা শুরুর বছরে বানের ঢেউয়ের মতো প্রবাসী আয় বা রেমিটেন্স এসেছিল দেশে, সেখানে এখন টানা ছয় মাস ধরে শুধুই কমছে। বর্তমানে বেহালদশা প্রবাসী আয়ে। সদ্যবিদায়ী মাস নভেম্বরে যে পরিমাণ রেমিটেন্স এসেছে, তা গত দেড় বছরের সর্বনিম্ন।
তবে করোনা শুরুর সেই অনিশ্চিত অবস্থাটিতে রেমিটেন্স প্রবাহ বৃদ্ধির সংবাদ মিডনাইট হাসিনা সরকারের মিথ্যা প্রচারনা বলেও অনেকে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন।
বুধবার বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রকাশিত হালনাগাদ প্রতিবেদন অনুযায়ী, নভেম্বর মাসে ব্যাংকিং চ্যানেলে দেশে ১৫৫ কোটি ৩৭ লাখ (১.৫৫ বিলিয়ন) মার্কিন ডলার রেমিটেন্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। যা গত বছরের এই মাসে রেমিটেন্স এসেছিল ২০৭ কোটি ৮৭ লাখ ডলার। সে হিসাবে এবার ৫২ কোটি ৫০ লাখ টাকা কম। ২৫ শতাংশ কমে গেছে।
গেল নভেম্বরে আসা এই রেমিটেন্স গত ১৮ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন। এর আগে ২০২০ সালের মে মাসে সর্বনিম্ন ১৫০ কোটি ডলার রেমিটেন্স আসে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন বলছে, ২০২১-২২ অর্থবছরে প্রথম পাঁচ মাসে (জুলাই-নভেম্বর) দেশে রেমিটেন্স আসে ৮৬০ কোটি ৮৮ লাখ ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৭৩ হাজার ৮৬৪ কোটি টাকা)। যা আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ২২৮ কোটি ৫২ লাখ বা প্রায় ২১ শতাংশ কম। তার আগের অর্থবছরে (২০২০-২১) প্রথম পাঁচ মাসে আসে এক হাজার ৮৯ কোটি ৪১ লাখ ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৯২ হাজার ৬০০ কোটি টাকা)।
২০২০-২১ অর্থবছর অর্থাৎ করোনার শুরুর বছরে রেমিটেন্সের ঢেউ নামে। ওই অর্থবছরে যত রেমিটেন্স দেশে আসে, তা অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়েছে। ওই বছরে ২ হাজার ৪৭৮ কোটি ডলার রেমিটেন্স পাঠান প্রবাসীরা। যা আগের অর্থবছরের চেয়ে ৩৬ দশমিক ১০ শতাংশ বেশি ছিল।
কিন্তু দিন দিন এভাবে রেমিটেন্স আসা কমে যাওয়াকে অর্থনীতিবিদরা বলছেন, করোনাকালে যে হারে প্রবাসীরা চাকরি হারিয়েছেন সেভাবে এখনও নতুন নিয়োগ হয়নি। এজন্য রেমিটেন্স আসা কমেছে।