ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সরকার খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বাইরে যেতে দিতে চায় না। কেনো? একবারও কি চিন্তা করেন না যে এই দেশের ১৬ কোটি মানুষ আমার মা-বোনেরা রোজা রাখছে, দোয়া করছে খালেদা জিয়া যেন সুস্থ হয়ে যায়। কেনো আপনারা ভাবেন না কোটি কোটি মানুষের এই অভিশাপ আপনারা নিচ্ছেন এবং সেই অভিশাপ আপনাদেরকে নিঃসন্দেহে অভিশপ্ত করবে।
বৃহস্পতিবার বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের মানববন্ধনে তিনি এ কথা বলেন।
ক্ষমতাসীনদের কিছু মানুষ ‘ভুঁইফোড় হয়ে মোটা-তাজা হচ্ছে’ বলে অভিযোগ করেন মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, কিছু মানুষ ভুঁইফোড় হয়ে মোটা তাজা হচ্ছে। জনগণের টাকা কেটে তারা লুটপাট করে ওই কানাডার বেগমপাড়ায় বাড়ি বানায়, মালয়েশিয়াতে সেকেন্ড হোম তৈরি করে টাকা পাচার করে দিচ্ছে। সেখানে এই রাষ্ট্রকে আজকে এমন এক অবস্থায় নিয়ে গেছে তারা।
মির্জা ফখরুল বলেন, সরকারি হাসপাতালে গেলে কেউ চিকিৎসা পায় না, অর্থনীতিকে ধ্বংস করেছেন, ব্যাংকগুলোকে লুটপাট করে শেষ করে দিয়েছেন। কথায় কথায় বলেন উন্নয়নের রোল মডেল নাকি বাংলাদেশ। রাস্তার পড়ে থাকে মানুষ না খেয়ে। আমাদের কৃষকেরা ধানের দাম পায় না, পণ্যের দাম পায় না, আমাদের শ্রমিক ভাইয়েরা তাদের মজুরি পায় না, আমাদের নিম্নবিত্ত আরো নিম্নবিত্ত হচ্ছে, মধ্যবিত্ত আরো নিম্নবিত্ত হচ্ছে। দারিদ্র্যের সীমা আরো অনেক নিচে নেমে গেছে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমি শুধু বলতে চাই, খালেদা জিয়াকে বাইরে পাঠানো এই সরকারের জন্য দরকার। কারণ আল্লাহ না করুন তার যদি কোনো ক্ষতি হয় দেশের মানুষ আপনাদেরকে রেহাই দেবে না। অবিলম্বে আর কাল বিলম্ব না করে দেশনেত্রীকে মুক্তি দিয়ে তার চিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশে প্রেরণ করুন। অন্যথায় আপনারা এরজন্য সর্বাংশে দায়ী থাকবেন।
মুক্তিযোদ্ধা দলের সহ-সভাপতি আবুল হোসেনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সাদেক আহমেদ খানের পরিচালনায় মানববন্ধনে কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, শওকত মাহমুদ প্রমূখ বক্তব্য রাখেন।