DMCA.com Protection Status
title="৭

শেখ হাসিনার অনুরোধে পদত্যাগ পত্র পাঠালেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসান!!!

ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ মিডিয়াতে লাগামহীন আপত্তিকর বক্তব্যে দেশবাসীর প্রবল সমালোচনার কারন মিডনাইট হাসিনা সরকারের তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা.মুরাদ হাসানকে আজকের মধ্যে পদত্যাগের অনুরোধ করেছিলেন শেখ হাসিনা।

তার জবাবে স্বশরীরে না এসে ই-মেইলে পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন মিডনাইট সরকারের তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান। আজ মঙ্গলবার দুপুরে নিজ মন্ত্রণালয়ে পদত্যাগপত্র পাঠান তিনি।

তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে শেখ হাসিনা তাকে পদত্যাগ করালেও, তার গর্হিত অপরাধের কারনে মুরাদ হাসানকে গ্রেফতার করে বিচারের আওতায় আনার দাবী অধিকাংশ জনগনের।

মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।  পদত্যাগের জন্য তিনি ‘ব্যক্তিগত কারণের’ কথা উল্লেখ করেছেন চিঠিতে।

গিয়াস উদ্দিন এ বিষয়ে বলেন, স্যার পদত্যাগপত্র মেইলে তথ্য প্রতিমন্ত্রীর দফতরে পাঠিয়েছেন।

জানা গেছে, পত্রত্যাগপত্রপত্রটি মন্ত্রণালয়ের সচিবের কাছে পৌছায় প্রথমে।  এটি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানো হবে।  অথবা সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর দফতরে পাঠানো হবে।  প্রধানমন্ত্রী গ্রহণ করা মাত্রই ক্যাবিনেট থেকে মুরাদ হাসানের পদত্যাগ কার্যকর হবে। 

সংবিধানের ৫৮ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, ‘প্রধানমন্ত্রী যেকোনো সময় কোনো মন্ত্রীকে পদত্যাগ করিতে অনুরোধ করিতে পারিবেন এবং উক্ত মন্ত্রী অনুরূপ অনুরোধ পালনে অসমর্থ হইলে তিনি রাষ্ট্রপতিকে উক্ত মন্ত্রীর নিয়োগের অবসান ঘটাইবার পরামর্শ দান করিতে পারিবেন।’

সরকার ও আওয়ামী লীগের একাধিক সূত্র বলছে, মন্ত্রিত্ব হারানোর পাশাপাশি দল থেকেও বাদ দেওয়া হতে পারে মুরাদ হাসানকে।

২০১৯ সালের মে মাসে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব থেকে সরিয়ে মুরাদ হাসানকে তথ্য প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল।  দুই বছরের বেশি সময় ধরে এই মন্ত্রণালয়ে ছিলেন তিনি।  

মুরাদ হাসান জামালপুর-৪ (সরিষাবাড়ী উপজেলা) আসনের অবৈধ সংসদ সদস্য।  তার বাবা প্রয়াত মতিউর রহমান তালুকদার জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন।

বেশ কিছু দিন ধরে বিভিন্ন বিষয়ে বিতর্কিত বক্তব্য এবং কর্মকাণ্ডের কারণে মুরাদ সংবাদের শিরোনাম হয়েছেন। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রতিমন্ত্রীর কিছু অডিও-ভিডিও ছড়িয়ে পড়ায় দেশজুড়ে নিন্দা ও সমালোচনার ঝড় বইছে।

এতে বিব্রতকর অবস্থায় পড়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও সরকার। বিষয়টি নিয়ে প্রকাশ্যে কিছু বলতে না পারলেও সারা দেশে দলের নেতাকর্মীরা তার ওপর বিরক্ত এবং ক্ষুব্ধ।   এ ঘটনায় বিএনপিসহ বিভিন্ন নারী সংগঠনও তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে। তারা ডা. মুরাদের পদত্যাগ দাবি করেন।

সোমবার প্রধানমন্ত্রী মুরাদ হাসানকে পদত্যাগের নির্দেশ দেন।  বিষয়টি নিশ্চিত করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের জানিয়েছিলেন, মঙ্গলবারের মধ্যেই পদত্যাগ করতে বলা হয়েছে মুরাদকে।

Share this post

scroll to top
error: Content is protected !!