ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বিকৃত খুনিকে দীর্ঘকাল আশ্রয়-প্রশ্রয় দিয়ে এখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মানবতার কথা বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আত্মস্বীকৃত খুনি রাশেদ চৌধুরী। এই খুনিকে তারা (যুক্তরাষ্ট্র) আশ্রয় দিয়েছে। তারাই আবার আইনের কথা বলে। যে ব্যক্তি (রাশেদ চৌধুরী) মানবতা ভঙ্গ করলো, এতগুলো মানুষকে মেরে ফেললো, তাকে আশ্রয় দিয়ে রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র। গতকাল শনিবার আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবসের অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এমন কথা বলেন তিনি। সমপ্রতি বাংলাদেশের এলিট ফোর্স র্যাব এবং এর বর্তমান ও সাবেক ৭ জন কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। বিষয়টি নিয়ে শুরু থেকেই ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়ে আসছে ঢাকা।
এ নিয়ে এক পর্যায়ে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি বিঙ্কেনের সঙ্গে টেলিফোনে আলাপও হয়েছে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর। অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ প্রসঙ্গটি আসে। এসময় এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা (দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী) নিজেরা আলাপ করছি। সময় এখন একটা সমস্যা, আমরা বসে আলাপ করবো। আরেকটা সমস্যা হলো রাশেদ চৌধুরীকে তো আটকে রেখেছে তারা, দেয় না।
র্যাবের কারণে দেশে সন্ত্রাসী কমেছে উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা তাদের বলেছি যে তোমরা জঙ্গিবাদ দমন করতে চাও, বৈশ্বিক মাদক কমাতে চাও, মানবপাচার বন্ধ করতে চাও; র্যাব এসব কাজই করছে। তারা শুদ্ধির লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে। তোমাদের এটা (নিষেধাজ্ঞা) দেশবাসী গ্রহণ করেনি।
র্যাবের প্রতি দেশের মানুষের একটা আস্থা আছে বলেও মনে করেন এ কে আব্দুল মোমেন। এর কারণ হিসেবে তিনি বলেন, তারা (র্যাব) সহজে পয়সায় বিক্রি হয় না। এরকম একটা প্রতিষ্ঠান নিয়ে (যুক্তরাষ্ট্রের) এরকম (নিষেধাজ্ঞা) করা ঠিক হয়নি। এখন যাই হোক, তারা নিজেদের রিপোর্ট বের করেছে। ওনাদের কংগ্রেস অনেকটা বাধ্য করেছে এমন রিপোর্ট করতে। উনি (অ্যান্থনি বিøঙ্কেন) বলেছেন আমরা আলোচনা করবো। বাংলাদেশের সঙ্গে আমাদের অনেক আলোচনার সুযোগ আছে। আমার এটা ভালো লেগেছে। তিনি বুঝেছেন যে, আমরা এতে অসন্তুষ্ট হয়েছি।
এই নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে এখনই পাল্টা কোনও ব্যবস্থা নেওয়ার পরিকল্পনা সরকারের নেই উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা বরং বলছি যে, ভালো কাজ করছি। তোমরা আমাদের সঙ্গে কাজ করো। আমরা একসঙ্গে কাজ করতে চাই। দোষারোপের মানসিকতা আমাদের নেই।