DMCA.com Protection Status
title="শোকাহত

বিএনপি হাসিনা সরকারের অধীনে নির্বাচনেও যাবে না,ঘরে বসেও থাকবে নাঃমির্জা আব্বাস।

ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এবং সাবেক মন্ত্রী মির্জা আব্বাস বলেছেন, এই মিডনাইট হাসিনা সরকারের অধীনে বিএনপি কোনো নির্বাচনে যাবে না। এমনকি ঘরে বসেও থাকবে না। একতরফা নির্বাচন প্রতিহত করা হবে।

বিএনপি চেয়ারপারসন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার বিদেশে সুচিকিৎসার দাবিতে বুধবার বিকালে যশোর টাউন হল ময়দানে জেলা বিএনপি আয়োজিত গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

গণসমাবেশে মির্জা আব্বাস আরও বলেন, রক্তের বিনিময়ে স্বাধীন করা এ দেশের সরকারকে বিদেশে মাফিয়াদের দেশ বলে চেনে। এর থেকে দেশকে বের করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, এ দেশে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা মুক্তি পেয়ে বিদেশে চলে যান। অথচ মৃত্যুপথযাত্রী বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে আইনের দোহাই দিয়ে বিদেশে যেতে দিচ্ছে না। এ সরকার চায় খালেদা জিয়াকে আটকে রাখতে। কারণ তারা মনে করেন খালেদা জিয়া দেশের বাইরে গেলে এ সরকার টিকে থাকতে পারবে না। তবে তাকে আটকে রেখেও শেষ রক্ষা হবে না। বিএনপি নেতাকর্মীরা আন্দোলনের মাধ্যমে আপনাদের পতন ঘটাবে।

যশোর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপিকা নার্গিস বেগমের সভাপতিত্বে সমাবেশে বিশেষ অতিথি কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট নিতাই রায় চৌধুরী বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য আইনগত কোনো বাধা নেই- আইনমন্ত্রী আমাদের এ কথা বললেও তারা সেই ব্যাপারে কোনো ব্যবস্থা নেননি।

তিনি বলেন, আজকের এ মহাসমাবেশ যাতে না হতে পারে, সে কারণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার পেটোয়া বাহিনী দিয়ে যশোরের সব যানবাহন এমনকি রিকশাও বন্ধ করে দিয়েছে। তার প্রশাসন শহরের সব মাইকের দোকান, ডেকোরেশনের দোকান মঙ্গলবার রাতেই বন্ধ করে দেয়। কিন্তু শহিদ জিয়ার সৈনিকরা, খালেদা জিয়ার সৈনিকরা- সেই সব বাধা উপেক্ষা করে ২০ থেকে ৩০ কিলোমিটার পথ পায়ে হেঁটে এ মহাসমাবেশে যোগ দিয়েছেন।

তিনি যশোরকে বাধা অতিক্রম করার জেলা আখ্যা দিয়ে বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি আন্দোলনের সোপান এখান থেকেই শুরু হলো।

আরও বক্তব্য রাখেন- বিশেষ অতিথি চেয়ারপারসনের সাবেক উপদেষ্টা মশিউর রহমান, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, বিএনপি সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক জয়ন্ত কুণ্ডু, সহ-ধর্মবিষয়ক সম্পাদক অমলেন্দু দাস অপু, সাবেক দপ্তর সম্পাদক মফিকুল হাসান তৃপ্তি, বিএনপির কেন্দ্র নির্বাহী কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট সাবেরুল হক সাবু প্রমুখ।

এদিকে বিএনপির গণসমাবেশ ঘিরে দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে প্রাণচাঞ্চল্য দেখা গেছে। সকাল থেকেই জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ শহরমুখী হয়। দুপুরের আগেই শহরের টাউন হল ময়দান বিএনপির নেতাকর্মীদের উপস্থিতে পরিপূর্ণ হয়ে যায়। দুপুরের পর শহরের মানুষের ঢল নামে।

উপজেলা ও গ্রাম থেকে আসা বিএনপি নেতাকর্মীদের অভিযোগ, বিএনপির গণসমাবেশ বানচাল করার জন্য পথে পথে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য পরিচয়ে বাধা দেওয়া হয়েছে। তারপরও বাধা উপেক্ষা করে নেতাকর্মীরা সমাবেশে যোগদান করেছেন। অনেকদিন পর বিএনপি বড় ধরনের সমাবেশ করতে সক্ষম হলো।

Share this post

scroll to top
error: Content is protected !!