ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ ২০১৪ সালে দেশের প্রধান বিরোধী দল বিএনপির নির্বাচন বয়কটের প্রেক্ষিতে ১৫৪টি আসনে বিনা প্রতিদদ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা এবং ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে আগের রাতেই ভোটের অভিযোগের পর ঐ দুটো নির্বাচন কমিশনের প্রতি আস্থা হারিয়েছে সরকারবিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো। সাধারণ ভোটাররাও হয়েছেন ভোটকেন্দ্র বিমুখ। প্রায় প্রতিটি নির্বাচনেই ভোটারদের উপস্থিতি কমে যাওয়ায় নানা সময়েই প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়েছে কমিশনকে। পরবর্তীতে বিএনপির বর্জনের ঘোষণার পরও গত রোববার পর্যন্ত স্থানীয় সরকার নির্বাচনগুলোতে কমিশনের ভূমিকা ভোটারদের কাছে প্রশ্নবিদ্ধ। আগামী ফেব্রুয়ারিতে মেয়াদ শেষ হচ্ছে এই কমিশনের। এই অবস্থায় নতুন নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনের ইস্যুতে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোকে সংলাপে ডেকেছেন প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদ।
সংলাপে সরকার দলের জোটে থাকা দলগুলোর আগ্রহ থাকলেও সরকারবিরোধী দলগুলো অংশগ্রহণে অনীহা প্রকাশ করায় উদ্যোগটি ভেস্তে যাচ্ছে বলে মনে করেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। বিশেষ করে এই প্রক্রিয়ায় আগের দুটি কমিশন গঠন এবং প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচন উপহার দেয়ায় দুটি কমিশনকেই ব্যর্থ মনে করছেন তারা। আর রাজনৈতিক দলগুলো বলছে, সংলাপে যে প্রস্তাব দেয়া হয় তার কোনোটিই বাস্তবায়ন হচ্ছে না। রাজনৈতিক দলগুলোর দেয়া কোনো প্রস্তাবের তোয়াক্কা না করে নিজেদের আজ্ঞাবহ পকেট কমিশন গঠন করে পুনরায় ক্ষমতায় যাওয়ার সব বন্দোবস্ত করে। প্রেসিডেন্টের অতীতের সবক’টি সংলাপ বিশ্লেষণ করলে যা সহজেই অনুমেয়।সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সাধারণ সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার বলেছেন, সংলাপ অনেকটা আনুষ্ঠানিকতায় পরিণত হবে বলেই মনে হচ্ছে। আশা করতে হয় অতীতের অভিজ্ঞতার আলোকে। অতীত অভিজ্ঞতা হলো- নতুন এই পদ্ধতিতে আসা দুটি কমিশনই ব্যর্থ। এ দুটি কমিশন নির্বাচনী ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়েছে, মানুষের ভোটাধিকার হরণ করেছে। একই পদ্ধতিতে আরেকটি কমিশন গঠনের আগে বলতে হবে, নির্বাচনী ব্যবস্থা ধ্বংসের দায় কে নেবে? নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগকর্তা, নাকি যারা নিয়োগ পেয়েছেন তারা, নাকি উভয় পক্ষ?
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, নির্বাচন কমিশনের প্রতি আস্থাহীনতা আকাশচুম্বী। কারণ সাংবিধানিকভাবে প্রতিষ্ঠানটি কোনো বিশেষ রাজনৈতিক দলের প্রভাবমুক্ত থাকার কথা। কিন্তু বিগত দিনের কার্যকলাপ থেকে তা অনুধাবন করা অসম্ভব। কালোকে কালো এবং সাদাকে সাদা বলার মতো সৎ সাহসের ভীষণ প্রয়োজন এই কমিশনে। নির্বাচনী কাজে সরকারের যে কোনো ধরনের অযাচিত হস্তক্ষেপ মোকাবিলা করার দৃঢ়তা একজন নির্বাচন কমিশনারের থাকতে হয়। তা করতে ব্যর্থ হলে কিংবা নিরুপায় হলে স্বেচ্ছায় পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর মতো সৎ মানসিকতার অধিকারী হতে হয়। বর্তমান নির্বাচন কমিশনের বিগত পাঁচ বছরের কর্মকান্ডে এ ধরনের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের ছিটেফোঁটাও দেখতে পাইনি। এ নির্বাচন কমিশনের অধীনে একটি সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সে নির্বাচনে বিশ্বের মানুষ যে নেতিবাচক দিকটি দেখতে পেয়েছে, নির্বাচন কমিশন তার কানাকড়িও দেখতে পায়নি।
চলমান সংলাপে এখন পর্যন্ত যেসব রাজনৈতিক দলকে সংলাপে ডাকা হয়েছে তার মধ্যে সরকারি দল আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় মহাজোটের দল এবং গতকাল খেলাফত মজলিস অংশ নিয়েছে। তবে সরকারের বাইরে থাকা বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদ ও বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) সংলাপে অংশ না নেয়ার সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিয়েছে। গণফোরামেরও সংলাপে অংশ নেয়া না নিয়ে এখনো চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। ৩০ ডিসেম্বর সিদ্ধান্ত নিবে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। অন্যদিকে দেশের প্রধান বিরোধী দল বিএনপি এখনো পর্যন্ত সংলাপে অংশগ্রহণ না করার সিদ্ধান্তে অনড় আছে। রাজনৈতিক দলগুলোর এই অনীহা সাধারণ মানুষের মধ্যে সংলাপ প্রক্রিয়ার সফলতা ও গ্রহণযোগ্যতাকে ভিন্নভাবে উপস্থাপন করবে।
ইসি গঠন ইস্যুতে ২০ ডিসেম্বর থেকে দেশের নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপ শুরু করেছেন প্রেসিডেন্ট। প্রথম দিন জাতীয় সংসদের বিরোধী দল জাতীয় পার্টি অংশগ্রহণ করে। সংলাপে দলীয় নেতার স্ত্রীর নাম প্রস্তাব করে সাধারণ মানুষের মাঝে হাস্যরসের যোগান দিয়েছে দলটি। দলটির চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেন, ইসি গঠনে সংবিধানে আলোকে আইন প্রণয়নের প্রস্তাব করেছে জাতীয় পার্টি। আইন প্রণয়নের স্বল্পতা থাকলে প্রেসিডেন্টের নির্বাহী অধ্যাদেশে আইন বলবৎ করার কথাও বলা হয়েছে। এ দুটির বিকল্প হিসেবে সার্চ কমিটি গঠনের প্রস্তাব করা হয়েছে। এজন্য প্রেসিডেন্টের কাছে ৪-৫ জনের তালিকাও দিয়েছি। জাপা সূত্র জানায়, সার্চ কমিটির জন্য সাংবিধানিক পদে থাকা ব্যক্তি ও বিচারপতির ৪ জনের নাম দেয়া হয়েছে। তবে প্রেসিডেন্ট সরাসরি ইসি গঠনের উদ্যোগ নিলে জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নুর স্ত্রী রোকসানা কাদেরীর নাম প্রস্তাব করা হয়েছে। ২২ ডিসেম্বর ১৪ দলীয় জোটের অন্যতম দল বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) সংলাপে অংশ নিয়ে সার্চ কমিটির মাধ্যমে ইসি গঠনের পক্ষে সায় দিয়েছে। তবে তারা কোনো নাম প্রস্তাব করেনি। ২৬ ডিসেম্বর ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ) সংলাপে অংশ নিয়ে ইসি গঠনে আইনি কাঠামো প্রণয়ন ছাড়াও দফা প্রস্তাবনা দিয়েছে। এগুলো হচ্ছে, নির্বাচন কমিশনকে সম্পূর্ণ স্বাধীন ও শক্তিশালী করা; সৎ, যোগ্য, নির্মোহ ব্যক্তিদের কমিশনে নিয়োগদান; নির্বাচনে পবিত্র ধর্মের অপব্যবহার, অস্ত্র ও পেশী শক্তি ব্যবহারকারীদের তাৎক্ষণিক গ্রেফতার ও শাস্তি প্রদান; স্বাধীনতার চেতনাবিরোধী ব্যক্তি ও সংগঠনকে নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা প্রভৃতি।
একই দিনে সংলাপে অংশ নেয়ার কথা ছিল বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল বাসদের। কিন্তু গত ২৪ ডিসেম্বর সংলাপে অংশ না নেয়ার বিষয়টি প্রেসিডেন্টের দপ্তরকে জানিয়ে দিয়েছে দলটি। প্রেসিডেন্টের এই সংলাপকে সময় নষ্ট বলেও মনে করে বাসদ। বাসদের সাধারণ সম্পাদক খালেকুজ্জামান বলেন, এর আগে দুইবার প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সংলাপে অংশ নিয়েছি। এছাড়া নির্বাচন কমিশনের সঙ্গেও সংলাপে গিয়েছি। ওইসব সংলাপে দলের পক্ষ থেকে যেসব প্রস্তাব দিয়েছিলাম তা এখনো বাস্তবায়িত হয়নি। এ কারণে সংলাপে গিয়ে কোনো লাভ হবে বলে মনে হয় না। খালেকুজ্জামান বলেন, আমরা প্রেসিডেন্ট দপ্তরকে চিঠি দিয়ে জানিয়ে দিয়েছি, আমরা শুধু শুধু সংলাপে গিয়ে প্রেসিডেন্টের মূল্যবান সময় নষ্ট করতে চাই না। উনি চাইলে আমাদের আগের প্রস্তাবগুলোই বাস্তবায়ন করতে পারেন। তিনি আরো বলেন, কম হলেও আমাদের দলীয় কর্মী-সমর্থক রয়েছে। সংলাপে গিয়ে কী বললাম, কেন তা বাস্তবায়ন হলো না, এসব জবাবদিহি আমাদের করতে হয়।
বাসদের একই পথে হাঁটছে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)। আগামী ৩ জানুয়ারি সিপিবিকে সংলাপের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। তবে এই সংলাপে দলটি অংশ নিবে না বলে জানিয়েছেন দলটির সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম। তিনি বলেন, এই সংলাপে অংশগ্রহণ করার কোনো প্রয়োজন আছে বলে আমরা মনে করি না। কারণ প্রেসিডেন্টের সিদ্ধান্ত নেয়ার এখতিয়ার নেই। উনি যা করবেন প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শে করবেন।
সিপিবি সভাপতি বলেন, গতবার আমরা সংলাপে গিয়েছি, কিন্তু এমন একজনকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) দায়িত্ব দেয়া হলো যিনি ৩০ তারিখের ভোট ২৯ তারিখ রাতে করেছেন। এরজন্য কোনো দুঃখ প্রকাশও করা হয়নি।
সেলিম বলেন, আমরা গতবার সংলাপে যা বলেছিলাম এবারও আমাদের একই কথা, প্রেসিডেন্ট চাইলে উনার সচিবকে দিয়ে আমাদের সেই প্রস্তাবগুলো বের করে আনতে পারেন। এছাড়া প্রেসিডেন্ট সংসদের কাছে চিঠি পাঠাতে পারেন, এক মাসের মধ্যে নির্বাচন কমিশন গঠনে আইন প্রণয়ন করতে।
এদিকে গণফোরামের সংলাপ নিয়ে এখনো চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি বলে জানা গেছে। গণফোরাম নেতাকর্মীরা জানান, দলটির একাংশের সভাপতি মোস্তফা মোহসীন মন্টু ও সাধারণ সম্পাদক সুব্রত চৌধুরী সংলাপ নিয়ে ড. কামাল হোসেনের সঙ্গে দেখা করেন। তখন তাদের ড. কামাল হোসেন জানিয়েছেন, সংলাপে গিয়ে কোনো লাভ হবে না। বরং জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনার আন্দোলনকে গুরুত্ব দিতে হবে। নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে কমিশনও নিরপেক্ষ হতে বাধ্য হবে। অন্যদিকে, ড. কামালের অংশের নির্বাহী সভাপতি মোকাব্বির খান জানান, তাদের সাত সদস্যের প্রতিনিধি দল সংলাপে অংশ নেবে। গণফোরাম নেতারা জানান, দলের দুই অংশে দু’রকম সিদ্ধান্ত থাকায় ড. কামাল হোসেন কী সিদ্ধান্ত নেন, তা দেখার অপেক্ষায় আছেন তারা।
আর রাজপথের প্রধান বিরোধী দল বিএনপি এখনো পর্যন্ত সংলাপে না যাওয়ার সিদ্ধান্তেই আছে। দলটির স্থায়ী কমিটির সভায় নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার ছাড়া অন্য কোনো ইস্যুতে সংলাপে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। যদিও সংলাপের চিঠি পাওয়ার পর চ‚ড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে বলে জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, সরকার পরিবর্তন ছাড়া নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনে সংলাপ করে কোনো লাভ নেই। তিনি আরো বলেন, সংলাপ সংলাপ খেলা শুরু হয়ে গেছে আবারো। দেখছেন না? প্রেসিডেন্ট রাজনৈতিক দলগুলোকে ডেকে ডেকে সংলাপ করছেন। কিসের সংলাপ? কিভাবে নির্বাচন কমিশন গঠন করবে এবং সেই কমিশন নির্বাচন পরিচালনা করবে তা নিয়ে সংলাপ। এ নির্বাচন কমিশন করে কী হবে?
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান বলেন, প্রথম থেকে একটা কথাই বলে আসা হয়েছে; আমরা এ ধরনের কোনো সংলাপে যাব না। এই নির্বাচন কমিশন যেটাই গঠন করা হোক না কেন, যদি আমরা নির্বাচন সুষ্ঠু আওতায় নিয়ে না আসতে পারি, তাহলে নির্বাচন কমিশনের আমাদের কোনো কাজ নেই। তা ছাড়া নির্বাচন কমিশন নিয়ে যে সার্চ কমিটি হবে সেটাও ওই একতরফা হবে। কাজেই সেখানে আমাদের আলোচনায় গিয়ে লাভ নেই। সংলাপের ব্যাপারে এখন পর্যন্ত রাজি না। এখন পর্যন্ত যাচ্ছি না।
দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, কিসের সংলাপ? কী নির্বাচন কমিশন গঠন করবেন? এই নির্বাচন কমিশন তো তারাই গঠন করেছিলেন। যার প্রতিফলন দেখছি, জনপদের পর জনপদ, বিভিন্ন ইউনিয়নে রক্ত ঝরছে। তিনি বলেন, প্রেসিডেন্ট যে সংলাপ করছেন, তার উদ্দেশ্যই হচ্ছে আর একটি হুদা মার্কা নির্বাচন, আর একটি রকিব মার্কা নির্বাচন, বিনাভোটে প্রতিদ্ব›িদ্বতাহীন নির্বাচন করে রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকা।
রিজভী বলেন, এই সংলাপ আদৌও একটা অবাধ, স্বচ্ছ, সুষ্ঠু নির্বাচন করার মতো সংলাপ নয়। যদি তাই হতো তাহলে প্রেসিডেন্ট প্রথমেই অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের গ্যারেন্টি নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার নিয়ে কথা বলত। যে সরকার প্রতিদ্ব›দ্বীকে আসতে দেন না, ভোটারকে আসতে দেন না, সেই সরকার নিরপেক্ষ নির্বাচন করবে, নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠন করবে এটা কী বিশ্বাস করা যায়? এটা তো পাগলেও বিশ্বাস করবে না। তিনি বলেন, একটা প্রহসন করার জন্য রাষ্ট্র সংলাপ করছে, এই সংলাপ প্রহসনমূলক।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর আমির ও চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে বলেছেন, নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য সংবিধানের ১১৮-২৬ ধারায় আইন প্রণয়নের জন্য সুস্পষ্টভাবে বলা আছে। অথচ সরকার আইন প্রণয়ন না করে প্রতিবার জাতীয় নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক দলগুলোকে নিয়ে প্রেসিডেন্টের সাথে কথিত সংলাপের নামে একটি লোক দেখানো অর্থহীন রসালো সময় পার করে। যেখানে রাজনৈতিক দলগুলোর দেয়া কোনো প্রস্তাবের তোয়াক্কা না করে নিজেদের আজ্ঞাবহ পকেট কমিশন গঠন করে পুনরায় ক্ষমতায় যাওয়ার সব বন্দোবস্ত করে। প্রেসিডেন্টের অতীতের সব ক’টি সংলাপ বিশ্লেষণ করলে যা সহজেই অনুমেয়। সংলাপের নামে এসব ভাওতাবাজি বাদ দিয়ে সংবিধান অনুযায়ী নিরপেক্ষ ও স্বাধীন নির্বাচন কমিশন গঠন করে সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন দেয়ার জোর দাবি জানাচ্ছি।