ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ মিডনাইট হাসিনা সরকারের উদ্দেশে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সংলাপের নামে নতুন নাটক শুরু হয়েছে। সংলাপ নাটক বাদ দিয়ে আগে পদত্যাগ করুন। আবারো পরিষ্কার করে বলছি, নির্বাচন কমিশন গঠনের আগে নিরপেক্ষ সরকার গঠন করুন।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, খালেদা জিয়া গণতান্ত্রিক আন্দোলনের বাতিঘর। তাকে সুচিকিৎসা থেকে বঞ্চিত করে ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে। অবিলম্বে তাকে মুক্তি না দিলে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করে উত্তাল আন্দোলনের মাধ্যমে এই ‘ফ্যাসিস্ট, দানবীয়’ সরকারের পতন ঘটিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করা হবে।
শুক্রবার গাজীপুর শহীদ বরকত স্টেডিয়ামে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে উন্নত চিকিৎসার দাবিতে গাজীপুর জেলা ও মহানগর বিএনপি আয়োজিত এক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ফজলুল হক মিলনের সভাপতিত্বে মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব সোহরাব উদ্দিন ও জেলা বিএনপির সদস্য সচিব কাজী সাইয়েদুল আলম বাবুলের যৌথ সঞ্চালনায় এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে ফখরুল আরও বলেন, একাত্তর সালে যে অধিকারের জন্য যুদ্ধ করেছিলাম, ভোটবিহীন আওয়ামী লীগ সরকার সেই অধিকার কেড়ে নিয়েছে। গণতান্ত্রিক পদ্ধতি, গণতান্ত্রিক দেশ ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। গণতান্ত্রিক আন্দোলনের সঙ্গে যারা জড়িত প্রত্যেকের নামে অসংখ্য মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে। ইলিয়াস আলীসহ আমাদের অনেক নেতাকর্মীকে গুম করা হয়েছে, ৩৫ লাখ নেতাকর্মীর নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে। ‘আমার ভোট আমি দেব, যাকে খুশি তাকে দেব’ এই অবস্থা এখন আর নেই। সারা দেশে ৪শ ইউপি চেয়ারম্যানকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন গঠন করে কী হবে? আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে তারা তো কাজই করতে পারে না। আওয়ামী লীগের মন্ত্রী, এমপি, নেতারা ভয় দেখায়- কথামতো কাজ না করলে চাকরি থাকবে না। এ ধরনের নির্বাচন কমিশন জনগণ আর চায় না।
জনগণের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়ে ফখরুল প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উদ্দেশে বলেন, আপনাদের দায়িত্ব সংবিধান রক্ষা করা, অবৈধ আওয়ামী লীগ সরকারকে নয়। দুর্নীতিবাজ, ভোট চোর আওয়ামী লীগ নেতাদের নিরাপত্তার জন্য নয়। জনগণ আজ খালেদা জিয়ার মুক্তি চায়। খালেদা জিয়া এদেশের প্রথম নারী মুক্তিযোদ্ধা, তিনি স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের প্রতীক, গণতন্ত্রের আপসহীন নেত্রী। স্বৈরাচারী সরকারের কারাগারে তিনি এখন জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। অবিলম্বে তাকে মুক্তি না দিলে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করে এই ‘দানব’ সরকারের পতন ঘটিয়ে তাকে মুক্ত করা হবে।
সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন- বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান, গাজীপর মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক মো. সালাউদ্দিন সরকার, বিএনপির কেন্দ্রীয় সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক মো. কামরুজ্জামান রতন, সহসংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও সাবেক এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা হাসান উদ্দিন সরকার, কেন্দ্রীয় যুবদলের সভাপতি সাইফুল আলম নীরব, বিএপির কেন্দ্রীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক ও কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক সফিকুল ইসলাম বাবুল, সহশ্রম বিষয়ক সম্পাদক হুমায়ুন কবীর খান, সহস্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম বাচ্চু, সহদপ্তর সম্পাদক তাইজুল ইসলাম টিপু, বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সদস্য প্রকৌশলী ইশরাক হোসেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ডা. মাজহারুল আলম, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদের ভূঁইয়া, বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ও কালিয়াকৈর পৌরসভার মেয়র মো. মুজিবুর রহমান, ওমর ফারুক সাফিন, গাজীপুর বারের সভাপতি অ্যাভোকেট সিদ্দিকুর রহমান, যুবদলের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি জাকির হোসেন নান্নু, কালিয়াকৈর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. হেলাল উদ্দিন, ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান হাবিব, কাপাসিয়া উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক শাহ রিয়াজুল হান্নান, শ্রীপুর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক শাহজাহান ফকির, শ্রীপুর পৌর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট কাজী খান, জেলা বিএনপি নেতা শাখাওয়াত হোসেন সবুজ, গাসিক কাউন্সিলর হান্নান মিয়া হান্নু, মহানগর বিএনপি নেতা আব্দুস সালাম, সদর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু তাহের মুছুল্লী, জেলা যুবদলের সভাপতি মনিরুল ইসলাম, মহানগর যুবদলের সভাপতি প্রভাষক বসির উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন ভাট, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি আরিফ হোসেন হাওলাদার, সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন শাহিন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক হাসিবুর রহমান মুন্না, জেলা শ্রমিক দলের সভাপতি আক্তারুজ্জামান বাবুল, মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ।