ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ জাতিসংঘের মানবাধিকার অফিস অভিযোগ করেছে, বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা ও গোয়েন্দা বাহিনী সমূহ গুমকে একটি হাতিয়ার হিসাবে বিরোধী রাজনৈতিক নেতাদের বিরুদ্ধে ব্যবহার করছে। এ বছর মানবাধিকার কাউন্সিলের তিনটি সেশনের মধ্যে শেষটি হয় সেপ্টেম্বরে। ওয়ার্কিং গ্রুপ তাদের সর্বশেষ রিপোর্টটি দিয়েছে ৬ ডিসেম্বর।
ওয়ার্কিং গ্রুপ বাংলাদেশ ও হন্ডুরাসের বিরুদ্ধে অভিযোগগুলো পর্যালোচনা করার পর গ্রহণ করে। এছাড়া এ বছরের ৬ জুলাই নোয়াখালীর পশ্চিম শুল্লাকিয়া গ্রাম থেকে মুফতি মাহমুদুল হাসান নামে এক ব্যক্তিকে অপহরণের অভিযোগটি তদন্ত করে দেখার জন্য সরকারের কাছে পাঠানো হয়েছে।
ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠক রুদ্ধদ্বার হলেও তাদের রিপোর্ট ওয়েবসাইটে দেওয়ার আগে জেনেভায় বাংলাদেশ মিশনকে দেওয়া হয়। ওই রিপোর্ট ঢাকায় পাঠানো হয় প্রতিকারমূলক পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য।
রিপোর্টে দাবি করা হয়, ওয়ার্কিং গ্রুপ বিভিন্ন উৎস থেকে তথ্য সংগ্রহ করেছে এবং এ বিষয়ে তাদের কাছে নির্ভরযোগ্য প্রমাণ রয়েছে।
জাতিসংঘ ২০১১, ২০১৬, ২০১৭ এবং ২০১৯ সালে বিভিন্ন অভিযোগের বিষয়ে জানতে চেয়ে সরকারকে চিঠি দিলেও এ সংক্রান্ত কোনও জবাব দেওয়া হয়নি। এছাড়া অভিযোগ খতিয়ে দেখার জন্য জাতিসংঘ ২০১৩ সালে বাংলাদেশ সফর করতে চায়- মর্মে একটি চিঠি দিলেও কোনও জবাব দেওয়া হয়নি। বিষয়টিকে উদ্বেগজনক বলে অভিহিত করা হয়েছে রিপোর্টে।
রিপোর্টে উল্লেখ্য করা হয়, ২০০৯ সাল থেকে প্রায় ছয়শ মানুষকে গুম করা হলেও তাদের বেশিরভাগকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বা কোর্টে হাজির করা হয়েছে। কিন্তু এরমধ্যে ৮৬ জনের ভাগ্যে কী হয়েছে সেটি জানা যায়নি।
করোনাকালে সরকারের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের যারা সমালোচনা করেছিল তাদের নজরদারির আওতায় নেওয়া হয়েছিল বলে জানানো হয় ওই রিপোর্টে।