ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকারের সিংহাসন টলমল করছে। তাদের পতন অত্যাসন্ন। কেউ ঠেকাতে পারবে না।
রোববার দুপুরে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, যত বাঁশ দিয়ে, কাঠ দিয়ে ও লোহার রড দিয়ে আপনার সিংহাসনকে ঠেক দেওয়ার চেষ্টা করেন শেখ হাসিনা , আপনার সিংহাসন আর শক্ত থাকবে না। ওটা এখন টলমল করা শুরু হয়েছে, তার লাস্ট পেরেকটা আপনি নিজেই মেরেছেন।
রিজভী বলেন, প্রধানমন্ত্রী টিভিতে কথায় কথায় চোখের পানি ফেলেন। আসলে সেটি হচ্ছে তার মায়াকান্না বা টিয়ার্স অব ক্রোকোডাইল। অন্যের কষ্টে তিনি অশ্রু ঝরান না।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক তাজমেরি এস ইসলামের গ্রেফতারের নিন্দা জানিয়ে তিনি বলেন, ১৪ ডিসেম্বর আমরা বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করি। আগামীতে আমরা ১৪ ডিসেম্বর ‘বুদ্ধিজীবী নির্যাতন দিবস’ পালন করব।
রিজভী বলেন, এখন যে পরিবারগুলোর গুম হয়েছে, তাদের বাড়িতে বাড়িতে পুলিশ পাঠাচ্ছেন, নিজেরা স্টেটমেন্ট লিখেছেন। সরকারের পক্ষ থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী স্টেটমেন্ট লিখে বলছে যে, এখানে সই করো? এটি কী? বলা হচ্ছে যে, আমার ছেলে বা আমার স্বামী সে নিজে নিজেই হারিয়ে গেছে। পুলিশ লিখে নিয়ে যাচ্ছে আর ওখানে (স্টেটমেন্টে) সই করতে বলছে পরিবারকে। এখন এ ধরনের একটি প্রচেষ্টা সরকার নিয়েছেন, যাতে বিশ্বকে দেখানো যায়, যাতে যারা গুম হয়েছে তারা নিজে নিজে হারিয়ে গেছে।
তিনি বলেন, আসলে তো কোনো কিছু আটকিয়ে রাখা যায় না। আটকিয়ে রাখা যায় না বলেই বিএনপি ব্যস্ত থাকে তাজমেরী এসএ ইসলামকে নিয়ে, বিএনপি ব্যস্ত থাক দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার অসুস্থতা নিয়ে।
ইউনির্ভাসিটি টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ইউট্যাব) উদ্যোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক অধ্যাপক ড. তাজমেরী এসএ ইসলামের মুক্তির দাবিতে এ মানববন্ধন হয়। ইউট্যাবের প্রেসিডেন্ট ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এবিএম ওবায়দুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও মহাসচিব অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান খানের পরিচালনায় মানববন্ধনে আরও বক্তব্য দেন বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী অ্যাডভোকেট শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাদাদলের আহ্বায়ক অধ্যাপক লুৎফর রহমান, অধ্যাপক ড. আখতার হোসেন খান, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক শামসুল আলম সেলিম, অধ্যাপক ড. কামরুল আহসান, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের কাদের গনি চৌধুরী, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মো. আনিসুর রহমান, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপক একেএম মতিনুর রহমান, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের আমজাদ হোসেন, জিয়া পরিষদের অধ্যাপক ডা. আবদুল কুদ্দুস, অধ্যাপক এমতাজ হোসেন, ডক্টরস অ্যসোসিয়েশনের (ড্যাব) অধ্যাপক ডা. হারুন আল রশিদ, অ্যাগ্রিকালচারিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের অধ্যাপক গোলাম হাফিজ কেনেডি, শামীমুর রহমান শামীম, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাইফুল ইসলাম ফিরোজ, ছাত্রদলের ফজলুর রহমান খোকন, ইকবাল হোসেন শ্যামল, রাকিবুল ইসলাম, আমানউল্লাহ আমান প্রমুখ।
এ ছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আব্দুস সালাম, মো. আল-আমিন, অধ্যাপক ড. গোলাম রাব্বানী, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মো. নূরুল ইসলাম, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক খান মো. মনোয়ারুল ইসলাম, অধ্যাপক তানভীর আহসান, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. বেলাল, জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের প্রকৌশলী মাহবুব আলম, কেএম আসাদুজ্জামান চুন্নু, নোয়াখালী বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. সাইফুল ইসলামসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা অংশ নেন।