DMCA.com Protection Status
title="শোকাহত

মুক্তিযুদ্ধকালীন কুকীর্তি ফাঁসের ভয়ে জহির রায়হানকে গুম করান আওয়ামী সরকারঃ সুচন্দা

ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ আজ ৩০শে জানুয়ারী ১৯৭২ এ স্বাধীন বাংলাদেশে প্রথম গুম হন অসাধারন মেধা ও মননের অধিকারী চলচ্চিত্রকার জহির  রায়হান। ভাই শহিদুল্লাহ কায়সারকে খুঁজতে মিরপুর বিহারী পল্লীতে গিয়ে আর ফিরে আসেননি তিনি। তবে এই বিষয়ে অভিযোগ আছে যে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারের লোকজনই গুম করেছে তাকে।

এই প্রসঙ্গে জহির রায়হানের স্ত্রী একসময়ের জনপ্রিয় চিত্র নায়িকা সুচন্দা বলেন,’জহির বেঁচে থাকা অবস্থায় সর্বশেষ প্রেসক্লাবে দাঁড়িয়ে এক বক্তব্যে বলেছিলেন, যারা এখন বড় বড় কথা বলেন, নিজেদের বড় বড় নেতা মনে করেন, তাদের কীর্তি কাহিনী, কলকাতায় কে কী করেছিলেন, তার ডকুমেন্ট আমার কাছে রয়েছে। তাদের মুখোশ আমি খুলে দেবো।’ এই কথা তিনি মুখ দিয়ে প্রকাশ্যে বলে ফেলার পরই তার উপর বিপদ নেমে আসে। এই বলাটাই তার জন্য কাল হয়ে দাঁড়ালো।”””

“স্টপ জেনোসাইড” খ্যাত চলচ্চিত্রকার কাজী জহির রায়হান যুদ্ধকালে পশ্চিম বাংলার বিভিন্ন স্থানে কাজ করতে গিয়ে উদ্বাস্তু শিবিরে আওয়ামীলীগ নেতাদের অপকর্মের অনেক ফুটেজ ও ডকুমেন্ট সংগ্রহ করেন, যা দিয়ে তিনি ডকুমেন্টারী বানাতে চেয়েছিলেন। কিন্তু যুদ্ধপরবর্তী সরকারের সাথে সংশ্লিষ্ট পাপিষ্ঠরা এসব কারনে জহির রায়হানকে গায়েব করে দেয়, তার লাশটিও খুঁজে পাওয়া যায় নি। জহির রায়হান সংবাদ সম্মেলন করে এসব চিত্র প্রকাশের হুমকি দিয়েছিলেন। আর এ হুমকির পরই তাঁর অন্তর্ধানের ঘটনা ঘটে। জহির রায়হানের ভাই শহীদুল্লাহ কায়সার যুদ্ধকালে ১৪ ডিসেম্বর হানাদার বাহিনীর দ্বারা অপহৃত হন।

১৯৭২ সালের ৩০ জানুয়ারী ভাইকে খোঁজার নাম করে জহির রায়হানকে ডেকে নেয় স্বাধীন বাংলার প্রশাসন পরিচিতরা। এরপর থেকে জহির নিখোঁজ। তার লাশও খুঁজে পাওয়া যায়নি। মুজিব সকারের পুলিশ ও মিরপুর এলাকা নিয়ন্ত্রকারী বাহিনী জহির রায়হানের পরিবারকে সাহায্য করার পরিবর্তে এড়িয়ে যেতেন।

জহির রায়হানের নিখোঁজ হওয়া প্রসঙ্গে ৯নং সেক্টর কমান্ডার মেজর এম.এ. জলিল লিখেছেন, “মুক্তিযুদ্ধের সময়কালের আওয়ামীলীগ নেতাদের কুকীর্তি ফাঁস করে দিতে চাওয়ায় নিখোঁজ হন সাংবাদিক জহির রায়হান। ভারত অবস্থানকালে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বের অনেক কিছুই জানতে চেয়েছিলেন স্বনামধন্য সাহিত্যিক এবং চিত্র নির্মাতা কাজী জহির রায়হান। তিনি জেনেছিলেন অনেক কিছু, চিত্রায়িতও করেছিলেন অনেক দুর্লভ দৃশ্যের। কিন্তু অতসব জানতে বুঝতে গিয়ে তিনি বেজায় অপরাধ করে ফেলেছিলেন।।।

ইতিহাসের শিক্ষা ইতিহাস তার নিজের জন্য হলেও সত্য প্রকাশ করে,

আজ যখন আওয়ামীলীগের নেতারা মুক্তিযুদ্ব নিয়ে বড় বড় কথা বলে,তখন আসলেই কলকাতার সেই হোটেল গুলা, মদের খালি বোতল গুলা উপহাস করে,আর অবশ্যই উপহাস করে সেই সব নেতাদের পরিবার আর সন্তানেরা, কারন তারা তো জানে না,তাদের বাবারা আসলেই ভণ্ড মুক্তিযোদ্বা।

Share this post

scroll to top
error: Content is protected !!