ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ আমাদের দেশে বিশ্বমানের চাদর-বালিশ যথেষ্টই হচ্ছে, আমরা তা বিদেশেও রপ্তানি করছি বলে জানিয়েছেন মিডনাইট হাসিনা সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। বিছানার চাদর ও বালিশের কভারের মান যাচাই করতে পুলিশ মহাপরিদর্শকের জার্মানি সফর প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি এ কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন বলেন, তিনি (পুলিশ মহাপরিদর্শক) রিজয়েন্ডার দিয়েছেন, এখানে আমাদের কিছু বলার নেই। আমাদের দেশে চাদর-বালিশ যথেষ্ট হচ্ছে, আমরা বিদেশেও রপ্তানি করছি। তিনি কী ধরনের ইমপোর্ট করতে চাচ্ছেন তিনিই বিস্তারিত জানেন। তিনি কেন যাচ্ছেন , এটা আমার জানা নেই। তিনিই ভালো বলতে পারবেন কবে যাবেন,কেন যাবেন, কীভাবে যাবেন।
রোববার (১৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সচিবালয়ে সড়কে আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত টাস্কফোর্স কমিটির সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন আসাদুজ্জামান খান কামাল।
গুম হওয়া ব্যক্তিদের প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা সবসময় বলে আসছি, অনেকে নিজেকে সরিয়ে রাখেন। অনেকে ব্যবসায় ব্যর্থ হয়ে, মামলা এড়াতে বা সামাজিকভাবে হেয় হওয়ার ভয়ে আত্মগোপন করেন। জেনেভায় আমাদের যে নামগুলো দেওয়া হয়েছিল, তাদের অনেকের নামেই ১২ থেকে ১৩টি মামলা ছিল কিংবা জেলে আছেন বা জামিনেও বের হয়েছেন—এমনও হয়েছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা আবারও বলছি, গুমের কথা যেগুলো বলা হচ্ছে, খুঁজলে অনেককেই আমরা উদ্ধার করতে পারছি বা পারবো। পুলিশের প্রতিবেদন লক্ষ্য রাখবেন, প্রতিবছর যদি মিসিং এরকম এক হাজার হয়, দেখা যায় ৯৫০ জন আবার শনাক্ত করা যাবে। যে তালিকা দিয়েছে, আমরা মনে করি, অনেককেই পাওয়া যাবে। আমরা কাজ করছি।
প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের সঙ্গে আইনমন্ত্রীর ফোনালাপ ফাঁস হওয়ার বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এটা তদন্তের বিষয়। এটা কীভাবে রেকর্ড হলো, সেটা দেখার বিষয় আছে। নিশ্চিত না হয়ে আমি কিছু বলতে চাচ্ছি না।
তিনি বলেন, আমাদের সরকারিভাবে এরকম রেকর্ড করার কোনো সিস্টেম নেই। এটা যদি করে থাকে তাহলে কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে অন্য কোনো প্রযুক্তি বের হয়েছে কিনা দেখার বিষয় আছে। এমটিএমসি একটি মাত্র প্রতিষ্ঠান যেখানে লফুল ইন্টারসেপশন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমতি ছাড়া মনিটর বা প্রকাশ করতে পারে না। কাজেই অনুসন্ধানের ব্যাপার আছে।