ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ সাবহানাজ রশীদ দিয়া নামের এক বাংলাদেশী নারীকে বাংলাদেশ বিষয়ক ম্যানেজার (সিঙ্গাপুর অফিসে) নিয়োগ দানের পর থেকে বাংলাদেশের বিরোধী দল ও মত সমর্থন করে এমন লক্ষ লক্ষ ফেসবুক ব্যবহারকারীর মৌলিক অধিকার (মত প্রকাশের অধিকার) হরণ করা হচ্ছে বলে গুরুতর অভিযোগ পাওয়া গেছে।
জানা যায়,প্রতিদিন তিনি নাকি বিভিন্ন অজুহাতে বন্ধ করেন হাজার হাজার বাংলাদেশী নাগরিকের ফেসবুক আইডি। এমনকি কোনো প্রকারের পোস্ট বা কমেন্ট না করলেও বিনা অভিযোগেই হাজার হাজার মানুষের আইডিকে তিনি (You can’t post right now, To prevent any misuse, we've temporarily restricted your ability to use this feature on Facebook. ) ক্যাটাগরিতে একাউন্ট বন্ধ করে দেন।
মিডিয়া সূত্রে জানা যায়, সাবহানাজ রশীদ দিয়া পাবলিক পলিসি ম্যানেজার হিসাবে স্থানীয় ভাষা, জননীতি এবং বিধিবিধান বিশ্লেষণ করে দেশটি সম্পর্কে তথ্য যোগানের প্রথম কাজটি করেন। সেসব তথ্যের ভেতর ওই দেশের রাজনৈতিক এবং সামাজিক গভীর পর্যবেক্ষণ থাকে, যার ভিত্তিতে ওই দেশের পরিবর্তনশীল পরিস্থিতিসহ সরকার, এনজিও, অ্যাকাডেমিয়া, শিল্প, প্রযুক্তিসহ অন্যান্য কোম্পানির সঙ্গে ফেসবুকের অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন শাখার গভীর সম্পর্ক গড়ে তোলা যায়।
সাবহানাজ রশীদ দিয়া বাংলাদেশের বর্তমান ক্ষমতাসীন দল আওয়ামীলীগের অঙ্গসংগঠন ছাত্রলীগের একজন সাবেক কর্মী। দিয়া বাংলাদেশ সরকারের কয়েকটি আইসিটি এবং ইউথ মিনিস্ট্রিতে বাংলাদেশের মিডনাইট আওয়ামীলীগ সরকারের বিভিন্ন কমিটিতে কাজ করেছেন। বর্তমান নিয়োগ লাভের পরে তিনি সিঙ্গাপুরে বসে আওয়ামী বিরোধী পোস্ট পেলেই সেই আইডিগুলি বন্ধ করে দিচ্ছেন। এটি এক ধরণের নির্বিচারে মানবাধিকার হরণ বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
আওয়ামী স্বৈরতন্ত্রের সাথে কাজ করেছেন, এমন কাউকে এমন গুরুত্বপূর্ন কোনো দায়িত্ব দেয়া উচিত হয়নি, যেখান থেকে তিনি বিরোধী পক্ষকে অন্যায় ভাবে দমন করতে পারেন। সাবহানাজ রশীদ দিয়াকে বাংলাদেশ বিষয়ক পাবলিক পলিসি ম্যানেজার হিসাবে নিয়োগ দেয়ার পর থেকে তিনি এই কাজটি করে চলেছেন।
বিশিষ্ট জনদের মতে ফেসবুকের মতো এতো বড় সামাজিক যোগাযোগ মিডিয়ায় এধরনের পক্ষপাতমূলক আচরন মোটেই কাম্য নয়। অবিলম্বে দিয়ার নিয়োগটি বাতিল করে দল নিরপেক্ষ কাউকে নিয়োগ দেয়ার জন্য ফেসবুক কর্তৃপক্ষের প্রতি আবেদন জানিয়েছেন ভুক্ত ভোগীগন।