DMCA.com Protection Status
title="শোকাহত

ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বিএনপির কেউ নয়: মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর

ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, নির্বাচন কমিশন নিয়ে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর বক্তব্য বিএনপির বক্তব্য নয়।  তিনি বিএনপির কেউ নয়।

তিনি বলেছেন, অনেকেই বলাবলি করছেন ডা. জাফরুল্লাহ এ নির্বাচন কমিশনকে অনেক ভালো বলেছেন, আপনারাও মেনে নেন।

কিন্তু মির্জা ফখরুল সাফ জানিয়ে দেন, ডা. জাফরুল্লাহর সঙ্গে বিএনপির কোনো সম্পর্ক নেই। এটা তার নিজস্ব মন্তব্য। ডা. জাফরুল্লাহ বিএনপির পক্ষে কথা বলার কেউ নন।

সোমবার দুপুরে ময়মনসিংহ নগরীর নতুন বাজারের দলীয় কার্যালয়ের সামনে বিদ্যুৎ, গ্যাস, চাল, ডাল তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম লাগামহীন ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে এবং টিসিবির মাধ্যমে স্বল্পমূল্যে সর্বত্র পণ্য সরবরাহের দাবিতে ময়মনসিংহ মহানগর বিএনপি আয়োজিত এক বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, নির্বাচন কমিশন যেটাই হোক আমরা তাতে বিশ্বাস করি না। কারণ আওয়ামী লীগ যদি নির্বাচনের সময় সরকারে থাকে, তাহলে কোনো নির্বাচন কমিশনই সুষ্ঠু নির্বাচন করতে পারবে না। আওয়ামী লীগ একটি প্রতারক দল, মিথ্যাবাদী ও অত্যাচারী দল। নির্বাচন কমিশনের তালবাহানা আর মুলা দেখিয়ে কোনো লাভ হবে না। 

ময়মনসিংহ মহানগর বিএনপির আহবায়ক অধ্যাপক শফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে এবং মহানগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-আহবায়ক আবু ওয়াহাব আকন্দ এবং যুগ্ম আহবায়ক অধ্যাপক শেখ আমজাদ আলীর সঞ্চালনায় বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন- বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট শাহ ওয়ারেস আলী মামুন, শরীফুল আলম প্রমুখ।

বক্তব্য রাখেন- কেন্দ্রীয় যুবদলের সভাপতি সাইফুল আলম নিরব, কৃষক দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি হাসান জাফরি তুহিন, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ও দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক ডা, মাহবুবুর রহমান লিটন, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য শাহ শহীদ সারোয়ার, শেরপুর জেলা বিএনপির সভাপতি মাহমুদুর রহমান রুবেল, নেত্রকোনা বিএনপির আহবায়ক ডা. আনোয়ার হোসেন, মহানগর বিএনপির যুগ্ম-আহবায়ক কাজী রানা, দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম-আহবায়ক জাকির হোসেন বাবলু, আলমগীর মাহমুদ আলম, ফখরুদ্দিন আহমেদ বাচ্চু, মহানগর যুগ্ম-আহবায়ক শাহ শিব্বির আহমেদ বুলু, একেএম মাহবুবুল আলম, কায়কোবাদ মামুন, অ্যাডভোকেট এমএ হান্নান।

বর্তমান নির্বাচন ব্যবস্থাটাকে আওয়ামী লীগ হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল আলমগীর বলেন, এরা নির্বাচন করবে কিন্তু মানুষ যাতে ভোট দিতে না পারে তাও নিশ্চিত করতে। তারা তাদের মতো করে সিল মেরে কিংবা ইভিএম দিয়ে ভোট নিয়ে তাদের সরকার তৈরি করবে। অর্থাৎ তারা ক্ষমতায় থাকবে ঠিকই, শুধু তারা দেখাবে যে নির্বাচন করেছি।

দেশের বিচার ব্যবস্থাকে সম্পুর্নভাবে দলীয়করণ করা হয়েছে মন্তব্য করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, এই সরকার যা হুকুম দেয় তাদের তাই করতে হয়। বেগম খালেদা জিয়ার মামলা একটি সর্বৈব মিথ্যা মামলা। যার কোনো সত্যতাই নাই। অথচ হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট করে নিয়ে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রী-এমপি ও নেতারা, সেখানে একটা মামলাও হয় না।

তিনি আরও বলেন, আমাদের দলের এবং অঙ্গ সংগঠনের ৩৫ লাখ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। ওয়ার্ড থেকে শুরু করে কেন্দ্র পর্যন্ত , এমন কোনো নেতা নাই যার বিরুদ্ধে ১০ থেকে ১৫টা করে মামলা নেই। পুলিশের হাত থেকে বাঁচার জন্য তারা এলাকা ছেড়ে ঢাকায় গিয়ে রিকশা-ভ্যান চালায়, হকারি আর নৈশ্যপ্রহরীর কাজ করে।

মিডনাইট হাসিনা সরকারের প্রতি আহবান জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, এখনো সময় আছে চাল-ডাল-তেল, গ্যাস-বিদ্যুতের দাম কমান। জনগণের আশা আকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী পদত্যাগ করে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন করে জনগণের হাতে ক্ষমতা দিন। এই দেশের মানুষের আশা আকাঙ্ক্ষা একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন। সরকারে থেকে একটি ইলেকশন দিয়ে ভোট নিয়ে চলে যাবেন সেই কাজ এবার আর হবে না। তিনি আগামী দিনের লড়াই-সংগ্রামে রাজপথে থেকে নেতাকর্মীদের আন্দোলনে থাকার আহবান জানান।

Share this post

scroll to top
error: Content is protected !!