ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ ২০১৩ সালে সাভারে ভয়াবহ রানা প্লাজা দুর্ঘটনায় ১৭ দিন পর ধ্বংশস্তুপ থেকে জীবিত উদ্ধার হওয়া রেশমা বেগম এবার চুরির অভিযোগে কারাগারে।
ঘটনার বিবরনে জানা যায়, গত রবিবার দুপুরে. বিরামপুর পৌর এলাকার প্রফেসর পাড়া মহল্লার সাবেক পুলিশ সদস্য হারুনুর রশিদের বাড়িতে একদিন পূর্বে ঘোড়াঘাট উপজেলার রানীগঞ্জ বাজারের কাশি পাড়া গ্রামের স্যার কন্যা রেশমা বেগম (২৭) ভাড়া নিয়ে চুরির উদ্দেশ্যে বিরামপুরের পদ্মকলি সুইটস এর মিষ্টি ও দই এর সাথে নেশা জাতীয় ওষুধ মিশিয়ে বাড়ির ৪ সদস্য অজ্ঞান করে। বাড়ির মালিকের স্ত্রী সুরাইয়া বেগম ঘটনাটি টের পেয়ে বিরামপুর থানা পুলিশকে সংবাদ দিলে থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে রেশমা আক্তার কে আটক করে। এসময় পদ্মকলি সুইটস এর দোকানে বিরামপুর থানার ওসি অভিযান চালায় সেখান থেকে দই ও মিষ্টি জব্দ করে পরীক্ষার জন্য পুলিশ হেফাজতে নেয়। পদ্মকলি সুইট এরশাদের স্বত্বাধিকারী সুবল চন্দ্র সরদার বাদল চন্দ্র জানান, বিরামপুর পদ্মকলি সুইটস এর দোকান থেকে উক্ত মহিলা মিষ্টি কিনে নিয়ে যায়।
এদিকে বাড়ির মালিক হারুনুর রশিদের স্ত্রীর সুরাইয়া বেগম বলেন, একদিন পূর্বে রেশমা আক্তার স্বামীর শাহিন শা আমার দুটি ঘর ভাড়া নেয় এক দিন পরে আজ সকালে তাদের মিষ্টি দই খাওয়ালে মিষ্টি খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তার পরিবারের চারজন সদস্য অজ্ঞান হয়ে পড়ে। বাড়িতে চুরি করার উদ্দেশ্যে উক্ত মহিলা এরকম ঘটনা ঘটাতে পারে বলে তিনি জানান।
মালিক মৃত হারুনুর রশিদের স্ত্রী সুরাইয়া বেগমের অভিযোগে প্রেক্ষিতে রানা প্লাজার উদ্ধার হওয়া সেই রেশমা আক্তার (২৭) পুলিশ আটক করে । এ সময় বাড়িতে অজ্ঞান হয়ে পড়ে থাকা সাব্বির আহমেদ সিয়াম (২৫) নুসরাত জাহান( ৩৫) শাবনুল শিয়াম সিফাত (১৪ ) শাবনুল আহমেদ সরনী(২৫) সদস্যকে পুলিশ উদ্ধার করে বিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা।
হাসপাতালে দায়িত্বরত চিকিৎসক জানান, দই-মিষ্টি সঙ্গে নেশা জাতীয় ঔষধ খাওয়ানো হয়েছে বলে জানান।
সূত্রঃদৈনিক ইনকিলাব।